বাংলাদেশের নানান ভাষা- বাংলাদেশে নানা কাজে নানা স্তরে চালু আছে অনেকগুলো ভাষা। সেসব ভাষা নিয়ে এই আয়োজন চাক by মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
বাংলাদেশে চাক জনগোষ্ঠীর বসবাস মূলত
বান্দরবান জেলায়। এ ছাড়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও তাদের বসবাস রয়েছে।
চাকদের ভাষায় ‘চাক’ শব্দের অর্থ ‘দাঁড়ানো’।
চাকরা নিজেদের
নামের শেষে চক লিখলেও আরাকানিরা চাকদের ‘সাক’ (Sak) এবং কখনো কখনো
‘মিঙচাক’ বলে ডাকে। চাকরা অবশ্য নিজেদের বলে ‘আচাকঃ’। বাংলাদেশে চাকদের
সংখ্যা দুই হাজার, মিয়ানমারে ২০ হাজার (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, ২০০২)।
পার্বত্য চট্টগ্রামের দক্ষিণে বাইশারি, নাইক্ষ্যংছড়ি, আলিখ্যং, কামিছড়া,
কোয়াংঝিরি, ক্রোক্ষ্যং প্রভৃতি জায়গায় চাক জনগোষ্ঠীর বসবাস আছে।
নামগত সাদৃশ্য ছাড়া চাকমাদের সঙ্গে এদের ভাষা বা সংস্কৃতিগত কোনো মিল নেই। চাকরা মূলত বৌদ্ধধর্মের অনুসারী। তবে অনেক খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীও আছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকদের মধ্যে প্রধানত দুটি গোত্র দেখা যায়: আন্দো ও ঙারেখ। এই দুটি প্রধান গোত্রের মধ্যে আবার অনেকগুলো উপগোত্র আছে। একই গোত্রের মধ্যে ছেলেমেয়েদের বিয়ে নিষিদ্ধ।
চাকরা যে ভাষায় কথা বলে, সেটি চাক ভাষা নামে পরিচিত। এ ভাষা চীনা-তিব্বতি পরিবারের সদস্য। জর্জ গ্রিয়ারসনের মতে, মণিপুরের আন্দো, সেংমাই এবং বাইরেল উপভাষার সঙ্গে চাক ভাষার সাদৃশ্য রয়েছে। চাক ভাষার নিজস্ব কোনো বর্ণমালা নেই। ভাষাবিজ্ঞানীদের মতে, এই ভাষা চীনা-তিব্বতি ভাষা-পরিবারের সাক-লুইশ গোত্রভুক্ত। যদিও কেউ কেউ এটিকে অশনাক্তকৃত ভাষারূপে চিহ্নিত করেছেন। চাক ভাষা মূলত টোনাল বা সুরপ্রধান ভাষা। এই ভাষার বাক্যগঠন বাংলার মতোই। অর্থাৎ কর্তা-কর্মক্রিয়া। যেমন: বাংলায় ‘আমি ভাত খাই’, চাক ভাষায় ‘ঙা পুক সেহে’। বাংলার সঙ্গে চাক ভাষার আরও কিছু মিল আছে। বাংলার মতো চাক ভাষাতেও বহুবচনে ‘রা’ প্রত্যয় যুক্ত হয়।
দৈনন্দিন ব্যবহারের পাশাপাশি চাক ভাষায় সাহিত্যচর্চাও হচ্ছে। আধুনিক চাক ভাষায় রচিত মং শোয়ে চিং চাকের ‘ঝরা ফুল’ কবিতার কয়েকটি লাইন বাংলা অনুবাদে এ রকম: ‘রাতের বাগান ভরে ছিল বুলবুলের গানে/ সুরেলা স্বরে যে তোমার নাম গেয়েছিল/ তোমার সেই চোখ, সেই মুখ/ আমার হূদয়ের প্রতিটি পাতায় আঁকা।/ আজ আমি সাহারা মরু/ তুমি বেছে নিয়েছ সোনার মই/ আমি তোমায় ডাকছি দীর্ঘ চিৎকারে/ আমার কানে শুধু “না” শব্দ যে বাজে।’
নামগত সাদৃশ্য ছাড়া চাকমাদের সঙ্গে এদের ভাষা বা সংস্কৃতিগত কোনো মিল নেই। চাকরা মূলত বৌদ্ধধর্মের অনুসারী। তবে অনেক খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীও আছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকদের মধ্যে প্রধানত দুটি গোত্র দেখা যায়: আন্দো ও ঙারেখ। এই দুটি প্রধান গোত্রের মধ্যে আবার অনেকগুলো উপগোত্র আছে। একই গোত্রের মধ্যে ছেলেমেয়েদের বিয়ে নিষিদ্ধ।
চাকরা যে ভাষায় কথা বলে, সেটি চাক ভাষা নামে পরিচিত। এ ভাষা চীনা-তিব্বতি পরিবারের সদস্য। জর্জ গ্রিয়ারসনের মতে, মণিপুরের আন্দো, সেংমাই এবং বাইরেল উপভাষার সঙ্গে চাক ভাষার সাদৃশ্য রয়েছে। চাক ভাষার নিজস্ব কোনো বর্ণমালা নেই। ভাষাবিজ্ঞানীদের মতে, এই ভাষা চীনা-তিব্বতি ভাষা-পরিবারের সাক-লুইশ গোত্রভুক্ত। যদিও কেউ কেউ এটিকে অশনাক্তকৃত ভাষারূপে চিহ্নিত করেছেন। চাক ভাষা মূলত টোনাল বা সুরপ্রধান ভাষা। এই ভাষার বাক্যগঠন বাংলার মতোই। অর্থাৎ কর্তা-কর্মক্রিয়া। যেমন: বাংলায় ‘আমি ভাত খাই’, চাক ভাষায় ‘ঙা পুক সেহে’। বাংলার সঙ্গে চাক ভাষার আরও কিছু মিল আছে। বাংলার মতো চাক ভাষাতেও বহুবচনে ‘রা’ প্রত্যয় যুক্ত হয়।
দৈনন্দিন ব্যবহারের পাশাপাশি চাক ভাষায় সাহিত্যচর্চাও হচ্ছে। আধুনিক চাক ভাষায় রচিত মং শোয়ে চিং চাকের ‘ঝরা ফুল’ কবিতার কয়েকটি লাইন বাংলা অনুবাদে এ রকম: ‘রাতের বাগান ভরে ছিল বুলবুলের গানে/ সুরেলা স্বরে যে তোমার নাম গেয়েছিল/ তোমার সেই চোখ, সেই মুখ/ আমার হূদয়ের প্রতিটি পাতায় আঁকা।/ আজ আমি সাহারা মরু/ তুমি বেছে নিয়েছ সোনার মই/ আমি তোমায় ডাকছি দীর্ঘ চিৎকারে/ আমার কানে শুধু “না” শব্দ যে বাজে।’
No comments