চেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও অর্থ দেওয়া যাবে- জনগণ থেকে অনুদান নিতে ব্যাংক হিসাব
পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাংকের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে অনুদান নেবে সরকার। যে কেউ স্থানীয় ও বৈদেশিক মুদ্রায় অথবা দুইভাবেই ব্যাংকে এই অনুদান দিতে পারবেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সরাসরি চেক ও অর্থ দেওয়া যাবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
দেশের ভেতরে-বাইরে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে অব্যাহত উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হওয়ার কথা উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি উন্নয়ন-সহযোগী দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে অনুদান এবং সহজ শর্তে ঋণ নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও পদ্মা সেতুর অনুদান সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংগৃহীত অনুদান পরে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হবে।
এ জন্য দেশের সব তফসিলি ব্যাংককে দুটি করে আলাদা হিসাব খোলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একটি হিসাব হবে ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (নিবাসী)’ শিরোনামে। অন্যটির নাম ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (অনিবাসী)’। সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় (লোকাল অফিস) প্রথমে দুটি হিসাব খুলবে এবং তা সংরক্ষণ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের উদ্দেশে এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রতি শাখায় দুটি আলাদা হিসাব খুলতে হবে। শাখা পর্যায়ে এ দুই হিসাবে যত টাকা জমা পড়বে, তা একত্রে সংগ্রহ করবে স্থানীয়, মুখ্য বা প্রধান কার্যালয়। মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয়, মুখ্য বা প্রধান কার্যালয় সংগৃহীত অর্থ পাঠিয়ে দেবে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে।
অনুদানের এ দুই হিসাব তদারক করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিটি ব্যাংক মাসিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে একটি বিবরণী পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে। আর সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালকের কাছে বিবরণীর অনুলিপি পাঠাতে হবে।
বিদেশে অবস্থিত কোনো ব্যাংক বা বিদেশে পরিচালিত যেকোনো এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমেও অনিবাসীরা অনুদান পাঠাতে পারবেন। তবে ব্যাংকগুলোর অথরাইজড ডিলার (ওডি) শাখা ছাড়া অন্য কোনো শাখায় তা পাঠানো যাবে না। কোনো অনিবাসী বাংলাদেশি টাকায়ও অনুদান দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁকে নিবাসী হিসাবে টাকা জমা দিতে হবে। জনস্বার্থে ব্যাংকগুলো সার্ভিস চার্জ ছাড়াই এই সেবা দেবে।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জন্য অনুদান সংগ্রহে আজই (বুধবার) এক হাজার ১৯৬টি শাখাকে (যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বাদে) দুটি করে হিসাব খোলার নির্দেশনা দিয়েছি। কোনো শাখায় হয়তো আজই হিসাব খোলা হয়েছে, কোনো শাখায় হবে আগামী রোববার।’ তিনি আশা করেন, রোববার থেকেই হিসাবগুলোতে অনুদান জমা পড়া শুরু হবে।
পূবালী ব্যাংকের এমডি হেলাল আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দেশের স্বার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশ তাঁরা সার্ভিস চার্জ ছাড়াই বাস্তবায়ন করবেন। এর আগে যমুনা সেতুর সারচার্জ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও ব্যাংকগুলো একই রকম ভূমিকা পালন করেছিল বলে তিনি স্মরণ করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংগৃহীত সব অনুদানই বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত সংযুক্ত তহবিলে (কনসলিডেটেড ফান্ড) জমা হবে। তহবিলটি ‘সরকারি হিসাব নম্বর-১’ নামে পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রীকেও চেক দেওয়া যাবে: গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘যে কেউ ইচ্ছা করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদানের অর্থ বা চেক হস্তান্তর করতে পারবেন।’
সে ক্ষেত্রে চেক জমা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সেতু বিভাগের মাধ্যমে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কীভাবে তা করা হবে, তার কোনো বিশদ ব্যাখ্যা প্রজ্ঞাপনে নেই। অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বলেন, সেতু বিভাগের মাধ্যমে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে কীভাবে অর্থ স্থানান্তরিত হবে, তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ই ঠিক করবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পটি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত (এডিপি) প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন ও অর্থায়ন করা হবে। এখন থেকে বাজেটে পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বিভিন্ন উৎসের সঙ্গে এই অনুদান-সহায়তার বিষয়টিও উল্লেখ থাকবে। আগামী বছরের সংশোধিত বাজেটেই তার প্রতিফলন দেখা যাবে। অনুদানের অর্থ পদ্মা সেতু প্রকল্প ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যয় করা যাবে না।
তবে এভাবে অনুদান সংগ্রহের পর পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে যদি কোনো অর্থ বেঁচে যায়, তাহলে তা অন্য কোনো অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারের অনুমোদন থাকতে হবে এবং প্রচলিত বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে।
যোগাযোগ করলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বের কোনো দেশ পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প স্থানীয় জনগণের অনুদানের অর্থে বাস্তবায়ন করেছে বলে তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয়ের একটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক তাৎপর্য আছে। আর সরকারের অনুদান সংগ্রহের যে উদ্যোগ, তার একটি প্রতীকী মূল্য আছে। বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সরকার এই প্রতীকী মূল্যটা ব্যবহার করতে পারে।’
২৯০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে প্রতিশ্রুত প্রধান ঋণ জোগানকারী বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে গত ২৯ জুন ঋণচুক্তি বাতিল করে। এরপর বিশ্বব্যাংকের শর্ত পূরণ করতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়েছে সরকার। তবে এখন পর্যন্ত ঋণের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। অবশ্য প্রকল্পের সহ-অর্থায়নকারী জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সম্প্রতি তাদের ঋণের কার্যকারিতার মেয়াদ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া পদ্মা সেতু নির্মাণে আগ্রহ দেখিয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও পদ্মা সেতুর অনুদান সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংগৃহীত অনুদান পরে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হবে।
এ জন্য দেশের সব তফসিলি ব্যাংককে দুটি করে আলাদা হিসাব খোলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একটি হিসাব হবে ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (নিবাসী)’ শিরোনামে। অন্যটির নাম ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (অনিবাসী)’। সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় (লোকাল অফিস) প্রথমে দুটি হিসাব খুলবে এবং তা সংরক্ষণ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের উদ্দেশে এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রতি শাখায় দুটি আলাদা হিসাব খুলতে হবে। শাখা পর্যায়ে এ দুই হিসাবে যত টাকা জমা পড়বে, তা একত্রে সংগ্রহ করবে স্থানীয়, মুখ্য বা প্রধান কার্যালয়। মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয়, মুখ্য বা প্রধান কার্যালয় সংগৃহীত অর্থ পাঠিয়ে দেবে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে।
অনুদানের এ দুই হিসাব তদারক করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিটি ব্যাংক মাসিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে একটি বিবরণী পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে। আর সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালকের কাছে বিবরণীর অনুলিপি পাঠাতে হবে।
বিদেশে অবস্থিত কোনো ব্যাংক বা বিদেশে পরিচালিত যেকোনো এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমেও অনিবাসীরা অনুদান পাঠাতে পারবেন। তবে ব্যাংকগুলোর অথরাইজড ডিলার (ওডি) শাখা ছাড়া অন্য কোনো শাখায় তা পাঠানো যাবে না। কোনো অনিবাসী বাংলাদেশি টাকায়ও অনুদান দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁকে নিবাসী হিসাবে টাকা জমা দিতে হবে। জনস্বার্থে ব্যাংকগুলো সার্ভিস চার্জ ছাড়াই এই সেবা দেবে।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জন্য অনুদান সংগ্রহে আজই (বুধবার) এক হাজার ১৯৬টি শাখাকে (যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বাদে) দুটি করে হিসাব খোলার নির্দেশনা দিয়েছি। কোনো শাখায় হয়তো আজই হিসাব খোলা হয়েছে, কোনো শাখায় হবে আগামী রোববার।’ তিনি আশা করেন, রোববার থেকেই হিসাবগুলোতে অনুদান জমা পড়া শুরু হবে।
পূবালী ব্যাংকের এমডি হেলাল আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দেশের স্বার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশ তাঁরা সার্ভিস চার্জ ছাড়াই বাস্তবায়ন করবেন। এর আগে যমুনা সেতুর সারচার্জ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও ব্যাংকগুলো একই রকম ভূমিকা পালন করেছিল বলে তিনি স্মরণ করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংগৃহীত সব অনুদানই বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত সংযুক্ত তহবিলে (কনসলিডেটেড ফান্ড) জমা হবে। তহবিলটি ‘সরকারি হিসাব নম্বর-১’ নামে পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রীকেও চেক দেওয়া যাবে: গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘যে কেউ ইচ্ছা করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদানের অর্থ বা চেক হস্তান্তর করতে পারবেন।’
সে ক্ষেত্রে চেক জমা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সেতু বিভাগের মাধ্যমে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কীভাবে তা করা হবে, তার কোনো বিশদ ব্যাখ্যা প্রজ্ঞাপনে নেই। অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বলেন, সেতু বিভাগের মাধ্যমে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে কীভাবে অর্থ স্থানান্তরিত হবে, তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ই ঠিক করবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পটি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত (এডিপি) প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন ও অর্থায়ন করা হবে। এখন থেকে বাজেটে পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বিভিন্ন উৎসের সঙ্গে এই অনুদান-সহায়তার বিষয়টিও উল্লেখ থাকবে। আগামী বছরের সংশোধিত বাজেটেই তার প্রতিফলন দেখা যাবে। অনুদানের অর্থ পদ্মা সেতু প্রকল্প ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যয় করা যাবে না।
তবে এভাবে অনুদান সংগ্রহের পর পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে যদি কোনো অর্থ বেঁচে যায়, তাহলে তা অন্য কোনো অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারের অনুমোদন থাকতে হবে এবং প্রচলিত বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে।
যোগাযোগ করলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বের কোনো দেশ পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প স্থানীয় জনগণের অনুদানের অর্থে বাস্তবায়ন করেছে বলে তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয়ের একটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক তাৎপর্য আছে। আর সরকারের অনুদান সংগ্রহের যে উদ্যোগ, তার একটি প্রতীকী মূল্য আছে। বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সরকার এই প্রতীকী মূল্যটা ব্যবহার করতে পারে।’
২৯০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে প্রতিশ্রুত প্রধান ঋণ জোগানকারী বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে গত ২৯ জুন ঋণচুক্তি বাতিল করে। এরপর বিশ্বব্যাংকের শর্ত পূরণ করতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়েছে সরকার। তবে এখন পর্যন্ত ঋণের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। অবশ্য প্রকল্পের সহ-অর্থায়নকারী জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সম্প্রতি তাদের ঋণের কার্যকারিতার মেয়াদ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া পদ্মা সেতু নির্মাণে আগ্রহ দেখিয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছে।
No comments