সরকার ভিন্ন মতাবলম্বীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছেঃ এএইচআরসি
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি) এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের সরকার ভিন্ন মতাবলম্বীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীসহ নাগরিকদের বিরুদ্ধে খেয়ালখুশিমতো পদক্ষেপ নিচ্ছে। সরকারকে এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানে ও জাতিসংঘ স্বীকৃত যেকোনো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক নীতিমালায় মত প্রকাশের স্বাধীনতার গ্যারান্টি দেয়া হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার চার সিনিয়র সাংবাদিক সহ পাঁচজন রয়েছেন রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহের দ্বারা গ্রেফতার ও নির্যাতিত হওয়ার ঝুঁকিতে। নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, এসিসট্যান্ট এডিটর সঞ্জীব চৌধুরী, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আলাউদ্দিন আরিফ এবং ওই পত্রিকার সাইফুল ইসলাম নামে এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২ জুন একটি ক্রিমিনাল কেস (নং-২) করে পুলিশ। প্রায় আড়াই বছর আগে রাষ্ট্রীয় সংস্থার লোকজন পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আটক করে নির্যাতন চালায় তখন তার প্রতিবাদ করেছিলেন তারা। ক্ষমতাসীনদের ব্যর্থতা, সমালোচনা করা মিডিয়ার মধ্যে আমার দেশ অন্যতম।
এ বিষয়ে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে। তাতে ঢাকা মেট্রোপলিটনের তেজগাঁও থাকার অফিস ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান একটি পিটিশন করেছেন। তাতে সরকারের উদ্দেশ্য প্রকাশ হয়ে পড়েছে। গত ১১ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই ওসি একটি পিটিশন করেছেন। এতে তিনি ওই পাঁচ সাংবাদিকের জামিন বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই পিটিশনে তিনি দাবি করেছেন, এই পাঁচ সাংবাদিক আত্মসমর্পণ করার সময় আদালতের কাছে শুধু তাদের অফিসের ঠিকানা উল্লেখ করেন। এখন পুলিশের প্রয়োজন তাদের পূর্ণাঙ্গ ও সংশোধিত নাম ও ঠিকানা। এই পাঁচ সাংবাদিককে পুলিশ মামলার তদন্তের জন্য রিমান্ডে নিতে পারে।
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন বলছে, তারা এ বিষয়ে সচেতন যে- এসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করার পর থেকে শুনানিতে আদালতে হাজির হয়েছেন। তবে এরই মধ্যে আড়াই বছর পেরিয়ে গেছে। পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিতে কোনো আইনি বৈধতা পায়নি।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ বারবার সংবাদপত্রের ভূমিকাকে অনুমোদন দিয়েছে। বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়, আমরা এসব সাংবাদিকের নিরাপত্তা, তাদের গ্রেফতারের হাত থেকে রক্ষা করা, পুলিশি রিমান্ড, বন্দিত্ব, নির্যাতন, তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে স্পেশাল র্যাপোটিয়ারস অন ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন, ওপিনিয়ন অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট অব জাজেস অ্যান্ড লয়ারস অব দ্য ইউনাইটেড নেশনস-এর প্রতি আহ্বান জানাই।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার চার সিনিয়র সাংবাদিক সহ পাঁচজন রয়েছেন রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহের দ্বারা গ্রেফতার ও নির্যাতিত হওয়ার ঝুঁকিতে। নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, এসিসট্যান্ট এডিটর সঞ্জীব চৌধুরী, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আলাউদ্দিন আরিফ এবং ওই পত্রিকার সাইফুল ইসলাম নামে এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২ জুন একটি ক্রিমিনাল কেস (নং-২) করে পুলিশ। প্রায় আড়াই বছর আগে রাষ্ট্রীয় সংস্থার লোকজন পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আটক করে নির্যাতন চালায় তখন তার প্রতিবাদ করেছিলেন তারা। ক্ষমতাসীনদের ব্যর্থতা, সমালোচনা করা মিডিয়ার মধ্যে আমার দেশ অন্যতম।
এ বিষয়ে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে। তাতে ঢাকা মেট্রোপলিটনের তেজগাঁও থাকার অফিস ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান একটি পিটিশন করেছেন। তাতে সরকারের উদ্দেশ্য প্রকাশ হয়ে পড়েছে। গত ১১ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই ওসি একটি পিটিশন করেছেন। এতে তিনি ওই পাঁচ সাংবাদিকের জামিন বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই পিটিশনে তিনি দাবি করেছেন, এই পাঁচ সাংবাদিক আত্মসমর্পণ করার সময় আদালতের কাছে শুধু তাদের অফিসের ঠিকানা উল্লেখ করেন। এখন পুলিশের প্রয়োজন তাদের পূর্ণাঙ্গ ও সংশোধিত নাম ও ঠিকানা। এই পাঁচ সাংবাদিককে পুলিশ মামলার তদন্তের জন্য রিমান্ডে নিতে পারে।
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন বলছে, তারা এ বিষয়ে সচেতন যে- এসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করার পর থেকে শুনানিতে আদালতে হাজির হয়েছেন। তবে এরই মধ্যে আড়াই বছর পেরিয়ে গেছে। পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিতে কোনো আইনি বৈধতা পায়নি।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ বারবার সংবাদপত্রের ভূমিকাকে অনুমোদন দিয়েছে। বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়, আমরা এসব সাংবাদিকের নিরাপত্তা, তাদের গ্রেফতারের হাত থেকে রক্ষা করা, পুলিশি রিমান্ড, বন্দিত্ব, নির্যাতন, তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে স্পেশাল র্যাপোটিয়ারস অন ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন, ওপিনিয়ন অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট অব জাজেস অ্যান্ড লয়ারস অব দ্য ইউনাইটেড নেশনস-এর প্রতি আহ্বান জানাই।
No comments