বিএনপির জন্য হবে সঞ্জীবনী সুধা by ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ
মুসলিম লীগ এবং বিএনপির জন্ম ও বেড়ে ওঠার ইতিহাস সম্পূর্ণ আলাদা। তবে মুসলিম লীগের পরিণতি এবং বিএনপির সম্ভাব্য পরিণতি যেন একই সূত্রে গাঁথা। মুসলিম লীগের জন্ম হয়েছিল ঔপনিবেশিক বাংলায়।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সর্বভারতীয় রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও বঙ্গভঙ্গ ইসু্যতে মুসলমান নেতৃত্বের কংগ্রেসের প্রতি মোহভঙ্গ ঘটে। পূর্ব বাংলার মুসলমানদের নেতৃত্বে তখন গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ঢাকার নবাবরা। বাহ্যত তাঁদের কাছে স্পষ্ট ছিল বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হলে অবহেলিত পূর্ববঙ্গের প্রভূত উন্নতি হবে। শিা, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির েেত্র পূর্ববঙ্গের মুসলমানের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। কিন্তু বঙ্গভঙ্গ ঘোষিত হওয়ার পর কংগ্রেসসহ কলকাতাকেন্দ্রিক শিতি হিন্দু সমপ্রদায় ও হিন্দু পত্রিকাগুলো বঙ্গভঙ্গের প্রচ- বিরোধিতা শুরম্ন করে। এসময় থেকে মুসলমান নেতাদের একটি বড় অংশ কংগ্রেসকে হিন্দু স্বার্থ রাকারী দল হিসেবে গণ্য করতে থাকেন। তাঁরা মনে করেন মুসলমানের স্বার্থ রার জন্য নিজেদের রাজনৈতিক সংগঠন প্রয়োজন। এই ল্যেই ১৯০৬-এ ঢাকায় নবাব সলিমুলস্নাহর নেতৃত্বে মুসলিম লীগের জন্ম হয়। অচীরেই দলটি সর্বভারতীয় মুসলিম রাজনৈতিক দলের আদল পেয়ে যায়।সুতরাং মুসলিম লীগের জন্ম ইতিহাসটি স্পষ্ট। বাংলা তথা ভারতীয় মুসলমানের অধিকার রার আদর্শ নিয়েই দলটির জন্ম হয়েছিল। ফলে দলটি দ্রম্নত জনপ্রিয়তা পায়। এভাবে মুসলিম লীগ ভারত বিভাগে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাকিসত্মান সৃষ্টির পর নিজ রাজনৈতিক ঐতিহ্য এবং সরকারী দলের সুবিধা নিয়ে মুসলিম লীগ শক্ত অবস্থানে চলে আসে। এরপরও ইতিহাসের নির্মম শিকার হয় মুসলিম লীগ। মুসলিম লীগ সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারায় দলটির জনপ্রিয়তায় ধস নামে। পাকিসত্মান সৃষ্টির দু'বছর পর থেকেই দলটি জনবিচ্ছিন্ন হতে শুরম্ন করে। চারদিকে সামপ্রদায়িক দাঙ্গা মাথাচাড়া দেয়। শ্রমিক ধর্মঘট অস্থিতিশীল করে তোলে শিল্পাঞ্চল। কয়েকটি জেলায় সংঘটিত হয় কৃষক বিদ্রোহ। পুলিশ বিদ্রোহের ঘটনাও ঘটতে থাকে। এভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হুমকির মুখে এসে দাঁড়ায়। দলীয় দুনর্ীতির কথা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ক্রমে বাড়তে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এর সাথে যুক্ত হয় রাষ্ট্রভাষা সমস্যা। এভাবে মুসলিম লীগ জনবিচ্ছিন্ন হতে থাকে। এই সঙ্কটে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং এ কে ফজলুল হকের মতো নেতারা যুক্তফ্রন্ট গঠন করে মানুষকে আশাবাদী করে তোলেন। এভাবে ১৯৫৪-এর নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি ঘটে। এরপর সামরিক শাসক আইউব খান মৌলিক গণতন্ত্রের ফানুস উড়িয়ে মুসলিম লীগকে পুনরম্নজ্জীবিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চূড়ানত্ম ল্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি। মুসলিম লীগ প্রকৃত অর্থে মানুষের কাছে ফিরে না এসে সামরিক শাসকদের শক্তিতে টিকে থাকতে চেয়েছিল। এর স্বাভাবিক ফল ভোগ করতে হয়েছে দলটিকে। পূর্ব পাকিসত্মানে মুসলিম লীগ জনগণের দল হিসেবে আর দাঁড়াতে পারেনি।
বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক বাসত্মবতায় মুসলিম লীগের সাথে অংশত তুলনীয় হতে পারে বিএনপির রাজনীতি এবং সম্ভাব্য পরিণতি। ইতিহাসের নিরিখে মানতে হবে মুসলিম লীগের চেয়ে বিএনপির সঙ্কট আরেকটু বেশি। মুসলিম লীগের জন্ম হয়েছিল একটি পরাধীন দেশে এবং জাতিগত সঙ্কটের মুখে। কোন ব্যক্তি বা সঙ্কীর্ণ গোষ্ঠীস্বার্থ সংরণের উদ্দেশ্য সামনে রেখে মানুষকে বিভ্রানত্ম করে দলটির জন্ম হয়নি। মুসলমানদের বড় অংশ নিশ্চিনত্মে এবং স্বসত্মিতে এই দলটির পাশে দাঁড়িয়েছিল। মুসলমান সমপ্রদায়ের রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক স্বার্থ রার আদর্শকে সামনে রেখেই এগিয়েছিল দলটি। অভিন্ন উদ্দেশ্য সামনে নিয়েই প্রথম দিকের মুসলিম লীগ নেতারা নিজেদের জড়িয়েছিলেন। এদিক থেকে বিপরীত দৃশ্যপটে বিএনপির জন্ম হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনতান্ত্রিক দুর্বলতা আর বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভূমিতে তৈরি ধোঁয়াটে পরিস্থিতির সুযোগকে ব্যবহার করে সরকারী শক্তিতে বিএনপির জন্ম হয়েছিল। একটি স্বাধীন দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে পুনর্বাসিত করে এবং চিহ্নিত সুবিধাবাদী অপরাজনীতিকদের দলে ও দলীয় সরকারে ভিড়িয়ে সরকারী সুবিধা এবং আওয়ামী রাজনীতির দুর্বলতার সুযোগে বিএনপি একটি বড় দলে পরিণত হতে পেরেছিল ঠিকই কিন্তু জনকল্যাণমুখী আদর্শে নিজেদের ল্য স্থির করতে না পেরে একে জনগণের দল হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। বিএনপির জন্মদাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানের মৃতু্যর পর বেগম জিয়াকে রাজনীতিতে আনা ও দলীয় দায়িত্বে আসীন করা সে সময়ের বিবেচনায় সঠিক ছিল। কিন্তু এরপর থেকেই বলয়বন্দী হয়ে পড়ে বিএনপি। পাকিসত্মানী প্রেসক্রিপশনে আদর্শহীন বিএনপি যুদ্ধাপরাধী আর অসৎ রাজনীতিকদের হাতে বন্দী হয়ে যায়। বিগত শাসনামলে বিএনপি জোট সরকার সব ধরনের অন্যায়, দুনর্ীতি আর ষড়যন্ত্রের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা থেকে অনেকটা সরে এসেছিল। নির্বাচনে ভরাডুবির পর আত্মবিশেস্নষণ ও আত্মশুদ্ধির সরল পথে যেখানে হাঁটার কথা ছিল সেখানে ভুল পথেই পা বাড়ায় বিএনপি। অসুস্থ রাজনীতির ছকে সংসদ বর্জন করতে থাকে। বর্জনের প েসাফাই গাইতে গিয়ে যেসব হাস্যকর যুক্তি দাঁড় করাতে লাগল তাতে বিএনপির গণতান্ত্রিক চেতনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। সচেতন সাধারণ মানুষের বুঝতে অসুবিধা হলো না অল্প কটি আসন নিয়ে একদিকে সংসদে সুবিধা করতে পারবে না, অন্যদিকে সংসদ ষোল আনা কার্যকর হওয়ার সাফল্য চলে যাবে আওয়ামী লীগের ঘরে, বিএনপির প েতা মেনে নেয়া কঠিন। ফলে হঠকারী সিদ্ধানত্মে লাগাতার বর্জন করতে লাগল সংসদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে যে সব বক্তব্য উত্থাপন করল তা বিএনপি-জামায়াত ছাড়া দেশের অন্য কোন গোষ্ঠী আমলেই আনল না। অনেকদিন থেকেই রাজপথে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসছে বিএনপি। এসব ক্রমে কাগুজে বাঘে পরিণত হচ্ছে। দুদিন আগে যাদের কপালে দুনর্ীতির তিলক সাধারণের সামনে দেদীপ্যমান ছিল তারা যখন গলা চড়িয়ে 'অন্যায়ের বিরম্নদ্ধে আন্দোলনের কথা বলেন স্বাভাবিকভাবেই তা সাধারণের মন ছুঁয়ে যেতে পারে না। ফলে এই বিএনপি আর এই নেতারা মানুষের আস্থার ত্রিসীমানায় এখনও আসতে পারেননি। ছক বাধা সরকার বিরোধী কথা বললেও সাধারণ মানুষের মনে এখনও সরকারের প্রতি আস্থাহীনতার অবস্থা তৈরি হয়নি। এভাবে বিএনপি প্রতি পদে পদে পিছিয়ে পড়ছে।
বিএনপি ঠিক করেছে সংসদে আসবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য দলটির, সময় হারিয়ে এই ঘোষণা দেয়ায় সাধুবাদ পাওয়ার বদলে করম্নণাই বেশি পাবে। মানুষ বলবে 'সংসদে যাওয়ার মতো পরিবেশ নেই' যুক্তি তুলে বিএনপি নেতারা সংসদ বর্জনের কথা বলেছিলেন। এখন হঠাৎ করে পরিবেশ শুদ্ধ কেমন করে হয়ে গেল! বিএনপি নেতারা কি জানেন না যে মানুষ ভাল করেই জানে নব্বই দিনের বাধ্যবাধকতায় নিজেদের রা করতে বিএনপিকে সংসদে আসতেই হবে। তা ছাড়া সংসদে ফিরে আসার জন্য বিএনপির ভেতরেও চাপ ছিল। সুতরাং এক লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি করেই বিএনপি এখন সংসদে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে টেলিভিশনে বিএনপি মুখপাত্রের জবানি শুনছিলাম। সংসদে এসে তারা কি কি করবেন। এতকাল সবাই বলেছেন বাইরে নয় সংসদে এসে মানুষের জন্য কথা বলুন। এতদিনে সে সত্যটি বুঝতে পেরেছেন তারা। তাই সংসদই যে কথা বলার ঠিক জায়গা এতদিন পর সেই উপলব্ধির কথা জানালেন। কিন্তু যে পরিকল্পনার কথা বললেন তাতে জনকল্যাণমূলক ইসু্যর চেয়ে নেত্রী কল্যাণমূলক ইসু্য ছিল বেশি। অর্থাৎ রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব বেশ প্রকট বলেই মনে হলো। বিএনপির সবচেয়ে মুশকিল হচ্ছে নির্বাচনে হারার পরের দিশেহারা ভাবটি এখনও কাটেনি। তাই সময় পরিপক্ব হওয়ার এবং সরকারবিরোধী মনোভাব মানুষের মধ্যে স্পষ্ট হওয়ার আগেই সরকারবিরোধী আন্দোলনের আওয়াজ দিয়ে ফেলছে। পোড়খাওয়া মানুষ নিকট অতীতে বিএনপির পারফরমেন্স ভুলে যায়নি। বিএনপির চিহ্নিত নেতাদের মুখে জনকল্যাণের কথা এখনও বেসুরো লাগছে। বুঝতে হবে সফল আন্দোলন করতে হলে শুধু বিএনপি কমর্ী সমর্থকদের দিয়ে হবে না। জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন। অনেক কমর্ী সমর্থকও এখন বিএনপির দলীয় আচরণ নিয়ে দ্বিধাগ্রসত্ম। দলকে সুগঠিত করার প্রথম কাজটাই এখনও নিষ্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে মহাজোট সরকারের প্রতিপ হিসেবে দাঁড়াতে যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর ইতিবাচক রাজনীতি নিয়ে এগুনো উচিত তার ধারে কাছে যাচ্ছে না বিএনপি। বর্তমান বাসত্মবতায় বিএনপির খোঁড়া পা আরও খুঁচিয়ে দিচ্ছে জামায়াত সম্পৃক্ততা। পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের কারণে বিএনপির প্রাণভোমরা অনেকটা নিজর্ীব হয়ে যাবে। এ সব বাসত্মবতা মুসলিম লীগের শেষ দশার কথাই মনে করিয়ে দেয়।
এখন বিএনপির সঞ্জীবনী সুধা একটিই এবং তা হচ্ছে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের প্রকৃত ভুলগুলো লুফে নেয়ার জন্য অপো করা। যে সব ভুল প্রকৃত অর্থে সাধারণ মানুষকে ুব্ধ করে তুলবে সেসব সামনে এনেই আন্দোলন শাণাতে হবে। টিপাই মুখ, ট্রানজিট, বন্দর ব্যবহার এসব ছেদো বক্তব্য মানুষ গ্রহণ করবে না। বিএনপিকে নিঃসঙ্গ করে দিতে আওয়ামী সরকারের যেমন উচিত হবে সাধারণ মানুষকে বিুব্ধ করতে পারে অমন ভূমিকায় না যাওয়া তেমনি বিএনপিকে প্রার্থনা করতে হবে যেন সরকার ভুলের ফাঁদে পা দেয়।
আমরা মনে করি বিএনপি অধৈর্য না হলে সে সুযোগ পাবে। অনত্মত এক দুটি আলামত তো স্পষ্ট হচ্ছে। গত আওয়ামী সরকারকে কলঙ্কিত করেছিল কতিপয় সন্ত্রাসী গডফাদার। আওয়ামী সরকারের নির্বাচনে হারার পেছনে এদের ভূমিকা অনেকটাই প্রত্য ছিল। এবার দল আর দলীয় সরকারকে ডোবানোর জন্য ছাত্রলীগ তো প্রস্তুত হয়ে মহড়া দিয়েই বেড়াচ্ছে। সুশীল ছাত্রলীগের প্রত্যাশা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ঐকানত্মিকভাবে থাকার পরও ছাত্র রাজনীতির ধারা পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় বৈপস্নবিক পদপে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। মাত্র কয়েক মাসে ছাত্রলীগের তা-বে বেশ কয়েকটি শিা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে গেল নারকীয় ঘটনা। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অমন সঙ্কট শাণিত হচ্ছে। এখনও আওয়ামী নীতি নির্ধারকরা পচন ধরা পায়ে মলম লাগিয়ে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা একবার ুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা দিলেন। তাতে তরম্নণ তুর্কীরা হায় হায় করে নাকে খত দিয়ে সুবোধ হয়ে যায়নি। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর ঢাকা কলেজের ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে এলে তিনি রাগে ােভে দেখা দেননি। এগুলো মাতৃসুলভ শাসন। মানুষ মনে করে এরা এ ধারার শাসনের বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। সিস্টেম পরিবর্তন না করে, মদদদাতা আর তাদের গ্রম্নপিং জিইয়ে রেখে এসব শাসন কখনও ফল দিতে পারে না।
এই সরকারের আরেকটি বিষয় মানুষের মধ্যে বিরক্তি বাড়াচ্ছে। তা হচ্ছে মাকাল ফলের মতো 'কঠোর ব্যবস্থা' নেয়ার ঘোষণা। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে বাজার অস্থিতিশীল হলে বাণিজ্যমন্ত্রী কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ছাত্রলীগের ভর্তি বাণিজ্য, দখলদারিত্বের জন্য সন্ত্রাস ইত্যাদির পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রমুখ কেবল কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকিই দেন। কিন্তু এর কোন বাসত্মবায়ন মানুষ দেখে না। অপরাধীরাও এ সবে ধাতস্থ হয়ে গেছে। পাত্তা দেয় না। আর এসব বাসত্মবতা তো মানুষ প্রতিদিনই দেখছে। তাই 'কঠোর' শুনলেই বিরক্ত হচ্ছে।
একারণেই বলছি হতাশ না হয়ে এবং 'আগামী সুপ্রভাতেই রাষ্ট্রমতায় চলে আসব' এমন আশা না করে আওয়ামী লীগ ও সরকারের ভুল আর অন্যায়গুলো শনাক্ত করম্নন। ভয় নেই, জননেত্রী শেখ হাসিনা যত শুভ ইচ্ছে আর দৃঢ়তা নিয়ে পথ হাঁটতে চান না কেন তাদেরই সৃষ্ট পরিম-লই বার বার ল্যে পৌঁছার পথ বাধাগ্রসত্ম করবে। তখন অতীত অপকর্মের জন্য মা চেয়ে চিহ্নিত অসৎদের ব্যাকফুটে ফেলে অপোকৃত কিন ইমেজদের সামনে এনে নেত্রীর বাড়ির লিজ আর নিরাপত্তা নয় সাধারণ মানুষের মর্মযাতনাকে মূল্য দিয়ে রাজনীতি সাজাতে পারলে বিএনপির পুনরম্ন্তূান সম্ভব। আর এ জন্য বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগের ভুলগুলোই এখন হতে পারে বিএনপির জন্য সঞ্জীবনী সুধা
No comments