রাজধানীতেও ম্যালেরিয়া-এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে
ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে একজন রোগীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ম্যালেরিয়াকে দায়ী করার পর এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তর্ক বেধেছে ম্যালেরিয়া বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে সরকারি কিছু বিভাগের। তর্কের সূত্র ধরে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে ঢাকা শহরেও ম্যালেরিয়ার রোগী আছে? এক পক্ষ বলছে, ঢাকা শহর ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিমুক্ত।
কিন্তু এক প্রতিবেদনে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের সব এলাকায়ই কোনো না কোনোভাবে ম্যালেরিয়ার আঘাত আসা স্বাভাবিক। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ম্যালেরিয়ামুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়নি। একই প্রতিবেদনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলসহ ১৩টি জেলাকে ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে গণ্য করা হয়। এখন তাই বলে কি ওই এলাকায় ঢাকার লোকজন যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে? যদি সেখানে মানুষ যায়, তাহলে অবশ্যই ম্যালেরিয়ার রোগীও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাইরে বিস্তৃত হতেই পারে। যদি না হয়ে থাকে, তাহলেই হবে ব্যতিক্রমী ব্যাপার। অবস্থাদৃষ্টে বলাও যায়, অলৌকিকভাবেই ঢাকা তথা দেশের বৃহত্তম এলাকা ম্যালেরিয়ার আক্রমণ থেকে বেঁচে আছে।
সুতরাং বাংলাদেশে এর অস্তিত্ব শক্তিশালী না হওয়ার পরও এ রোগ বিলুপ্ত হয়ে গেছে, এমন বলা ঠিক হবে না। এ্যাপোলো হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু ম্যালেরিয়ার কারণে হয়েছে, এটা যদি মেনে নিতে নাও চাওয়া হয়, তার পরও নিকট অতীতের রেকর্ডের দিকে আমরা সহজেই দৃষ্টি দিতে পারি। সেখানে কিন্তু ঠিকই ম্যালেরিয়ার অস্তিত্ব নিয়ে চিকিৎসকরা সহমত প্রকাশ করেছিলেন। সেটা হয়েছিল ২০০৫ সালে, ঢাকায়। তখনো সরকারের পক্ষ থেকে একতরফা বলতে হয়েছে যে ঢাকা ম্যালেরিয়ামুক্ত। চিকিৎসকদের অভিমত অনুযায়ী, তখনো ম্যালেরিয়ার রোগী ঢাকায় ছিল, এখনো আছে। ২০০৫ সালের সেই রোগীদের বেলায় বলা হয়েছিল, তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকেই জীবাণু বহন করে নিয়ে এসেছিল। ম্যালেরিয়াকে জোর করে অস্তিত্বহীন করার একটা প্রবণতা সব সময়ই লক্ষণীয়। সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হচ্ছে, এটাও তারই ধারাবাহিকতা। তবে এটা ঠিক, ম্যালেরিয়া বাংলাদেশে মহামারি আকারে দেখা দেয়নি কিংবা অদূর-ভবিষ্যতে এমন কোনো আশঙ্কাও নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেমন ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী অ্যানোফিলিস মশা রয়েছে, তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকেও নিয়মিত মানুষ আসছে দেশের অভ্যন্তরে। ফলে যেকোনো সময় ম্যালেরিয়ার ব্যাপক প্রকোপ ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ম্যালেরিয়ার আঁতুড়ঘর কচুরিপানাসহ ঝোপঝাড় ধ্বংস করার মাধ্যমে এর হাত থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। এই মুহূর্তে অহেতুক সময় নষ্ট না করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে আর কেউ এই রোগে আক্রান্ত না হয়।
সুতরাং বাংলাদেশে এর অস্তিত্ব শক্তিশালী না হওয়ার পরও এ রোগ বিলুপ্ত হয়ে গেছে, এমন বলা ঠিক হবে না। এ্যাপোলো হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু ম্যালেরিয়ার কারণে হয়েছে, এটা যদি মেনে নিতে নাও চাওয়া হয়, তার পরও নিকট অতীতের রেকর্ডের দিকে আমরা সহজেই দৃষ্টি দিতে পারি। সেখানে কিন্তু ঠিকই ম্যালেরিয়ার অস্তিত্ব নিয়ে চিকিৎসকরা সহমত প্রকাশ করেছিলেন। সেটা হয়েছিল ২০০৫ সালে, ঢাকায়। তখনো সরকারের পক্ষ থেকে একতরফা বলতে হয়েছে যে ঢাকা ম্যালেরিয়ামুক্ত। চিকিৎসকদের অভিমত অনুযায়ী, তখনো ম্যালেরিয়ার রোগী ঢাকায় ছিল, এখনো আছে। ২০০৫ সালের সেই রোগীদের বেলায় বলা হয়েছিল, তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকেই জীবাণু বহন করে নিয়ে এসেছিল। ম্যালেরিয়াকে জোর করে অস্তিত্বহীন করার একটা প্রবণতা সব সময়ই লক্ষণীয়। সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হচ্ছে, এটাও তারই ধারাবাহিকতা। তবে এটা ঠিক, ম্যালেরিয়া বাংলাদেশে মহামারি আকারে দেখা দেয়নি কিংবা অদূর-ভবিষ্যতে এমন কোনো আশঙ্কাও নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেমন ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী অ্যানোফিলিস মশা রয়েছে, তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকেও নিয়মিত মানুষ আসছে দেশের অভ্যন্তরে। ফলে যেকোনো সময় ম্যালেরিয়ার ব্যাপক প্রকোপ ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ম্যালেরিয়ার আঁতুড়ঘর কচুরিপানাসহ ঝোপঝাড় ধ্বংস করার মাধ্যমে এর হাত থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। এই মুহূর্তে অহেতুক সময় নষ্ট না করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে আর কেউ এই রোগে আক্রান্ত না হয়।
No comments