‘লাভ’ নাই
টেনিসের সাবেক এক নম্বর তারকা, নামের পাশে ১৩টি গ্র্যান্ড স্লাম। কিন্তু সেরেনা উইলিয়ামস ‘প্রেমের কোর্টে’ মোটেও দক্ষ নন কখনো খেয়াল করেছেন টেনিসে ‘লাভ’ মানে শূন্য? বানান একই। এল-ও-ভি-ই। এত কিছু থাকতে শূন্য বোঝাতে কেন ‘লাভ’টাকেই বেছে নিতে হলো! ভালোবাসা তো শূন্যতার নয়, পূর্ণতার। শুকনো হূদয়ের খাঁ খাঁ শূন্যতা বৃষ্টিভেজা বাতাস দিয়ে ভরিয়ে তোলার নামই তো ভালোবাসা। তবে?
এ ব্যাপারে সবচেয়ে প্রচলিত তত্ত্বটা হলো, টেনিসের ‘লাভ’ শব্দটা এসেছে ফরাসি ‘লউফ’ থেকে, যার মানে ডিম। ডিম দেখতে শূন্যের মতোই কিনা! এই তত্ত্বের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথা আছে। তবে আমরা সেসব তত্ত্ব তাবাশ নিয়ে খামোখা মাথা ঘামাব না। আমাদের উদ্দেশ্য অন্যখানে।
টেনিস-লাভ-শূন্য—এই ত্রিমাত্রিক ব্যাপারটা কেন জানি সেরেনা উইলিয়ামসের জীবনে ঘটে গেছে। হতে পারে তিনি ক্যারিয়ারে একক-মিশ্র-দ্বৈত মিশ্র মিলে সা-তা-শটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন, ভালোবাসার খেলায় সেরেনা এখনো বড্ড কাঁচা। ঠিকমতো সার্ভই করতে পারেন না। বল বারবার আটকে যায় জালে!
মাঝখানে শোনা গেল উইলিয়ামস বোনেরা কি এক দীক্ষা নিয়েছেন। তাঁরা বিয়েই করবেন না। সে তাঁদের ব্যক্তিগত অভিরুচি। তাতে নাক গলানো শোভা পায় না। কিন্তু সেরেনা যে দিব্যি প্রেম করে বেড়াচ্ছেন র্যাপ তারকা কমনের সঙ্গে! এই প্রেমের ভবিষ্যৎ তাহলে কী?
২০০৭ সালে কমনের একটি মিউজিক ভিডিওতে পারফর্ম করেন সেরেনা। গানের শিরোনাম ‘আই ওয়ান্ট ইউ’। কদিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গেল, এটা শুধু গানের শিরোনামই নয়, কমনের মনের কথাও। দুজনই মুখে অস্বীকার করলেও একসঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে সেরেনা-কমনের অনেক ছবিই ছাপা হতে থাকল ট্যাবলয়েডগুলোতে। চাইলে আপনিও গুগলে একটা ঘষা মেরে দেখতে পারেন।
নিন্দুকেরা অনেকেই বলেছিল, এই প্রণয় পরিণয়ে পরিণত হবে না। নিন্দুকেরা কী, সেরেনা নিজেই সন্দিহান ছিলেন এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পরিণতি নিয়ে। দুই বছর বয়সী প্রেমের ভ্রূণটাকে আরও বড় হওয়ার আগেই হত্যা করা হলো। ২০১০ সালের কথা। দুজনের ইচ্ছাতেই সম্পর্কের মধ্যখানে দেয়াল তুলে দেওয়া। তবে সেরেনা পরে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এই সম্পর্কের প্রধান শত্রু ছিল দুজনের ব্যস্ততা। তার পরও তিনি চেষ্টা করেছেন, ‘ওর সূচি আসলে আমার চেয়েও বেশি জঘন্য (ব্যস্ত অর্থে)। তা ছাড়া ও এখন কোনো দায়িত্বও নিতে চাইনি। এটা আসলেই খুব কঠিন।’
টেনিসের সর্বকালের অন্যতম সফল এই নারী খেলোয়াড় প্রেমের কোর্টে ব্যর্থ হয়েছেন বেশ কবারই। অবশ্য আমেরিকান ফুটবল খেলোয়াড় লাভার অ্যারিংটন, কিশন জনসন থেকে শুরু করে চিত্রপরিচালক ব্রেট র্যাটনার কিংবা অভিনেতা জ্যাকি লং—এঁদের সঙ্গে সেরেনার সম্পর্কের শক্ত সাক্ষী-সাবুদ জোগাড় করা মুশকিল। তবে কিনা বাংলাতেই প্রবাদ আছে, ‘...কিছুটা তো সত্যি বটে।’ ওই সম্পর্কগুলোকে স্বীকৃতি না দিলেও সেরেনা কমনের ব্যাপারে একসময় খোলাখুলিই কথা বলেছেন।
কিন্তু দুই বছর হয়ে গেল ‘লাভ’-এর স্কোর আসলেই যেন ‘লাভ’ হয়ে আছে। তাহলে? না, ৩০ বছর বয়সী এই তারকা জানালেন, এখন আর প্রেমের এক্কাদোক্কা খেলার বয়স আর মন দুটোই তাঁর নেই। এমনও মন্তব্য করলেন, ‘আমি আসলে কোনো দিন অভিসারই করিনি।’ অর্থাৎ প্রেম হয়েও যেন ঠিক প্রেম হয়ে ওঠেনি। কেন? ‘কারণ আমি খুব খুঁতখুঁতে, কখনোই পুরো তৃপ্তি পাই না।’
কিন্তু প্রকৃতি নিজেই শূন্যতা পছন্দ করে না। সেরেনার স্বপ্নের রাজপুত্র ঘোড়ায় জিন চাপিয়েছে নিশ্চয়ই। এই রওনা হলো বলে!
রাজীব হাসান
টেনিস-লাভ-শূন্য—এই ত্রিমাত্রিক ব্যাপারটা কেন জানি সেরেনা উইলিয়ামসের জীবনে ঘটে গেছে। হতে পারে তিনি ক্যারিয়ারে একক-মিশ্র-দ্বৈত মিশ্র মিলে সা-তা-শটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন, ভালোবাসার খেলায় সেরেনা এখনো বড্ড কাঁচা। ঠিকমতো সার্ভই করতে পারেন না। বল বারবার আটকে যায় জালে!
মাঝখানে শোনা গেল উইলিয়ামস বোনেরা কি এক দীক্ষা নিয়েছেন। তাঁরা বিয়েই করবেন না। সে তাঁদের ব্যক্তিগত অভিরুচি। তাতে নাক গলানো শোভা পায় না। কিন্তু সেরেনা যে দিব্যি প্রেম করে বেড়াচ্ছেন র্যাপ তারকা কমনের সঙ্গে! এই প্রেমের ভবিষ্যৎ তাহলে কী?
২০০৭ সালে কমনের একটি মিউজিক ভিডিওতে পারফর্ম করেন সেরেনা। গানের শিরোনাম ‘আই ওয়ান্ট ইউ’। কদিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গেল, এটা শুধু গানের শিরোনামই নয়, কমনের মনের কথাও। দুজনই মুখে অস্বীকার করলেও একসঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে সেরেনা-কমনের অনেক ছবিই ছাপা হতে থাকল ট্যাবলয়েডগুলোতে। চাইলে আপনিও গুগলে একটা ঘষা মেরে দেখতে পারেন।
নিন্দুকেরা অনেকেই বলেছিল, এই প্রণয় পরিণয়ে পরিণত হবে না। নিন্দুকেরা কী, সেরেনা নিজেই সন্দিহান ছিলেন এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পরিণতি নিয়ে। দুই বছর বয়সী প্রেমের ভ্রূণটাকে আরও বড় হওয়ার আগেই হত্যা করা হলো। ২০১০ সালের কথা। দুজনের ইচ্ছাতেই সম্পর্কের মধ্যখানে দেয়াল তুলে দেওয়া। তবে সেরেনা পরে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এই সম্পর্কের প্রধান শত্রু ছিল দুজনের ব্যস্ততা। তার পরও তিনি চেষ্টা করেছেন, ‘ওর সূচি আসলে আমার চেয়েও বেশি জঘন্য (ব্যস্ত অর্থে)। তা ছাড়া ও এখন কোনো দায়িত্বও নিতে চাইনি। এটা আসলেই খুব কঠিন।’
টেনিসের সর্বকালের অন্যতম সফল এই নারী খেলোয়াড় প্রেমের কোর্টে ব্যর্থ হয়েছেন বেশ কবারই। অবশ্য আমেরিকান ফুটবল খেলোয়াড় লাভার অ্যারিংটন, কিশন জনসন থেকে শুরু করে চিত্রপরিচালক ব্রেট র্যাটনার কিংবা অভিনেতা জ্যাকি লং—এঁদের সঙ্গে সেরেনার সম্পর্কের শক্ত সাক্ষী-সাবুদ জোগাড় করা মুশকিল। তবে কিনা বাংলাতেই প্রবাদ আছে, ‘...কিছুটা তো সত্যি বটে।’ ওই সম্পর্কগুলোকে স্বীকৃতি না দিলেও সেরেনা কমনের ব্যাপারে একসময় খোলাখুলিই কথা বলেছেন।
কিন্তু দুই বছর হয়ে গেল ‘লাভ’-এর স্কোর আসলেই যেন ‘লাভ’ হয়ে আছে। তাহলে? না, ৩০ বছর বয়সী এই তারকা জানালেন, এখন আর প্রেমের এক্কাদোক্কা খেলার বয়স আর মন দুটোই তাঁর নেই। এমনও মন্তব্য করলেন, ‘আমি আসলে কোনো দিন অভিসারই করিনি।’ অর্থাৎ প্রেম হয়েও যেন ঠিক প্রেম হয়ে ওঠেনি। কেন? ‘কারণ আমি খুব খুঁতখুঁতে, কখনোই পুরো তৃপ্তি পাই না।’
কিন্তু প্রকৃতি নিজেই শূন্যতা পছন্দ করে না। সেরেনার স্বপ্নের রাজপুত্র ঘোড়ায় জিন চাপিয়েছে নিশ্চয়ই। এই রওনা হলো বলে!
রাজীব হাসান
No comments