চট্টগ্রাম বন্দরে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিনিয়োগ-মূল শর্ত বাদ দিয়ে দরপত্র আহ্বান হচ্ছে? by মাসুদ মিলাদ
আর্থিক ও কারিগরি যোগ্যতার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত বাদ দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য অপারেটর নিয়োগের দরপত্র কার্যক্রম শুরু করতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
বন্দর সূত্র জানায়, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় সম্ভাব্য বিনিয়োগ ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
বন্দর সূত্র জানায়, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় সম্ভাব্য বিনিয়োগ ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
যন্ত্রপাতি কিনে টার্মিনাল পরিচালনা করতে এই পরিমাণ বিনিয়োগের দরকার। এ জন্য মূল দরপত্রে অপারেটরের কোনো টার্মিনালের জন্য যন্ত্রপাতি কেনা ও স্থাপনের অভিজ্ঞতা এবং বিনিয়োগকারী নিজে কী পরিমাণ টাকা দেবেন আর ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নেবেন, তা দেখানোর শর্ত রাখা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এসব শর্ত বাদ দিয়ে অপারেটর নিয়োগের দরপত্র আহ্বানের জন্য বলেছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হাবিবুর রহমানের সই করা চিঠিতে অপারেটরদের কাছ থেকে কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব আলাদা খামের পরিবর্তে এক খামে চাওয়ার জন্যও বলা হয়।
আর্থিক ও কারিগরি যোগ্যতার এসব শর্ত বাদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান গত বুধবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রণালয় কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এটি শর্ত বাদ দেওয়ার বিষয় নয়। তিনি বলেন, নৌপরিবহনসচিব বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
নৌপরিবহনসচিব আবদুল মান্নান হাওলাদার বলেন, ‘দরপত্রের শর্তে অসংগতি থাকতে পারে। মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো সেটি তুলে ধরা। একবার প্রাকযোগ্য হওয়ার পর দ্বিতীয়বার (মূল দরপত্রে) যোগ্য হতে হবে কেন?’
বন্দর সূত্র জানায়, ওই চিঠি পাওয়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর এম আনওয়ারুল ইসলাম গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে জানান, এসব শর্ত বাদ দেওয়া সমীচীন হবে না। দুটি প্রস্তাব দুই খামে নেওয়া যুক্তিযুক্ত ও বিধিসম্মত হবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ চিঠিতে জানায়।
উল্লেখ্য, ওই দিনই কমোডর এম আনওয়ারুল ইসলামকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য ছাড়পত্র পাঠানো হয়।
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের প্রাকযোগ্য প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটির সদস্য এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এস এম নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূল দরপত্রে আর্থিক ও কারিগরি যোগ্যতার শর্ত শিথিল করা হলে আমরা আপত্তি দেব। কারণ, এই টার্মিনালে সেবার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে যোগ্য অপারেটর নিয়োগ করতে হবে।’
বন্দর সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২৩ জুলাই চারটি যোগ্য প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) এই প্রকল্পের দরপত্র দলিল বিক্রি শুরু হয়েছিল। কিন্তু নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে তা বাতিল করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত বছরের মার্চে দুটি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশ নেওয়ার যোগ্য হিসেবে বাছাই করা হয়। এরপর অন্তত পাঁচ দফায় দরপত্র দলিল সংশোধন করে অনুমোদনের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মন্ত্রণালয় অনুমোদন না করায় দরপত্র আহ্বান করতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়া এই টার্মিনাল নির্মাণে বন্দরের খরচ হয়েছে ৪৬৮ কোটি টাকা। পশ্চাৎসুবিধাসহ এই টার্মিনালে বন্দরের বিনিয়োগ দাঁড়াচ্ছে ৫৮২ কোটি টাকা। বর্তমানে সনাতন পদ্ধতিতে এই টার্মিনালের পাঁচটি জেটির মধ্যে দুটিতে কনটেইনার ওঠানো-নামানো হচ্ছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এসব শর্ত বাদ দিয়ে অপারেটর নিয়োগের দরপত্র আহ্বানের জন্য বলেছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হাবিবুর রহমানের সই করা চিঠিতে অপারেটরদের কাছ থেকে কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব আলাদা খামের পরিবর্তে এক খামে চাওয়ার জন্যও বলা হয়।
আর্থিক ও কারিগরি যোগ্যতার এসব শর্ত বাদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান গত বুধবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রণালয় কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এটি শর্ত বাদ দেওয়ার বিষয় নয়। তিনি বলেন, নৌপরিবহনসচিব বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
নৌপরিবহনসচিব আবদুল মান্নান হাওলাদার বলেন, ‘দরপত্রের শর্তে অসংগতি থাকতে পারে। মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো সেটি তুলে ধরা। একবার প্রাকযোগ্য হওয়ার পর দ্বিতীয়বার (মূল দরপত্রে) যোগ্য হতে হবে কেন?’
বন্দর সূত্র জানায়, ওই চিঠি পাওয়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর এম আনওয়ারুল ইসলাম গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে জানান, এসব শর্ত বাদ দেওয়া সমীচীন হবে না। দুটি প্রস্তাব দুই খামে নেওয়া যুক্তিযুক্ত ও বিধিসম্মত হবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ চিঠিতে জানায়।
উল্লেখ্য, ওই দিনই কমোডর এম আনওয়ারুল ইসলামকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য ছাড়পত্র পাঠানো হয়।
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের প্রাকযোগ্য প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটির সদস্য এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এস এম নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূল দরপত্রে আর্থিক ও কারিগরি যোগ্যতার শর্ত শিথিল করা হলে আমরা আপত্তি দেব। কারণ, এই টার্মিনালে সেবার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে যোগ্য অপারেটর নিয়োগ করতে হবে।’
বন্দর সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২৩ জুলাই চারটি যোগ্য প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) এই প্রকল্পের দরপত্র দলিল বিক্রি শুরু হয়েছিল। কিন্তু নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে তা বাতিল করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত বছরের মার্চে দুটি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশ নেওয়ার যোগ্য হিসেবে বাছাই করা হয়। এরপর অন্তত পাঁচ দফায় দরপত্র দলিল সংশোধন করে অনুমোদনের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মন্ত্রণালয় অনুমোদন না করায় দরপত্র আহ্বান করতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়া এই টার্মিনাল নির্মাণে বন্দরের খরচ হয়েছে ৪৬৮ কোটি টাকা। পশ্চাৎসুবিধাসহ এই টার্মিনালে বন্দরের বিনিয়োগ দাঁড়াচ্ছে ৫৮২ কোটি টাকা। বর্তমানে সনাতন পদ্ধতিতে এই টার্মিনালের পাঁচটি জেটির মধ্যে দুটিতে কনটেইনার ওঠানো-নামানো হচ্ছে।
No comments