তুরাগের বালু ব্যবসায়ীদের চারটি গদি উচ্ছেদ
তুরাগ নদের তীর দখল করে ইট, বালু ও খোয়ার ব্যবসা করার অভিযোগে চারটি গদি উচ্ছেদ করা হয়েছে। গদিগুলো থেকে বাঁশ ও বালু জব্দ করে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
তবে বালু ব্যবসায়ী বা গদির মালিক কাউকেই ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। রাজধানীর শাহ আলী থানার উপপরিদর্শক ছবির উদ্দিন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে তুরাগ নদের পূর্ব তীর শিন্নিরটেক এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। মাটি কাটার দুটি বেকু দিয়ে বালু তোলার পাইপ ও অস্থায়ী গদিঘর উচ্ছেদ করা হয়। তুরাগ নদের সীমানার ভেতর ও বাইরের দিকে প্রায় ১৫০ ফুট জায়গা দখল করে ওইসব অবৈধ বালুর গদি গড়ে উঠেছে। বালুর স্তূপের মাঝখানে তুরাগ নদের সীমানা নির্ধারণী পিলার ছিল। আশপাশে এ রকম ১২টি বালুর গদি রয়েছে। উচ্ছেদ করা চারটি গদি থেকে ৩৫০টি বাঁশ ও এক লাখ ৮০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হয়। নিলামে জনৈক সুমন পাঁচ হাজার ১০০ টাকার বাঁশ ও মো. রিপন তিন লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকার বালু কেনেন।নির্বাহী হাকিম বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তুরাগ তীর দখলমুক্ত করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে নদের ৩০ কিলোমিটার তীরে বেদখল হওয়া সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। আগামী তিন দিন এ উচ্ছেদ অভিযান চলবে। বালু ব্যবসায়ী বা জমির মালিককে পাওয়া গেলে নদ দখল করার অভিযোগে জেল-জরিমানা করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মিরপুর ল্যান্ডিং স্টেশনের মাত্র ১০০ গজ দূরত্বে এসব গদিতে আট থেকে ১০ বছর ধরে বালুর ব্যবসা চলছে। ছোট দিয়াবাড়ি এলাকার মো. শওকত (৪২) অভিযোগ করেন, স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা নিয়মিত বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন।
বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন উপপরিচালক মো. সফিকুল হক বালু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
No comments