জয় করুন বাইপাসের ভয়-১

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হার্টের বাইপাস সার্জারিতে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্ভার। ফলে যতটা জটিল বা ঝুঁকিপূর্ণ বাইপাস সার্জারিকে ভাবা হতো এখন আর তেমনটি নয়। হার্টের বাইপাস সার্জারিতে আগে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগত।
এখন সেখানে মাত্র ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে সফলভাবে বাইপাস সার্জারি করা যায়। এতে রোগীর জন্য সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে প্রায় শূন্যের কোঠায় এবং রোগী সুস্থ হতেও কম সময় নেয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে এখন হার্টবিট বন্ধ না করেই অপারেশন করা যায়। একটি অক্টোপাস ব্যবহার করে হার্টবিট চলা অবস্থায় অপারেশনের কারণে রক্তেরও কম প্রয়োজন হয়। তাছাড়া এ ধরনের সার্জারিতে হার্ট লাভ মেশিন এবং আলাদা অক্সিজেনারি মেশিনও প্রয়োজন হয় না বলে জানা গেছে। বড় আশার কথা, বাংলাদেশেও এ ধরনের উন্নত প্রযুক্তিতে হার্টের বাইপাস সার্জারি হচ্ছে মেট্রোপলিটন মেডিক্যাল সেন্টারের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে। এই বিভাগের এক ডাক্তার বলেন, হার্টের বাইপাস সার্জারি এখন আর খুব বড় কোন বিষয় নয়। এ ধরনের সার্জারির পর অল্প কিছু নিয়মকানুন পালন করে যে কেউ অল্প সময়ে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। এমনকি যাদের বয়স বেশি তারাও এ ধরনের সার্জারির পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন। তার মতে, রক্ত ব্যাকটেরিয়ার খুব ভাল খাবার। ফলে বাইপাস সার্জারির ক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকায় এটা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এখন এ প্রযুক্তির কল্যাণে বাইপাস সার্জারির সময় যেমন কমেছে খরচও তেমনি কমেছে। তিনি জানালেন, এখানে সার্জারির জন্য ৮.০ সুতা ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের সুতা রোগী এবং ডাক্তার উভয়ের জন্য ভাল ফল প্রদান করে। তবে এটা গর্বের বিষয়, সারাবিশ্বের গুটি কয় চিকিৎসক এ ধরনের সূক্ষ্ম সুতা ব্যবহার করেন। ফলে বাইপাস সার্জারির পর খুব অল্প সময়ের (৬-৭) দিন ব্যবধানে রোগী বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন এবং নিয়মিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে মাত্র দুই মাস পর থেকেই ভারি কাজসহ সব ধরনের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেন।
মামুন আল মাততাব
ডা. স্বপ্নিল

No comments

Powered by Blogger.