পবিত্র কোরআনের আলো-ধন-সম্পদ ও পরিবার-পরিজন যেন আল্লাহর পথের বাধা না হয়
২১. ইউবাশ্শিরুহুম্ রাব্বুহুম বিরাহ্মাতিম্ মিনহু ওয়া রিদ্বওয়া-নিন ওয়া জান্নাতিন লাহুম ফীহা- নায়ী'মুম্ মুক্বীম।
২২. খা-লিদীনা ফীহা আবাদা-; ইন্নাল্লাহা ই'নদাহূ আজরুন আ'যীম। ২৩. ইয়া-আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা তাত্তাখিযূ আ-বা-আকুম ওয়া ইখ্ওয়ানাকুম আওলিইয়া-আ ইনিছ্তাহাব্বুল কুফরা আ'লাল ঈমানি; ওয়া মান ইয়্যাতাওয়াল্লাহুম্ মিনকুম ফাউলায়িকা হুমুয্ যালিমূন।
২২. খা-লিদীনা ফীহা আবাদা-; ইন্নাল্লাহা ই'নদাহূ আজরুন আ'যীম। ২৩. ইয়া-আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা তাত্তাখিযূ আ-বা-আকুম ওয়া ইখ্ওয়ানাকুম আওলিইয়া-আ ইনিছ্তাহাব্বুল কুফরা আ'লাল ঈমানি; ওয়া মান ইয়্যাতাওয়াল্লাহুম্ মিনকুম ফাউলায়িকা হুমুয্ যালিমূন।
২৪. ক্বুল ইন কা-না আ-বা-উকুম ওয়া আব্না-উকুম ওয়া ইখ্ওয়ানুকুম ওয়া আয্ওয়াজুকুম ওয়া আ'শীরাতুকুম ওয়া আমওয়া-লুনিক্বতারাফ্তুমূহা ওয়া তিজারাতুন তাখ্শাওনা কাছাদাহা ওয়া মাছাকিনু তারদ্বাওনাহা আহাব্বা ইলাইকুম্ মিনাল্লাহি ওয়া রাছূলিহী ওয়া জিহাদিন ফী ছাবীলিহী ফাতারাব্বাসূ হাত্তা ইয়া'তিইয়াল্লাহু বিআম্রিহি; ওয়াল্লাহু লা-ইয়াহ্দিল্ ক্বাওমাল ফাছিক্বীন।
[সুরা : আত্ তাওবা, আয়াত : ২১-২৪]
অনুবাদ
২১. তাদের প্রতিপালক তাদের জন্য নিজের পক্ষ থেকে রহমত, সন্তুষ্টি ও এমন জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার ভেতর তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী নিয়ামত।
২২. তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে রয়েছে মহা প্রতিদান।
২৩. হে মুমিনরা, তোমাদের পিতা ও ভাইয়েরা যদি ইমানের বিপরীতে কুফরিকেই পছন্দ করে, তবে তাদের নিজের অভিভাবক বানাইও না। তোমাদের মধ্য থেকে যারা তাদের অভিভাবক বানাবে, তারা জালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২৪. (হে নবী! মুসলিমদের) বলুন, তোমাদের কাছে যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের পুত্র, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের পরিবার-পরিজন, তোমাদের ধন-সম্পদ_যা তোমরা অর্জন করেছ এবং তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতে মন্দার আশঙ্কায় ভীত থাকো এবং তোমাদের বাড়িঘর, যা তোমরা পছন্দ কর, এগুলো যদি তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয়ে ওঠে আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তাহলে অপেক্ষা করো যতক্ষণ না আল্লাহ নিজ ফায়সালা প্রকাশ করেন। আল্লাহ তায়ালা পাপাচারী সম্প্রদায়কে সঠিক পথের দিশা দেন না।
ব্যাখ্যা
২১ ও ২২ নম্বর আয়াত আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায় এসেছে। এখানে যারা ইমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং জিহাদে অংশ নিয়েছে, তাদের সৌভাগ্যমণ্ডিত পরিণতির কথা বলা হয়েছে। ২৩ নম্বর আয়াতে ইমানদারদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, তারা যেন ইমান আনতে অনিচ্ছুক মা-বাবা ও ভাইবোনদের সঙ্গে অন্তত ধর্মীয় নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মূল বক্তব্য হলো, তাদের সঙ্গে এমন সম্পর্ক রেখো না, যা তোমাদের দ্বীনি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। নিজেদের ইমান রক্ষা করা ও দ্বীনি কর্তব্য পালনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে সদাচরণ করার নির্দেশ অবশ্যই রয়েছে। ইসলামে সেটা উপেক্ষণীয় নয়। রাসুল (সা.)-এর প্রতি যখন হিজরতের আদেশ জারি হয়, তখন সাহাবিদের কেউ কেউ স্বেচ্ছায় সাগ্রহে হিজরত করেন। কিন্তু কেউ কেউ মা-বাবা, ছেলে-মেয়ে ও ধন-সম্পদের মায়ায় হিজরত করতে ব্যর্থ হন। এই পটভূমিতেই আয়াতটি নাজিল হয়েছে।
২৪ নম্বর আয়াতে 'আমর' বা ফায়সালা শব্দ দ্বারা শান্তির ফায়সালা বোঝানো হয়েছে। এ আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট করা হয়েছে যে মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, অর্থ-সম্পদ, ঘর-বাড়ি, জায়গা-জমি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য_সবই আল্লাহর নিয়ামত। তবে ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ এগুলো আল্লাহর হুকুম পালনে বাধা না হবে। যদি বাধা হয়ে যায়, তবে এসব জিনিসকে পাশ কাটিয়ে চলার ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। এই আয়াতটির শানেনুজুল এ রকম_হিজরতের আদেশ হওয়ার পর যারা হিজরত করতে ব্যর্থ হন, তাদের উদ্দেশ করে এই আয়াতটি নাজিল হয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
[সুরা : আত্ তাওবা, আয়াত : ২১-২৪]
অনুবাদ
২১. তাদের প্রতিপালক তাদের জন্য নিজের পক্ষ থেকে রহমত, সন্তুষ্টি ও এমন জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার ভেতর তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী নিয়ামত।
২২. তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে রয়েছে মহা প্রতিদান।
২৩. হে মুমিনরা, তোমাদের পিতা ও ভাইয়েরা যদি ইমানের বিপরীতে কুফরিকেই পছন্দ করে, তবে তাদের নিজের অভিভাবক বানাইও না। তোমাদের মধ্য থেকে যারা তাদের অভিভাবক বানাবে, তারা জালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২৪. (হে নবী! মুসলিমদের) বলুন, তোমাদের কাছে যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের পুত্র, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের পরিবার-পরিজন, তোমাদের ধন-সম্পদ_যা তোমরা অর্জন করেছ এবং তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতে মন্দার আশঙ্কায় ভীত থাকো এবং তোমাদের বাড়িঘর, যা তোমরা পছন্দ কর, এগুলো যদি তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয়ে ওঠে আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তাহলে অপেক্ষা করো যতক্ষণ না আল্লাহ নিজ ফায়সালা প্রকাশ করেন। আল্লাহ তায়ালা পাপাচারী সম্প্রদায়কে সঠিক পথের দিশা দেন না।
ব্যাখ্যা
২১ ও ২২ নম্বর আয়াত আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায় এসেছে। এখানে যারা ইমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং জিহাদে অংশ নিয়েছে, তাদের সৌভাগ্যমণ্ডিত পরিণতির কথা বলা হয়েছে। ২৩ নম্বর আয়াতে ইমানদারদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, তারা যেন ইমান আনতে অনিচ্ছুক মা-বাবা ও ভাইবোনদের সঙ্গে অন্তত ধর্মীয় নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মূল বক্তব্য হলো, তাদের সঙ্গে এমন সম্পর্ক রেখো না, যা তোমাদের দ্বীনি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। নিজেদের ইমান রক্ষা করা ও দ্বীনি কর্তব্য পালনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে সদাচরণ করার নির্দেশ অবশ্যই রয়েছে। ইসলামে সেটা উপেক্ষণীয় নয়। রাসুল (সা.)-এর প্রতি যখন হিজরতের আদেশ জারি হয়, তখন সাহাবিদের কেউ কেউ স্বেচ্ছায় সাগ্রহে হিজরত করেন। কিন্তু কেউ কেউ মা-বাবা, ছেলে-মেয়ে ও ধন-সম্পদের মায়ায় হিজরত করতে ব্যর্থ হন। এই পটভূমিতেই আয়াতটি নাজিল হয়েছে।
২৪ নম্বর আয়াতে 'আমর' বা ফায়সালা শব্দ দ্বারা শান্তির ফায়সালা বোঝানো হয়েছে। এ আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট করা হয়েছে যে মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, অর্থ-সম্পদ, ঘর-বাড়ি, জায়গা-জমি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য_সবই আল্লাহর নিয়ামত। তবে ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ এগুলো আল্লাহর হুকুম পালনে বাধা না হবে। যদি বাধা হয়ে যায়, তবে এসব জিনিসকে পাশ কাটিয়ে চলার ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। এই আয়াতটির শানেনুজুল এ রকম_হিজরতের আদেশ হওয়ার পর যারা হিজরত করতে ব্যর্থ হন, তাদের উদ্দেশ করে এই আয়াতটি নাজিল হয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments