আলজেরিয়ায় জঙ্গিদের হাতে জিম্মি ৪১ বিদেশি শ্রমিক
আলজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলের একটি গ্যাসক্ষেত্রে ৪১ জন বিদেশি শ্রমিককে জিম্মি ও দুজনকে হত্যা করেছে আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা। গত বুধবার ইন আমেনাস গ্যাসক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটে। মালিতে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ফরাসি সামরিক বাহিনীর অভিযান বন্ধের দাবিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
তবে অপহরণকারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় যেতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে আলজেরিয়ার সরকার।
আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স থেকে এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ও লিবীয় সীমান্তের ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে ইন আমেনাস গ্যাসক্ষেত্রে গত বুধবার বিকেলে জঙ্গি হামলা হয়। আলজেরিয় রাষ্ট্রীয় তেল কম্পানি সোনাট্রাচ, ব্রিটিশ তেল কম্পানি বিপি ও নরওয়ের তেল কম্পানি স্ট্যাটোয়েল মিলিতভাবে গ্যাসক্ষেত্রটি পরিচালনা করছে। প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গিরা ইন আমেনাস বিমানবন্দর অভিমুখী শ্রমিকদের একটি বাসে হামলা চালায়। বাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা জঙ্গিদের ধাওয়া দেন। এ সময় তিন বিদেশিসহ ছয়জন আহত হয়। সেখান থেকে সরে গিয়ে গ্যাসক্ষেত্রের আবাসিক এলাকায় অবস্থানকারী ব্যক্তিদের জিম্মি করে জঙ্গিরা। পরে কয়েক ডজন আলজেরিয় শ্রমিককে সেখান থেকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। ৪১ জন বিদেশি শ্রমিককে আটকে রাখার দাবি করেছে তারা। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাতজনসহ ব্রিটেন, নরওয়ে, ফ্রান্স, রোমানিয়া, কলম্বিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, আয়ারল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আর্মেনিয়ার নাগরিক রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৩০ আলজেরিয় শ্রমিক জঙ্গিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্যাসক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আলজেরিয় সেনারা গ্যাসক্ষেত্রের চারপাশ ঘিরে রেখেছিল।
আলজেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাবিলা জানান, বিদেশি জিম্মিদের নিয়ে জঙ্গিরা আলজেরিয়া থেকে বের হয়ে যেতে চাচ্ছে। কিন্তু আলজেরিয় সরকার তাদের চলে যাওয়ার অনুমতি দিতে বা তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় যেতে রাজি নয়। অপহরণকারীদের সবাই আলজেরিয় নাগরিক এবং তারা আল-কায়েদা ইন ইসলামিক মাগরিবের (একিউআইএম) জ্যেষ্ঠ নেতা মোখতার বেলমোখতারের নির্দেশে কাজ করছে বলেও জানান কাবিলা। বিবিসি জানায়, খালেদ আবু-আল আব্বাস ব্রিগেড ও সিঙ্গলড্ ইন ব্লাড ব্যাটালিয়ন নামের দুটি দল গ্যাসক্ষেত্রে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
ইন আমেনাস থেকে আল-জাজিরা টেলিভিশনকে টেলিফোনে আবু আল-বারা নামের এক জঙ্গি নেতা বলেন, শ্রমিকদের মুক্তির বিনিময়ে মালিতে ফ্রান্সের অভিযান বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে মালির জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছে। অপহরণের মাধ্যমে জিহাদিদের আপসহীন অবস্থানের ব্যাপারে আলজেরিয়াকে রাজনৈতিক বার্তা পাঠানো হলো। জিম্মিদের কিছু হলে তার জন্য আলজেরিয়া ও ফ্রান্স সরকার দায়ী থাকবে বলেও হুমকি দিয়েছে জঙ্গিরা।
এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গতকাল ইন আমেনাসে এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে ঘটনাটিকে 'নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য ঠাণ্ডা মাথার খুন' বলে উল্লেখ করেছেন। গ্যাসক্ষেত্রে আরো কয়েকজন ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছেন এবং ব্রিটেন এই সংকট সমাধানের ব্যাপারে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিওন প্যানেটা বলেন, সবদিক থেকেই এটি সন্ত্রাসী হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্র কঠোরভাবে এ ধরনের হামলার নিন্দা জানাচ্ছে। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জেন্স স্তলতেনবার্গ জানান, স্ট্যাটোয়েলের ১৩ কর্মী জিম্মি আছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স থেকে এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ও লিবীয় সীমান্তের ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে ইন আমেনাস গ্যাসক্ষেত্রে গত বুধবার বিকেলে জঙ্গি হামলা হয়। আলজেরিয় রাষ্ট্রীয় তেল কম্পানি সোনাট্রাচ, ব্রিটিশ তেল কম্পানি বিপি ও নরওয়ের তেল কম্পানি স্ট্যাটোয়েল মিলিতভাবে গ্যাসক্ষেত্রটি পরিচালনা করছে। প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গিরা ইন আমেনাস বিমানবন্দর অভিমুখী শ্রমিকদের একটি বাসে হামলা চালায়। বাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা জঙ্গিদের ধাওয়া দেন। এ সময় তিন বিদেশিসহ ছয়জন আহত হয়। সেখান থেকে সরে গিয়ে গ্যাসক্ষেত্রের আবাসিক এলাকায় অবস্থানকারী ব্যক্তিদের জিম্মি করে জঙ্গিরা। পরে কয়েক ডজন আলজেরিয় শ্রমিককে সেখান থেকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। ৪১ জন বিদেশি শ্রমিককে আটকে রাখার দাবি করেছে তারা। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাতজনসহ ব্রিটেন, নরওয়ে, ফ্রান্স, রোমানিয়া, কলম্বিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, আয়ারল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আর্মেনিয়ার নাগরিক রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৩০ আলজেরিয় শ্রমিক জঙ্গিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্যাসক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আলজেরিয় সেনারা গ্যাসক্ষেত্রের চারপাশ ঘিরে রেখেছিল।
আলজেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাবিলা জানান, বিদেশি জিম্মিদের নিয়ে জঙ্গিরা আলজেরিয়া থেকে বের হয়ে যেতে চাচ্ছে। কিন্তু আলজেরিয় সরকার তাদের চলে যাওয়ার অনুমতি দিতে বা তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় যেতে রাজি নয়। অপহরণকারীদের সবাই আলজেরিয় নাগরিক এবং তারা আল-কায়েদা ইন ইসলামিক মাগরিবের (একিউআইএম) জ্যেষ্ঠ নেতা মোখতার বেলমোখতারের নির্দেশে কাজ করছে বলেও জানান কাবিলা। বিবিসি জানায়, খালেদ আবু-আল আব্বাস ব্রিগেড ও সিঙ্গলড্ ইন ব্লাড ব্যাটালিয়ন নামের দুটি দল গ্যাসক্ষেত্রে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
ইন আমেনাস থেকে আল-জাজিরা টেলিভিশনকে টেলিফোনে আবু আল-বারা নামের এক জঙ্গি নেতা বলেন, শ্রমিকদের মুক্তির বিনিময়ে মালিতে ফ্রান্সের অভিযান বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে মালির জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছে। অপহরণের মাধ্যমে জিহাদিদের আপসহীন অবস্থানের ব্যাপারে আলজেরিয়াকে রাজনৈতিক বার্তা পাঠানো হলো। জিম্মিদের কিছু হলে তার জন্য আলজেরিয়া ও ফ্রান্স সরকার দায়ী থাকবে বলেও হুমকি দিয়েছে জঙ্গিরা।
এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গতকাল ইন আমেনাসে এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে ঘটনাটিকে 'নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য ঠাণ্ডা মাথার খুন' বলে উল্লেখ করেছেন। গ্যাসক্ষেত্রে আরো কয়েকজন ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছেন এবং ব্রিটেন এই সংকট সমাধানের ব্যাপারে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিওন প্যানেটা বলেন, সবদিক থেকেই এটি সন্ত্রাসী হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্র কঠোরভাবে এ ধরনের হামলার নিন্দা জানাচ্ছে। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জেন্স স্তলতেনবার্গ জানান, স্ট্যাটোয়েলের ১৩ কর্মী জিম্মি আছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments