দ্বিতীয় রাজধানীর বর্ষপূর্তিতে জমকালো আয়োজন-সম্মাননা পেলেন চট্টগ্রামের চার প্রবীণ

নোয়াখালীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের আট জেলার পাঠকদের জন্য দৈনিক কালের কণ্ঠের সাড়া জাগানো আঞ্চলিক প্রকাশনা 'দ্বিতীয় রাজধানী' সাফল্যের প্রথম বছর শেষ করেছে। এ উপলেক্ষে চট্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।বিষয়বৈচিত্র্য, সৃজনশীল, নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি আর ব্যতিক্রমী সংবাদ উপস্থাপনের অঙ্গীকার নিয়ে গত বছর বিজয়ের মাসের প্রথম দিনেই যাত্রা হয়েছিল


দ্বিতীয় রাজধানীর। গত এক বছরে এর ১৩২টি সংখ্যা প্রকাশের পর গতকাল পূর্ণ করল এক বছর।শিল্পী আহমেদ নেওয়াজের পরিকল্পনায় সাজানো হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সাবলীল উপস্থাপনায় অতিথিদের স্বাগত জানান কালের কণ্ঠের চট্টগ্রাম অফিসের ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ প্রতিনিধি রফিকুল বাহার। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশেষ প্রতিনিধি ফারুক ইকবাল।
এতে লোকগানের জীবন্ত কিংবদন্তি আবদুল গফুর হালী ও সংবাদপত্র শিল্পে জড়িত তিন প্রবীণ ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইসহাক, চট্টগ্রাম সংবাদপত্র এজেন্ট সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও চট্টগ্রাম হকার্স সমিতির প্রবীণ নেতা অলি আহমদ। এ ছাড়া দ্বিতীয় রাজধানীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সাতজন সেরা প্রতিবেদককে পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন নিজস্ব প্রতিবেদক ভূঁইয়া নজরুল, আসিফ ছিদ্দিকী, ফটো সাংবাদিক রবি শংকর চক্রবর্তী, কঙ্বাজার অফিসের জ্যেষ্ঠ নিজস্ব প্রতিবেদক তোফায়েল আহমদ, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি শামসুল হাসান মিরন ও বোয়ালখালী উপজেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম। বিশেষ পুরস্কার পান কালের কণ্ঠের সাবেক জ্যেষ্ঠ নিজস্ব প্রতিবেদক কমল দে।
সভায় 'মিডিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক' বিষয়ে বিশেষ আলোচনা করেন পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, 'মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে কাজ করতে হবে সাংবাদিকদের। শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য আর বন্দর নিয়ে প্রতিবেদন করলেই দেশের উন্নয়ন হবে না। দেশের জন্য সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।' তিনি আরো বলেন, 'অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করে আমাদের অবশ্যই জাগতে হবে। সাগরে জোয়ার এলে যেমন আশপাশের নদী-খাল সব ভরে যায়, তেমনি এ দেশ উন্নত হলে দেশে কোনো কর্মহীন মানুষ থাকবে না। দেশের উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের বিভাজন না করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।'
বর্ষপূর্তির আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের মেয়র এম মঞ্জুর আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আনোয়ারুল আজিম আরিফ, সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চিটাগং ক্লাবের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুল আলম, আবুল খায়ের গ্রুপের কনসালট্যান্ট (ব্র্যান্ড অ্যান্ড রিসার্চ) তাসনিম এ করিম, বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) ক্যাপ্টেন এম শাহজাহান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে গানে গানে অতিথিদের বিমুগ্ধ করেন 'চট্টলার গানের পাখি'খ্যাত কণ্ঠশিল্পী হৈমন্তী রক্ষিত মান ও ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মোহাম্মদ রাশেদ। পরে অনুষ্ঠিত হয় চট্টলার ঐতিহ্যবাহী মেজবান। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বর্ষপূর্তির কেক কাটা হয়।

No comments

Powered by Blogger.