ঢাবিতে ছাত্রদলের ধর্মঘট আংশিক পালিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল আহূত ধর্মঘট রবিবার আংশিকভাবে পালিত হয়েছে। সকল পরীৰা অনুষ্ঠিত হলেও ধর্মঘটের কারণে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক শিৰা কার্যক্রম। ধর্মঘট ডেকে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি।
তবে ক্যাম্পাসের বাইরে বিৰোভ করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সংগঠনের সভাপতি টুকুর ওপর হামলাকারীদের বিচার ও বকরের হত্যার বিচারসহ ৬ দফা দাবিতে রবিবার ধর্মঘট পালনের ডাক দিয়েছিল ছাত্রদল। এদিকে বকর হত্যার সুষ্ঠু তদনত্ম ও বিচার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও এফ রহমান হল প্রভোস্টের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাম সমর্থিত সাধারণ শিৰার্থীদের ব্যানার 'নির্যাতনবিরোধী শিৰার্থীবৃন্দ।' তিনদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে রবিবার এ ব্যানার থেকে আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।গত ১ ফেব্রম্নয়ারি রাতে এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দু'গ্রম্নপের সংঘর্ষে আহত হন আবুবকর। গুরম্নতর আহত বকর একদিন পর হাসপাতালে মারা যান। তার মৃতু্য নিয়ে রয়েছে এক ধরনের ধূম্রজাল।
ছাত্রদলের ধর্মঘট রবিবার ধর্মঘট ডেকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি ছাত্রদল। সকালে সংগঠনের নেতাকর্মীরা শাহবাগ হয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বাধার মুখে তারা বিৰোভ মিছিল নিয়ে কাটাবন হয়ে নীলৰেত প্রবেশমুখ হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকার চেষ্টা করলে সেখানেও তারা পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। পরে পুলিশী বাধার মুখে তারা সমাবেশ করে ক্যাম্পাস এলাকা ত্যাগ করে।
ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারলেও আংশিকভাবে তাদের ডাকা ধর্মঘট পালিত হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সকল পরীৰা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বেশিরভাগ কাস অনুষ্ঠিত হয়নি। ক্যাম্পাসে শিৰার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল।
নির্যাতনবিরোধী ছাত্রছাত্রীবৃন্দ বিকালে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ৫ দফা দাবিতে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচী ঘোষণা করে নির্যাতনবিরোধী ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, শিৰাঙ্গনে অব্যাহত সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব নিরসনে সরকার ও প্রশাসনের অবহেলাই হত্যাকা-ের পরিস্থিতি তৈরি করেেেছ। তারা ছাত্রদলের ধর্মঘট ডাকারও সমালোচনা করেন। বাম সমর্থিত সাধারণ শিৰার্থীদের এ ব্যানার থেকে বকর হত্যার সুষ্ঠু তদনত্ম এবং তদনত্ম কমিটি থেকে প্রক্টরকে বাতিল করা, প্রক্টর ও সংশিস্নষ্ট প্রভোস্টের প্রদত্যাগ, জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, সকল শিৰার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বকরের পরিবারকে ৰতিপূরণ দেয়ার দাবি জানানো হয়।
তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে শিৰার্থীরা এসব দাবি আদায়ে কর্মসূচী ঘোষণা করে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে_ আজ অপরাজেয় বাংলায় মানববন্ধন, ৯ ফেব্রম্নয়ারি প্রতিবাদী পথচিত্র অঙ্কন এবং ১০ ফেব্রম্নয়ারি অপরাজেয় বাংলায় সংহতি সমাবেশ।
No comments