অস্থির সময়ে রাজনীতি-বিএনপির আন্দোলন ও নির্বাচনী প্রস্তুতি by তানভীর সোহেল
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে বিএনপি। দলের উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, সাংগঠনিক সংকট নিরসন, নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী নির্ধারণ ও ক্ষমতায় গেলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করা হবে এমন খাতগুলো চিহ্নিত করতে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে দলটি।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়েও আন্দোলন করার প্রস্তুতি আছে বিএনপির। তবে নতুন কমিশনে কারা আসছেন, তা দেখেই পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে। জ্যেষ্ঠ নেতারা মনে করেন, কমিশনবিরোধী কর্মসূচি বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহালের দাবির আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরবে।
বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সাংগঠনিক সংকট চিহ্নিত ও তা সমাধান করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা অগ্রাধিকারের খাতগুলো ঠিক করছেন। বিএনপির রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত নন, এমন ব্যক্তিরা মাঠপর্যায় থেকে তথ্য দিয়ে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহফুজ উল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহববুউল্লাহ ও আ ফ ম ইউসূফ হায়দার প্রমুখ। এ ছাড়া শত নাগরিক কমিটি ও গ্রুপ-২০০৯ (জি-৯) নামে দুটি সংগঠনও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কাজ করা হচ্ছে। দলের সমস্যা নিরসনে কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে কাজ করছেন। আর গণতান্ত্রিক দল হিসেবে যেকোনো সময়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে। তিনি আরও জানান, দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা একসঙ্গে বসে অতীতের ভুলের সমালোচনা করছেন। ভুল সংশোধনের উপায়ও খোঁজেন তাঁরা। এর মাধ্যমে মূলত ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনার অগ্রাধিকার খাতগুলো চিহ্নিত করা হয়। নির্বাচনী ইশতেহারের জন্যও বিএনপিকে এই কাজগুলো করতে হচ্ছে বলে জানান এম কে আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘শেষ যুদ্ধক্ষেত্র হলো নির্বাচন। সেই রূপরেখা কীভাবে ঠিক করা হবে, সেই প্রস্তুতি থাকতে হবে।’
দলের সাংগঠনিক সমস্যা নিরসনে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে আগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকেরা আছেন। শিগগিরই এই কমিটি বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে কাজ শুরু করবে। দলের ভেতরের কোন্দল নিরসন, কমিটি গঠন, সদস্য বাড়ানো এবং নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন এমন প্রার্থীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করবেন তাঁরা।
কমিটির সদস্য যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, কমিটি গঠিত হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। বড় দল হিসেবে বিএনপিতে দ্বন্দ্ব আছে। এগুলো নিরসন করে মাঠপর্যায়ের নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে। ভবিষ্যতে আন্দোলন-সংগ্রাম ও নির্বাচনে এক হয়ে কাজ করাই এর লক্ষ্য।
বিএনপির নেতারা বলেন, রোডমার্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের আন্দোলন জোরদার করার পাশাপাশি নির্বাচনী মাঠ পর্যবেক্ষণও বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল। এসব রোডমার্চে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় গেলে বিভাগওয়ারী উন্নয়নকাজের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। জনগণের অভাব-অভিযোগের চিত্র তুলে ধরে তা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
বিএনপি চারদলীয় জোট সম্প্রসারণ করেছে। শিগগিরই ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’ নামে নতুন এই জোটের পথচলা শুরু হবে। এ জোটকে প্রাক-নির্বাচনী জোট বলতে চান বিএনপির নেতারা।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান প্রথম আলোকে বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে চারদলীয় জোট নামে বিএনপির নেতৃত্বে একটি নির্বাচনী জোট হয়েছিল। এবার ১৬টি দল নিয়ে আরেকটি প্রাক-নির্বাচনী জোট গঠন প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।
বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সাংগঠনিক সংকট চিহ্নিত ও তা সমাধান করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা অগ্রাধিকারের খাতগুলো ঠিক করছেন। বিএনপির রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত নন, এমন ব্যক্তিরা মাঠপর্যায় থেকে তথ্য দিয়ে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহফুজ উল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহববুউল্লাহ ও আ ফ ম ইউসূফ হায়দার প্রমুখ। এ ছাড়া শত নাগরিক কমিটি ও গ্রুপ-২০০৯ (জি-৯) নামে দুটি সংগঠনও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কাজ করা হচ্ছে। দলের সমস্যা নিরসনে কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে কাজ করছেন। আর গণতান্ত্রিক দল হিসেবে যেকোনো সময়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে। তিনি আরও জানান, দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা একসঙ্গে বসে অতীতের ভুলের সমালোচনা করছেন। ভুল সংশোধনের উপায়ও খোঁজেন তাঁরা। এর মাধ্যমে মূলত ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনার অগ্রাধিকার খাতগুলো চিহ্নিত করা হয়। নির্বাচনী ইশতেহারের জন্যও বিএনপিকে এই কাজগুলো করতে হচ্ছে বলে জানান এম কে আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘শেষ যুদ্ধক্ষেত্র হলো নির্বাচন। সেই রূপরেখা কীভাবে ঠিক করা হবে, সেই প্রস্তুতি থাকতে হবে।’
দলের সাংগঠনিক সমস্যা নিরসনে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে আগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকেরা আছেন। শিগগিরই এই কমিটি বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে কাজ শুরু করবে। দলের ভেতরের কোন্দল নিরসন, কমিটি গঠন, সদস্য বাড়ানো এবং নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন এমন প্রার্থীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করবেন তাঁরা।
কমিটির সদস্য যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, কমিটি গঠিত হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। বড় দল হিসেবে বিএনপিতে দ্বন্দ্ব আছে। এগুলো নিরসন করে মাঠপর্যায়ের নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে। ভবিষ্যতে আন্দোলন-সংগ্রাম ও নির্বাচনে এক হয়ে কাজ করাই এর লক্ষ্য।
বিএনপির নেতারা বলেন, রোডমার্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের আন্দোলন জোরদার করার পাশাপাশি নির্বাচনী মাঠ পর্যবেক্ষণও বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল। এসব রোডমার্চে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় গেলে বিভাগওয়ারী উন্নয়নকাজের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। জনগণের অভাব-অভিযোগের চিত্র তুলে ধরে তা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
বিএনপি চারদলীয় জোট সম্প্রসারণ করেছে। শিগগিরই ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’ নামে নতুন এই জোটের পথচলা শুরু হবে। এ জোটকে প্রাক-নির্বাচনী জোট বলতে চান বিএনপির নেতারা।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান প্রথম আলোকে বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে চারদলীয় জোট নামে বিএনপির নেতৃত্বে একটি নির্বাচনী জোট হয়েছিল। এবার ১৬টি দল নিয়ে আরেকটি প্রাক-নির্বাচনী জোট গঠন প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।
No comments