আপিল করবে সরকার
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে
জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে যে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে,
তার বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের প্রধান সমন্বয়কারী ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান এ কথা জানান।
এম কে রহমান প্রথম আলোকে জানান, আপিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রায়ে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ থেকে কাদের মোল্লাকে খালাস দেওয়া হয়। রায়ের ওই অংশ চ্যালেঞ্জ করে ৩০ দিনের মধ্যেই আপিল করা হবে।
এম কে রহমান বলেন, ‘সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ন্যায়বিচারের স্বার্থে পুরো মামলাটি বিবেচনার জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করব। ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে রায়ের বিরুদ্ধে শুধু আসামিপক্ষের আপিল করার সুযোগ ছিল। এতে সরকারের আপিল করার কোনো সুযোগ ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলে ওই আইনের সংশোধনীতে সরকারপক্ষেরও আপিল করার সুযোগ রয়েছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ২১(২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো খালাস আদেশের বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবে।
কাদের মোল্লাকে চতুর্থ অভিযোগ ঘাটারচর ও ভাওয়াল খানবাড়ি হত্যাকাণ্ড থেকে খালাস দেওয়া হয়। রায়ে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট দুই সাক্ষী যে আসামিকে চিনতেন, তা প্রাপ্ত সাক্ষ্যে ট্রাইব্যুনাল বিশ্বাস করতে পারেননি। ফলে এটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় না যে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাকিস্তানি সহযোগীদের সঙ্গে রাইফেল হাতে কাদের মোল্লা নিজে উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে হত্যা ও ধর্ষণের ছয়টি অভিযোগের দুটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরও তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল রাত নয়টার দিকে শাহবাগে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গিয়ে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, এ রায় নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। যে অভিযোগ থেকে কাদের মোল্লাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
এম কে রহমান প্রথম আলোকে জানান, আপিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রায়ে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ থেকে কাদের মোল্লাকে খালাস দেওয়া হয়। রায়ের ওই অংশ চ্যালেঞ্জ করে ৩০ দিনের মধ্যেই আপিল করা হবে।
এম কে রহমান বলেন, ‘সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ন্যায়বিচারের স্বার্থে পুরো মামলাটি বিবেচনার জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করব। ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে রায়ের বিরুদ্ধে শুধু আসামিপক্ষের আপিল করার সুযোগ ছিল। এতে সরকারের আপিল করার কোনো সুযোগ ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলে ওই আইনের সংশোধনীতে সরকারপক্ষেরও আপিল করার সুযোগ রয়েছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ২১(২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো খালাস আদেশের বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবে।
কাদের মোল্লাকে চতুর্থ অভিযোগ ঘাটারচর ও ভাওয়াল খানবাড়ি হত্যাকাণ্ড থেকে খালাস দেওয়া হয়। রায়ে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট দুই সাক্ষী যে আসামিকে চিনতেন, তা প্রাপ্ত সাক্ষ্যে ট্রাইব্যুনাল বিশ্বাস করতে পারেননি। ফলে এটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় না যে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাকিস্তানি সহযোগীদের সঙ্গে রাইফেল হাতে কাদের মোল্লা নিজে উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে হত্যা ও ধর্ষণের ছয়টি অভিযোগের দুটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরও তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল রাত নয়টার দিকে শাহবাগে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গিয়ে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, এ রায় নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। যে অভিযোগ থেকে কাদের মোল্লাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
No comments