ডিজিটাল দেশ গড়তে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎৰেপণ করা হবে- সংসদে ডাক ও টেলি মন্ত্রী
সংসদ রিপোর্টার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎৰেপণ করা হবে। নিজস্ব স্যাটেলাইটের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। এটি উৎৰেপণ করতে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন পড়বে। ইতোমধ্যে চীন, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে। আলোচনা শেষে দ্রম্নতই নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎৰেপণ করা হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে সংসদ সদস্য নজরম্নল ইসলামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এ তথ্য জানান। তিনি জানান, জৌলুস হারানো ডাকবিভাগকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সারাদেশে সরকারী কুরিয়ার সার্ভিস চালুর বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।তানভীর শাকিল জয়ের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিনটি আইজিডবিস্নউ, দু'টি আইসিএক্স এবং একটি আইআইজি লাইসেন্স বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় দেয়া হয়েছে। তাছাড়া এর প্রতিটি লাইসেন্সের একটি করে সরকারের জন্য রাখা হয়েছে। তবে লাইসেন্স সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে আনত্মর্জাতিক টেলিযোগাযোগ নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সামনের কেবিনেট বৈঠকেই এ বিষয়টি উঠবে।
সরকারী দলের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জানান, গ্রামীণ, বাংলালিংক, একটেল, সিটিসেল, ওয়ারিদ এবং টেলিটক এ ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছ থেকে ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে সরকার ৫ হাজার ৬৯২ কোটি ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোন ৩ হাজার ৪৯১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, বাংলালিংক ১ হাজার ৫১ কোটি ১০ লাখ টাকা, একটেল ৭৮৪ কোটি ১০ লাখ টাকা, সিটিসেল ১৯১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ওয়ারিদ ১২৬ কোটি টাকা এবং টেলিটক ৪৮ কোটি ২০ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়েছে। তিনি আরও জানান, গত নবেম্বর পর্যনত্ম ওই ছয়টি কোম্পানির মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ১ কোটি ২৩ লাখ, বাংলালিংকের ১ কোটি ৩০ লাখ, একটেলের ৮৯ লাখ, সিটিসেলের ২০ লাখ, ওয়ারিদের ২৯ লাখ এবং টেলিটকের ১১ লাখ গ্রাহক আছে। অন্যদিকে সরকারী ল্যান্ডফোন কোম্পানি বিটিসিএলের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৯।
তাজুল ইসলামের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আইনানুসারে কারও বয়স ১৮ বছর না হলে মোবাইল ফোন কেনার সুযোগ তার নেই। অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের হাতে মোবাইল তুলে দেয়ার কারণে আর কারোরই কিছু করার থাকে না। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের হাতে মোবাইল ফোন চলে যাওয়ার কারণে তাদের লেখাপড়ায় অমনোযোগী হওয়ার সুযোগ থাকে। তবে এগুলো পরিবারের দিক থেকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে কার্যকর করার মাধ্যমে নতুন করে টেলিফোন সেট তৈরি শুরম্ন হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যে মোবাইল সেট তৈরির কাজ শুরম্ন হবে। এখন ১০ হাজার টাকার মধ্যে ল্যাপটপ তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কয়েকটি বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে আলাপ শুরম্ন করেছি।
No comments