ঢাবি অচলের ষড়যন্ত্র ॥ ফাঁদে পা ছাত্রলীগের, ফায়দা ছাত্রদলের by মামুন-অর-রশিদ

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দিতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সরকারবিরোধী মহল এ ষড়যন্ত্রের জাল ফেলেছে। মোটা অঙ্কের অর্থের লোভে সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার হাতেগোনা কতিপয় নেতা সরকারবিরোধীদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিবিরকর্মী ছদ্মবেশে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে রয়েছে তারাও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের মেধাবী ছাত্র বকর হত্যাকা- এ ছকেই হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাদের ধারণা। এদিকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের কয়েকজন ছাত্রদলের মিশন বাসত্মবায়নে নেপথ্য পরিচালকের ভূমিকা পালন করছে। ছাত্রদলকে দিয়ে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত করার আড়ালে কর্তৃপৰকে জিম্মি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের লৰ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরম্ন করার লৰ্যে ৰেত্রভেদে নানা ছকে ক্যাম্পাস অচল করার এ ষড়যন্ত্র চলছে।
ছাত্রদল সভাপতি 'বয়োবৃদ্ধ' ছাত্রনেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু দলের বিদ্রোহী গ্রম্নপের হাতে আহত হওয়ার পরই ক্যাস্পাসের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে তারা নানামুখী ষড়যন্ত্রে নামে। রবিবারের হরতাল উপলৰে শনিবার রাতে ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ এবং বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গুলি-বোমা সরবরাহ করা হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডের বিএনপি সমর্থক এক মসত্মানের কাছ থেকে। নাজিমউদ্দিন রোড থেকে ক্যাম্পাস পর্যনত্ম ছাত্রদলের হয়ে গুলি ও বোমা বহন করে এনেছে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের একটি গ্রম্নপ। এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়বিরোধী ষড়যন্ত্রের নীলনক্সা বাসত্মবায়ন চলছে। সরকারী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে দেখভাল করার জন্য আওয়ামী লীগের তিন সাংগঠনিক সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কমিটি ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে ছাত্রলীগ এখন যে পর্যায়ে গেছে সেখান থেকে সাময়িক ভিত্তিতে স্থগিত কিংবা বন্ধ না করে এই সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণে আনার কোন পথ আছে কিনা- সে ব্যাপারে সবাই চিনত্মিত। ছাত্রলীগ দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অন্যতম স্থানীয় সরকার পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক জনকণ্ঠের এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বসেছি। তাদের বক্তব্য শুনেছি। এরপর আমরা সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কথা শুনে সুপারিশমালা তৈরি করব। সেই সুপারিশমালা নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধানত্ম নেব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরবর্তী সংঘর্ষ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের একটি গ্রম্নপের সঙ্গে বর্তমান নেতাদের একটি গ্রম্নপের মধ্যে ঘটানোর আয়োজন চলছে। মূলত শিৰা ভবনের যাবতীয় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকারী বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কৃত শফিক বাহিনীর সঙ্গে এ সংঘর্ষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং সংলগ্ন ক্যাম্পাসের গুরম্নত্বপূর্ণ তিনটি হলের শীর্ষ পর্যায়ের দু'তিন নেতাকে শফিক বিপুল অর্থের বিনিময়ে কব্জা করে নিয়েছে বলে ছাত্রলীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে। এদিকে শফিকের প্রতিপৰ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুলকে। অতীতে সাইফুল শফিকের হয়েই কাজ করেছে। তবে এখন সে আর কারও হয়ে কাজ করবে না বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে। তবে এ দু'টি বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর পেছনে কাজ করছে তিনটি গ্রম্নপ। তিনটি গ্রম্নপই ভিন্ন ভিন্ন লৰ্যে এ সংঘর্ষের প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে।
ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা যিনি শফিক গ্রম্নপকে ক্যাম্পাসে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রচ্ছন্ন মদদ দিচ্ছেন তিনিই আবার সাইফুল গ্রম্নপকে মাঠে নামাচ্ছেন। এখানে জটিল রাজনীতির হিসেবে শফিক গ্রম্নপ ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করলে কোটি কোটি টাকার কমিশনের ভাগ এ শীর্ষ নেতা পাবেন। শফিকের প্রতিপৰ গ্রম্নপ না থাকলে শীর্ষ পর্যায়ের এ নেতা শফিককে প্রশ্রয় দেয়ার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে যেতে পারেন। এ শঙ্কা থেকে আত্মরৰার জন্য তিনি প্রকাশ্যে সাইফুল গ্রম্নপের প্রতি নমনীয় থাকলেও মূলত শফিক বাহিনীর হয়ে কাজ করবেন কমিশনের স্বার্থে।
ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ের এ নেতার বাইরে ছাত্রদলের দু' গ্রম্নপ (কমিটি গ্রম্নপ ও বিদ্রোহী গ্রম্নপ) ছাত্রলীগের পরস্পরবিরোধী দু'টি গ্রম্নপকে মদদ দিচ্ছে। ছাত্রদলের বিদ্রোহী গ্রম্নপ মদদ দিচ্ছে ক্যাম্পাসের সাইফুল গ্রম্নপকে। আর কমিটি গ্রম্নপ মদদ দিচ্ছে শফিক গ্রম্নপকে। ছাত্রদলের দু'পৰের লৰ্য ক্যাম্পাস উত্তপ্ত করে বিরোধী দলের হাতে ইসু্য তুলে দেয়া। সব সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরকারী ছাত্র সংগঠনবিরোধী ছাত্র সংগঠনকে অনেক গেমে ফেলে দেয়। কিন্তু এবারই হচ্ছে তার উল্টো। এখন বিরোধী ছাত্র সংগঠন ৰমতাসীন ছাত্র সংগঠনকে কাঠের পুতুলের মতো নানা কৌশলে নাচাচ্ছে। ছাত্রলীগের সাবেক চার-পাঁচ নেতার বিশেষ কোরামটি ছাত্রলীগের শফিক গ্রম্নপের প্রতিই সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি টেন্ডারে শফিকের নিয়ন্ত্রনও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি অংশ ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে ছাত্রলীগের অভ্যনত্মরীণ বিরোধ উস্কে এ পর্যায়ে এনে ছেড়ে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়কে ব্যর্থ প্রমাণ করে প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদলের উদ্দেশ্যেই অদৃশ্যে থেকে তারা ঘুঁটি চালছেন। গত এক বছর ক্যাম্পাসের স্থিতিশীল পরিস্থিতি তারা ভালভাবে নিতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ তিন পদে সমন্বিত টিম ওয়ার্কের লৰ্যে তিন জনকে নিয়োগ দেয়া হলেও কারও কারও অতিরিক্ত কর্তৃপৰীয় ৰমতা চর্চার অভিলাষের কারণে শেষ পর্যনত্ম সমন্বয় গড়ে ওঠেনি।
ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্র আবুবকর হত্যাকা-ের পর ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আঞ্চলিকতাভিত্তিক নতুন মেরম্নকরণ ঘটছে। এতে আপাতত চারটি গ্রম্নপের অসত্মিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। গ্রম্নপ চারটির মধ্যে শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে উত্তরাঞ্চল গ্রম্নপ এবং এ গ্রম্নপেই ছদ্মাবরণে ছাত্রলীগে ঢুকে পড়া শিবিরকর্মীর সংখ্যা বেশি। এছাড়াও রয়েছে ফরিদপুর গ্রম্নপ, বরিশাল গ্রম্নপ ও মাগুরা-যশোর-ঝিনাইদহ গ্রম্নপ। ছদ্মবেশী শিবিরকর্মী যারা ছাত্রলীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত তারা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশ করার পরই শিবির নেতাদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা নিয়ে আসেন বলে সংশিস্নষ্ট সূত্র এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছে।
এফ রহমান হলে সংঘর্ষের সূত্রপাতকারী সাইদুজ্জামান ফারম্নক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হলেও সে শিবিরের বড় নেতা। পারিবারিকভাবে সে রাজাকার পরিবারের সনত্মান। নিহত বকর যে রম্নমে থাকত তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, সবাই অতীতে শিবির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় এসব তখন অনুসন্ধান করা হয়নি। কিনত্মু বিএনপি-জামায়াত ঘরানার কয়েকটি জাতীয় দৈনিক এ ব্যাপারে ফারম্নককে সেভ করার লৰ্য নিয়ে যেভাবে সংবাদ পরিবেশন করছে তাতে এ হত্যাকা-ের উৎসমূল অনেক গভীরে সে ব্যাপারে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়।

শফিক বাহিনীর প্রস্তুতি
শফিককে মাঠে নামিয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের একটি অংশ। তার রাসত্মা পরিষ্কার করে দিয়েছে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেতা এবং হল পর্যায়ের কয়েক নেতা। আলীয়া মাদ্রাসায় পড়ার সময় শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অনেক পুরনো। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে সে নিজের আসল পরিচয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করেছে। বর্তমান সরকারের সময় সূর্যসেন, এফ রহমান এবং মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েক নেতার কাঁধে ভর করে টেন্ডারবাজি কব্জা করতে নানা প্রক্রিয়ায় এগুতে থাকে শফিক। এ প্রক্রিয়ার ট্রায়াল পর্বেই এফ রহমান হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং আবু বকর নিহত হয়। শফিক মোহাম্মদপুর এলাকার আওয়ামী লীগদলীয় সাবেক এক সংসদ সদস্যপুত্রকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তিন কর্তাব্যক্তির একজনের সঙ্গে কথা বলে গেছেন। প্রশাসনের এ কর্তা ঘুষ-দুর্নীতিবিরোধী হওয়ায় খুব একটা সাড়া পায়নি শফিক। শফিক তখন ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির দু'শীর্ষ নেতার একজনের কাঁধে ভর করে এগুনোর চেষ্টা করে। কার্জন হলে একটি কাজের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির এক শীর্ষ নেতা শফিককে সহায়তা করে বলে ক্যাম্পাসে কথিত আছে। ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দু'নেতা টেন্ডারবাজদের কাছ থেকে নির্ধারিত অঙ্কের কমিশন পেতে ক্যাডার গ্রম্নপগুলোর তৎপরতায় প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিতে থাকে। তবে এৰেত্রে দু'শীর্ষ নেতার মধ্যে একজন অতি চতুর। সে সর্বত্র 'মালের ধান্ধা' করেন বলে ক্যাম্পাসে প্রচার রয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগের সর্বশেষ বিদায়ী কমিটির শীর্ষ নেতা, ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সাবেক এক নেতা এ শফিক বাহিনীকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করছে। মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহম্মদ আলী, সূর্যসেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হায়দার তুহিন বিপুল অর্থের বিনিময়ে শফিকের হয়ে কাজ করছে। শফিক ক্যাম্পাসে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা শুরম্নর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রকে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে ৰমতাসীন দলের বিভিন্ন মহল ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে নামার পরই ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

সাইফুল বাহিনীর উত্থান
এদিকে দীর্ঘদিন থেকে অস্ত্রের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ক্যাম্পাসে রমরমা টেন্ডারবাণিজ্যে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভাগ না পেয়ে নিজেই একটি গ্রম্নপ তৈরি করেন। তার হয়ে ক্যাম্পাসে কাজ করছে জিয়া হলের সভাপতি রিফাত হোসেন জিকু এবং বর্তমানে আটক এফ রহমান হল ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাইদুজ্জামান ফারম্নক। সাইফুলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সভাপতির এক ধরনের সমঝোতা হয়। এর প্রেৰিতে ওই দুই সভাপতি কেন্দ্রীয় সভাপতির অনুসারী হয়ে যায় হঠাৎ করেই। এফ রহমান হলে দু'গ্রম্নপের সংঘর্ষ এবং সংঘর্ষে আহত আবু বকরের মৃতু্য ও ফারম্নকের গ্রেফতারের পর কিছুটা বেকায়দায় আছে এ গ্রম্নপটি। তবে এখন আবারও গ্রম্নপ গোছানোর কাজ শুরম্ন হয়ে গেছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতার বিরম্নদ্ধে হল কমিটি নিয়ে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ধমক দিয়ে ফারম্নককে এফ রহমান হলের সভাপতি বানান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির দু'নেতার একজনের বিরম্নদ্ধে সকল টেন্ডারের বখরা আদায় এবং বণ্টনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির শীর্ষ দু'নেতার মধ্যে যিনি বরিশালকেন্দ্রিক তিনি ক্যাম্পাস উত্তপ্তকে করতে প্রশাসনের একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনও পাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও এসব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের কলকাঠি নাড়ছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের একাধিক গ্রম্নপসহ ৰমতাসীন মহল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জিম্মি করে সকল টেন্ডার তাদের একক নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে গ্রম্নপগুলো।

No comments

Powered by Blogger.