প্রাণ গ্রুপের প্রতিবাদ
প্রাণ গ্রুপ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবাদলিপিতে বলেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠের শেষ পৃষ্ঠায় ১ম কলামে প্রকাশিত 'প্রাণ জুস খেয়ে শিশুর মৃত্যু, দাদি অসুস্থ' শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
কোম্পানির পৰ থেকে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, প্রকৃতপক্ষে শিশুটি কয়েকদিন আগে থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। গত ২৪ ফেব্রম্নয়ারি শিশুটির স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে দুর্গম পাহাড়ী এলাকা বালুখালি থেকে ৬/৭ কিলোমিটার দূরে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটির মৃত্যুকে তাদের পরিবার স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছে এবং ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মৃতের সৎকারের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল কোম্পানির দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম খর্ব করে স্বীয় স্বার্থচরিতার্থ করতে কল্পনাপ্রসূত এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে বলে আমরা মনে করি।বিষয়টি নিয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর শওকত বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনা তিনি শুনেছেন। খবর শোনার পর তিনি স্থানীয় প্রাণ জুসের পরিবেশকের গোডাউনও পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে পচা, নষ্ট বা মেয়াদোত্তীর্ণ কোন প্রাণ পণ্য পাননি। তবে তিনি জানিয়েছেন বর্তমানে আরোপিত কাফর্ু শিথিল করা হলে বাজার থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে ঢাকায় উর্ধতন কর্তৃপৰের নিকট প্রেরণ করবেন এবং রিপোর্ট পাওয়ার পরিপ্রেৰিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি আরও জানান, পরীৰানিরীৰা ছাড়া কোন পণ্য গ্রহণের কারণে শিশুটির মৃতু্য হয়েছে কি না তা বলা যায় না। এ ব্যাপারে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের ডাক্তার রাফিউল আলম (রাসেল)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মৃত অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং শিশুটির মৃতু্যর কারণ সম্পর্কে কোন পরীৰা করা হয়নি। পরবতর্ীতে মৃত শিশুটিকে তারা 'স্বাভাবিকভাবে' সৎকারের জন্য নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কী লেখা হয়েছে তা আমার জানা নেই।
No comments