তত্ত্বাবধায়কের দাবি নিয়ে সংসদে যাওয়ার প্রস্তুতি-মার্চ ঘিরে রাজনীতি কৌশল পাল্টেছে বিএনপি by তানভীর সোহেল
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তুলতে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। চলতি অধিবেশনের সময় বাড়ানো না হলে ৮ মার্চের মধ্যেই সংসদে যোগ দেওয়ার চিন্তা আছে দলটির।
দলটির একাধিক সূত্র জানায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল বা নির্বাচনের সময় নির্দলীয় সরকারব্যবস্থার দাবি
দলটির একাধিক সূত্র জানায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল বা নির্বাচনের সময় নির্দলীয় সরকারব্যবস্থার দাবি
পূরণে রাজপথের আন্দোলনের পাশাপাশি সম্ভাব্য সব কৌশল কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। দলটি দেশবাসীকে দেখাতে চায় যে তারা দাবি আদায়ে সংসদের ভেতরে-বাইরে আলোচনাসহ নিয়মতান্ত্রিক সব উপায়ে চেষ্টা করছে।
সূত্রগুলো জানায়, এ বিষয়ে গত বুধবার রাতে খালেদা জিয়া তাঁর কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বৈঠকে নির্দলীয় সরকার ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে জনমত গঠন ও দাবি আদায়ে সম্ভাব্য সব রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বনের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় সংসদে যোগদানের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
অবশ্য এর আগে গত মাসে স্থায়ী কমিটির একাধিক বৈঠকে সংসদের চলতি অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, সংসদের চলতি অধিবেশনে যাওয়ার ব্যাপারে বিএনপি আগ্রহী। এই অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। তবে দিন-তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, ১২ মার্চের মহাসমাবেশ নিয়ে তাঁদের দল ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। অধিবেশনের সময় বাড়ানো হলে বিএনপির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হতো।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতের বৈঠকে ৫ বা ৬ মার্চ সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে কথা হয়েছে। তবে কোন তারিখে যোগ দেবেন, এ ব্যাপারে দলের চেয়ারপারসন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি।
বিএনপির সাংসদদের মধ্যে খালেদা জিয়া, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ও মোশাররফ হোসেন সর্বোচ্চ ৭৩ দিন অনুপস্থিত আছেন। সংসদের চলতি অধিবেশন এ মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত চলার কথা আছে। সে ক্ষেত্রে এই তিন সাংসদের অনুপস্থিতি ৮০ দিন হবে। সংবিধান অনুযায়ী, টানা ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট সাংসদের সদস্যপদ বাতিল হবে।
বিএনপির একজন সাংসদ বলেছেন, চেয়ারপারসন এখন মহাসমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তাই চলতি অধিবেশনের সময় বাড়ানো হলে বিএনপির সংসদে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।
বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, সংসদে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য সংসদকে আহ্বান জানানো হবে। অধিবেশনের শেষ দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যাতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি রূপরেখা তুলে ধরতে পারেন, তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছেন বিএনপির সমর্থক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নেতারা।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে বিচার বিভাগকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত না করার কথা বলা হয়েছে। বিএনপি এতে একমত। এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা হতে পারে।
বিএনপির আরেকজন জ্যেষ্ঠ নেতা এম কে আনোয়ারের মতে, সরকারের পক্ষ থেকে নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব সংসদে আনা উচিত। কেননা, এ সমস্যা তারাই সৃষ্টি করেছে। তবে বিএনপি দাবি আদায়ে সংসদে বা সংসদের বাইরে সব ধরনের আলোচনা চায়।
দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও কূটনীতিকেরা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সহিংস রাজনীতির দিকে না গিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ের পরামর্শ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, বিদেশিরা অনেক সময় অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে জানতে চান। তাঁদের কাছে দলের অবস্থান তুলে ধরা হচ্ছে। হয়তো তাঁরা বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেন।
এদিকে ১২ মার্চের মহাসমাবেশ সফল করতে বিএনপি পাঁচটি উপকমিটি গঠন করেছে। এগুলো হলো: প্রচার, সাংস্কৃতিক, মঞ্চ, আবাসন ও চিকিৎসা উপকমিটি। ঢাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানার কর্মিসভায় মহাসমাবেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক। সরকারের উচিত হবে না এতে বাধা দেওয়া।
সূত্রগুলো জানায়, এ বিষয়ে গত বুধবার রাতে খালেদা জিয়া তাঁর কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বৈঠকে নির্দলীয় সরকার ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে জনমত গঠন ও দাবি আদায়ে সম্ভাব্য সব রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বনের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় সংসদে যোগদানের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
অবশ্য এর আগে গত মাসে স্থায়ী কমিটির একাধিক বৈঠকে সংসদের চলতি অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, সংসদের চলতি অধিবেশনে যাওয়ার ব্যাপারে বিএনপি আগ্রহী। এই অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। তবে দিন-তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, ১২ মার্চের মহাসমাবেশ নিয়ে তাঁদের দল ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। অধিবেশনের সময় বাড়ানো হলে বিএনপির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হতো।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতের বৈঠকে ৫ বা ৬ মার্চ সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে কথা হয়েছে। তবে কোন তারিখে যোগ দেবেন, এ ব্যাপারে দলের চেয়ারপারসন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি।
বিএনপির সাংসদদের মধ্যে খালেদা জিয়া, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ও মোশাররফ হোসেন সর্বোচ্চ ৭৩ দিন অনুপস্থিত আছেন। সংসদের চলতি অধিবেশন এ মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত চলার কথা আছে। সে ক্ষেত্রে এই তিন সাংসদের অনুপস্থিতি ৮০ দিন হবে। সংবিধান অনুযায়ী, টানা ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট সাংসদের সদস্যপদ বাতিল হবে।
বিএনপির একজন সাংসদ বলেছেন, চেয়ারপারসন এখন মহাসমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তাই চলতি অধিবেশনের সময় বাড়ানো হলে বিএনপির সংসদে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।
বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, সংসদে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য সংসদকে আহ্বান জানানো হবে। অধিবেশনের শেষ দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যাতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি রূপরেখা তুলে ধরতে পারেন, তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছেন বিএনপির সমর্থক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নেতারা।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে বিচার বিভাগকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত না করার কথা বলা হয়েছে। বিএনপি এতে একমত। এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা হতে পারে।
বিএনপির আরেকজন জ্যেষ্ঠ নেতা এম কে আনোয়ারের মতে, সরকারের পক্ষ থেকে নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব সংসদে আনা উচিত। কেননা, এ সমস্যা তারাই সৃষ্টি করেছে। তবে বিএনপি দাবি আদায়ে সংসদে বা সংসদের বাইরে সব ধরনের আলোচনা চায়।
দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও কূটনীতিকেরা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সহিংস রাজনীতির দিকে না গিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ের পরামর্শ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, বিদেশিরা অনেক সময় অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে জানতে চান। তাঁদের কাছে দলের অবস্থান তুলে ধরা হচ্ছে। হয়তো তাঁরা বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেন।
এদিকে ১২ মার্চের মহাসমাবেশ সফল করতে বিএনপি পাঁচটি উপকমিটি গঠন করেছে। এগুলো হলো: প্রচার, সাংস্কৃতিক, মঞ্চ, আবাসন ও চিকিৎসা উপকমিটি। ঢাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানার কর্মিসভায় মহাসমাবেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক। সরকারের উচিত হবে না এতে বাধা দেওয়া।
No comments