মৈত্রী বন্ধনে চাই নতুন গতি
বর্তমান ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঘিরে সাধারণ আশাবাদ থাকা সত্ত্বেও দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের গতি যেন কিছুটা কমে যাচ্ছে। গেল সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দু'দিনের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হয়েছে।
বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন মাত্র এক বছর পরেই। ফলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার এ নিয়ে কিছুটা ভয়ের মধ্যে আছে। নয়াদিলি্লর রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য নতুন উদ্যম নিয়ে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাস্তব লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া জরুরি।
এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ইউপিএ জোট থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বেরিয়ে যাওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে নয়াদিলি্লর সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি কিছুটা কঠিন হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়টিকেই সামনে আনা যায়। তিস্তা চুক্তির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন মমতা। তিনি যে ধরনের রাজনৈতিক চাল চালেন তাতে করে এখন হয়তো স্থল সীমানা চুক্তির (ল্যান্ড বাউন্ডারি এগ্রিমেন্ট-এলবিএ) ব্যাপারে বাগড়া দিতে চেষ্টা করবেন। যে পরিপত্রের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমানার পরিপূর্ণ সীমা নির্ধারণ করা হবে এবং দুই দেশের ছিটমহলগুলোর বিনিময়ের কাজ হবে তা এখনও সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতের সংসদে অনুসমর্থন করা বাকি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য তিস্তা এবং স্থল সীমানা চুক্তি দুটিই খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই দুটি বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্যর্থতা আসলে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবনতি হিসেবে বিবেচিত হবে।
এসব কিছুর পাশাপাশি সীমান্ত হত্যা এবং মানবাধিকারের মতো দুটি বিষয়ে আরও কাজ করার রয়েছে। যদিও ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশকারী নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যার জন্য দায়ী বিএসএফ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যাপারে এরই মধ্যে ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এই সীমান্ত হত্যার হুমকি রুখতে আরও অনেক কাজ করার বাকি। দুই পক্ষই সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ মাদক পাচার রুখতে একত্রে অভিযান পরিচালনার জন্য চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। এমনকি একটি সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করা লোকবলের ঘাটতি রয়েছে। মারাত্মক অপরাধ মোকাবেলা এবং সীমান্তে মৃত্যু এড়াতে দুই দেশেরই পদক্ষেপ নেওয়ার আছে।
অন্যদিকে ভারত এবং বাংলাদেশের বেশ কিছু নাগরিক দুটি দেশের জেলখানাতে বন্দি আছে। তাদের পক্ষে উপযুক্ত আইনের উপস্থাপনা ছাড়াই বছরের পর বছর বিচার প্রক্রিয়া চলছে। হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ১৮৬ জন ভারতীয় বাংলাদেশের জেলে আটক রয়েছেন, অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের জেলগুলোতে আটক আছে ৩০৯ জন বাংলাদেশি। বিচারাধীন প্রক্রিয়ায় থাকা লোকদের জন্য সঠিক আইনি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে নয়াদিলি্ল এবং ঢাকা মঙ্গলের পথে পা বাড়াতে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতাপূর্ণ সম্পর্ক ভারতের লুক ইস্ট পলিসির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ভারত সফরের কথা রয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উজ্জীবিত এবং শক্ত করার এটি একটি ভালো সুযোগ।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সোমবারের সম্পাদকীয় থেকে ভাষান্তরিত
এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ইউপিএ জোট থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বেরিয়ে যাওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে নয়াদিলি্লর সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি কিছুটা কঠিন হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়টিকেই সামনে আনা যায়। তিস্তা চুক্তির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন মমতা। তিনি যে ধরনের রাজনৈতিক চাল চালেন তাতে করে এখন হয়তো স্থল সীমানা চুক্তির (ল্যান্ড বাউন্ডারি এগ্রিমেন্ট-এলবিএ) ব্যাপারে বাগড়া দিতে চেষ্টা করবেন। যে পরিপত্রের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমানার পরিপূর্ণ সীমা নির্ধারণ করা হবে এবং দুই দেশের ছিটমহলগুলোর বিনিময়ের কাজ হবে তা এখনও সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতের সংসদে অনুসমর্থন করা বাকি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য তিস্তা এবং স্থল সীমানা চুক্তি দুটিই খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই দুটি বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্যর্থতা আসলে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবনতি হিসেবে বিবেচিত হবে।
এসব কিছুর পাশাপাশি সীমান্ত হত্যা এবং মানবাধিকারের মতো দুটি বিষয়ে আরও কাজ করার রয়েছে। যদিও ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশকারী নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যার জন্য দায়ী বিএসএফ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যাপারে এরই মধ্যে ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এই সীমান্ত হত্যার হুমকি রুখতে আরও অনেক কাজ করার বাকি। দুই পক্ষই সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ মাদক পাচার রুখতে একত্রে অভিযান পরিচালনার জন্য চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। এমনকি একটি সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করা লোকবলের ঘাটতি রয়েছে। মারাত্মক অপরাধ মোকাবেলা এবং সীমান্তে মৃত্যু এড়াতে দুই দেশেরই পদক্ষেপ নেওয়ার আছে।
অন্যদিকে ভারত এবং বাংলাদেশের বেশ কিছু নাগরিক দুটি দেশের জেলখানাতে বন্দি আছে। তাদের পক্ষে উপযুক্ত আইনের উপস্থাপনা ছাড়াই বছরের পর বছর বিচার প্রক্রিয়া চলছে। হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ১৮৬ জন ভারতীয় বাংলাদেশের জেলে আটক রয়েছেন, অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের জেলগুলোতে আটক আছে ৩০৯ জন বাংলাদেশি। বিচারাধীন প্রক্রিয়ায় থাকা লোকদের জন্য সঠিক আইনি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে নয়াদিলি্ল এবং ঢাকা মঙ্গলের পথে পা বাড়াতে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতাপূর্ণ সম্পর্ক ভারতের লুক ইস্ট পলিসির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ভারত সফরের কথা রয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উজ্জীবিত এবং শক্ত করার এটি একটি ভালো সুযোগ।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সোমবারের সম্পাদকীয় থেকে ভাষান্তরিত
No comments