প্রামাণ্যচিত্র উসব শুরু, শেষ হলো পুতুল নাচ উসব- সংস্কৃতি সংবাদ
শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত পুতুল নাচ উৎসব ২০১০ শনিবার শেষ হয়েছে। তিন দিনব্যাপী উৎসবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ১০টি দল অংশ নেয়। একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আয়োজিত উৎসবের প্রতিদিনই উপভোগ করেন দর্শক।
শেষ দিন সন্ধ্যায় পুতুল নাচ পরিবেশন করে সাতৰীরার নিউ নিজাম পুতুল নাচ, ঢাকার আগারগাঁওয়ের আশার আলো পুতুল নাচ, বাগেরহাটের দি আজাদ পুতুল নাচ ও নারায়ণগঞ্জের নিউ সোনারগাঁ হাসিখুশি পুতুল নাচ। উৎসবের অন্যান্য দিন একই মঞ্চে পুতুল নাচ পরিবেশন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রয়েল বীণা পুতুল নাচ, ঢাকার নবাবপুরের ঝুমুর ঝুমুর পুতুল নাচ, মানিকগঞ্জের দল বিশ্বরূপা পুতুল নাচ, জামালপুরের সুমন পুতুল নাচ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বীণা পুতুল নাচ ও কুষ্টিয়ার মনহরা পুতুল নাচ। ঐতিহ্যবাহী এ নাচের পরিবেশনা ছাড়াও উৎসবে অনুষ্ঠিত হয় পুতুল নাচের ওপর অনবদ্য একটি সেমিনার। 'বাংলাদেশের পুতুল নাচের বিষয়-বৈচিত্র্য ও নন্দন ভাবনা' শীর্ষক এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. রশীদ হারম্নন। প্রশংসনীয় এ উৎসব ভবিষ্যতেও আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন একাডেমীর মহাপরিচালক কামাল লোহানী।স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব শুরম্ন
বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১০ শনিবার থেকে পাবলিক লাইব্রেরীর সেমিনার কৰে শুরম্ন হয়েছে। বিকেলে এর উদ্বোধন করেন তথ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাছের চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক বাদল রাহমান, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার ও ছড়াকার নূর হোসেন তালুকদার।
জহির রায়হানের আলোচিত নির্মাণ 'স্টপ জেনোসাইড' দিয়ে বিকেল ৩টায় শুরম্ন হয় প্রদর্শনী। এরপর প্রদর্শিত হয় শিরোপা পূর্ণা পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র 'আওয়ার এড্রেস'। উৎসবে প্রদর্শিত অন্য প্রামাণ্যচিত্রগুলোর মধ্যে ছিল 'নিঝুম দ্বীপ', 'সুন্দরের গহীন ভিতর', 'প্রতিবাদ', 'ছাড়পত্র', 'সাইকেল', 'দ্বিতীয় প্রজন্ম', 'মৃৎ', 'ঝরাফুলের বাগান' ও 'একটি প্রজন্ম'। উৎসব উপলৰে ৫৪ টি আলোকচিত্র নিয়ে লাইব্রেরী চত্ব্বরে আয়োজন করা হয়েছে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীও। তিন দিনব্যাপী উৎসবকাল সোমবার শেষ হবে।
কবিতার গানের প্রকাশনা
বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবিদের কবিতা সুরে প্রকাশ করলেন গায়িকা ঐশিকা নদী। নিজের একক অডিও এ্যালবাম 'কবিতার গান' প্রকাশ উপলৰে শনিবার শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব গান গেয়ে শোনান তিনি। জীবনানন্দ দাশ, জসীমউদ্দীন, শামসুর রাহমান, মাহবুব উল আলম চৌধুরী, আসাদ চৌধুরী, রফিক আজাদ, সমুদ্র গুপ্ত, নাসির আহমেদ, শংকর সাঁওজালসহ বেশ কয়েকজন কবির কবিতা এ এ্যালবামে স্থান পেয়েছে। সব ক'টি গানের সুর করেছেন শাহীন সরদার। এর আগে শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক কামাল লোহানী, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন প্রমুখ অতিথিরা নতুন এ সিডির মোড়ক উন্মোচন করেন।
অজামিল বণিকের কবিতার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
কবি অজামিল বণিকের কাব্যগ্রন্থ 'কেউ কেউ দেখে'র আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হলো শনিবার। এ উপলৰে জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও পশু সম্পদ সচিব মোঃ শরফুল আলম। গীতিকবি রফিকউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের পরিচালক বিশ্বজিৎ রায়। আগন্তুক প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। ৬৪ পৃষ্ঠার বইটিতে কবির লেখা ৫৫টি কবিতা স্থান পেয়েছে। এসব কবিতা থেকে অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন শিল্পী শিমুল মুসত্মাফা, নায়লা তারান্নুম কাকলী, লায়লা আফরোজ ও অনিন্দ বণিক। সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুতপা রায়, দেবাশিষ বণিক, সঞ্জয় রায়, শহীদ কবির পলাশ, সুমন রায়, জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন সুস্মিতা বণিক।
বাংলার মুখের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন
২০ বছর পূর্ণ করল সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলার মুখ। এ উপলৰে ধানম-ির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চে শনিবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সম্মাননা জানানো হয় শিল্পী অজিত রায় এবং কবি নির্মলেন্দু গুণকে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। বাংলার মুখের সভাপতি সাইফুল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন কনকচাঁপা, আবুবকর সিদ্দিকসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী।
No comments