খাদ্যাভ্যাস নিয়মনীতি মেনে চললে কিডনি রোগ এড়ানো সম্ভব- বিসিএসআইআর-এ সেমিনার

নেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ধ্বংস করতে পারে। কারও জন্মগতভাবে কিডনির কার্যকারিতা কম থাকলে অথবা কিডনির আকার ছোট-বড় হলেও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হতে পারে।
বাংলাদেশে বছরে ৪০ হাজার লোকের কিডনি বিকল হয়। স্বভাবতই কিডনি ফেল হলে হার্ট এ্যাটাক করে রোগী মারা যায়। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের সবচেয়ে অসুবিধা হলো বেশিরভাগ ৰেত্রেই এ ধরনের রোগীদের কোন উপসর্গ হয় না। ফলে বছরের পর বছর এরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় না। যখন তাদের উপসর্গ দেখা দেয় তখন তাদের কিডনির কার্যকারিতা ৭৫% লোপ পায়। এরপর ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করে কিডনি পরিপূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা বেশিরভাগ ৰেত্রেই সম্ভব হয় না। শনিবার বিসিএসআইআর-এ অনুষ্ঠিত 'বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য এ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স' আয়োজিত 'ক্রনিক কিডনি ডিজিস : প্রেৰাপট বাংলাদেশ' শীর্ষক এক সেমিনারে কিডনি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, নেফ্রোলজি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, বিশিষ্ট কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হারম্নন-অর-রশিদ এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কেবলমাত্র সচেতনতার মাধ্যমেই একজন রোগীর কিডনি রোগ আছে কিনা তা জানা সম্ভব। যেমন যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের উপসর্গ থাকুক বা না থাকুক, তাঁর রক্তচাপ নিয়মিত পরিমাপ, প্রস্রাবে এ্যালবুমিন নির্গত হচ্ছে কি না তা জানা এবং ডায়াবেটিস আছে কিনা তা নিরূপণ করা প্রয়োজন। পরীৰাগুলোতে তার ২৫০-৩০০ টাকা ব্যয় হতে পারে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন 'বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য এ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স'-এর সভাপতি এবং বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম, ভিসি, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির, ভিসি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক বলেন, নিয়ম মাফিক খাওয়া-দাওয়া এবং টেনশনমুক্ত থাকলে এ রোগ এড়ানো সম্ভব। খাদ্যাভ্যাসের বিষয়ে তিনি বলেন, ফাস্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংকস চর্চা বন্ধ করলে এবং বয়স অনুযায়ী খাদ্যের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই এ রোগ থেকে রৰা পাওয়া সম্ভব। _প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

No comments

Powered by Blogger.