বিশ্ব শরণার্থী দিবসে by শাহীন হাসনাত
আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস। ২০০০ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর জুন মাসের ২০ তারিখে এ দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। পৃথিবীর সব দেশেই শরণার্থীদের দেখা যায়। তারা যুদ্ধ, প্রাকৃতিক বৈরিতা কিংবা নানাবিধ সমস্যার কারণে শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। শরণার্থীদের সবাই গরিব নয়।
অনেক সম্ভ্রান্ত লোকও শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। বিশ্ব শরণার্থী দিবসে পৃথিবীর সব দেশের শরণার্থীদের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। কামনা করি অতি দ্রুত তারা নিজ নিজ ভূখণ্ডে
ফিরে যাক।
জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত শরণার্থীর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, 'জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জাতিগত প্রতিহিংসা ও ভয়, অমানবিক অত্যাচার, রাষ্ট্রীয় বৈষম্যজনিত কারণে বাস্তুত্যাগী জনগোষ্ঠীরা শরণার্থী। এ ছাড়া যে জাতিগত প্রতিহিংসা ও ভয়, জাতীয়তা, ধর্ম ও বর্ণজনিত কারণে অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে, স্বদেশে সরকারের আইনের শাসনের ব্যর্থতা, বৈষম্যজনিত আইন প্রয়োগ বা ব্যবহারের ভীতিজনক অবস্থার কারণে প্রত্যাবর্তন করতে পারছেন না_ সেও শরণার্থী।'
স্বাধীনতার পর এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। মিয়ানমার এসব রোহিঙ্গাকে নিজেদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না, যদিও কয়েকশ' বছর ধরে তারা ওই অঞ্চলে বাস করে আসছে। সাম্প্রতিক দাঙ্গার পর গত কয়েকদিনে অসংখ্য রোহিঙ্গা মুসলমান শরণার্থী টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে আগে থেকেই মিয়ানমার থেকে আগত প্রায় পাঁচ লাখ শরণার্থী অবস্থান করছে। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে প্রায় তিন লাখ আটকেপড়া পাকিস্তানি রয়েছে ৬৬টি বিহারি ক্যাম্পে। এরপর পুনরায় শরণার্থী গ্রহণ করলে আমাদের অর্থনীতিতে চাপ বাড়বে, সমাজেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে শরণার্থী প্রবেশ অর্থনীতির মূল স্রোতধারাকে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এসব শরণার্থীর দায় তো একা বাংলাদেশের নয়, গোটা বিশ্বের। তাই বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে। শরণার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ আর যেন শরণার্থীর মিছিল না বাড়ে সে ব্যাপারেও উদ্যোগী হতে হবে।
সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান শরণার্থী সমস্যার কোনো সমাধান নয়। এসব শরণার্থীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত নিতে বাংলাদেশের উচিত হবে আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি করে সেসব দেশে ফেরত নিতে চাপ প্রয়োগ করা। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদি আশ্রয়দানের ফলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সীমাবদ্ধতার কথাগুলো বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে বিশ্ববাসীর সামনে। যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের শরণার্থীদের দুর্দশা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। পাশাপাশি তাদের জন্য যথাসম্ভব আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। তখনকার ভারত আজকের ভারতের মতো ধনী ছিল না। তা সত্ত্বেও ভারত প্রায় এক কোটি অসহায় বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছিল। পরে তারা যথাসময়ে ফিরেও এসেছে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকেই বিহারি ও রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণ করে চলছে। তার অর্থ এই নয় যে, আশ্রয় নেওয়া রাষ্ট্রেই তারা চিরদিন থাকবে। আন্তর্জাতিক আইন করে শরণার্থী ফেরত নেওয়ার বাধ্যবাধকতা করতে হবে। এ জন্য নিজ দেশের মানুষকে নির্যাতন করে অন্য দেশে ঠেলে দেওয়ার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করতে হবে। বিহারিদের গত ৪০ বছরেও ফেরত পাঠানো যায়নি। মিয়ানমারও আগের রোহিঙ্গাদের নেয়নি। জনসংখ্যার চাপে বাংলাদেশ এমনিতেই ন্যুব্জ। এই অতিরিক্ত জনগোষ্ঠীর ভরণপোষণ চালানোর সামর্থ্য বাংলাদেশের নেই_ এটা বিশ্ববাসীকে বোঝাতে হবে। কূটনৈকিতভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এটাও ঠিক যে, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের একটা স্থায়ী সমাধান কাম্য, এভাবে তো আর অত্যাচার চলতে পারে না।
ফিরে যাক।
জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত শরণার্থীর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, 'জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জাতিগত প্রতিহিংসা ও ভয়, অমানবিক অত্যাচার, রাষ্ট্রীয় বৈষম্যজনিত কারণে বাস্তুত্যাগী জনগোষ্ঠীরা শরণার্থী। এ ছাড়া যে জাতিগত প্রতিহিংসা ও ভয়, জাতীয়তা, ধর্ম ও বর্ণজনিত কারণে অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে, স্বদেশে সরকারের আইনের শাসনের ব্যর্থতা, বৈষম্যজনিত আইন প্রয়োগ বা ব্যবহারের ভীতিজনক অবস্থার কারণে প্রত্যাবর্তন করতে পারছেন না_ সেও শরণার্থী।'
স্বাধীনতার পর এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। মিয়ানমার এসব রোহিঙ্গাকে নিজেদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না, যদিও কয়েকশ' বছর ধরে তারা ওই অঞ্চলে বাস করে আসছে। সাম্প্রতিক দাঙ্গার পর গত কয়েকদিনে অসংখ্য রোহিঙ্গা মুসলমান শরণার্থী টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে আগে থেকেই মিয়ানমার থেকে আগত প্রায় পাঁচ লাখ শরণার্থী অবস্থান করছে। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে প্রায় তিন লাখ আটকেপড়া পাকিস্তানি রয়েছে ৬৬টি বিহারি ক্যাম্পে। এরপর পুনরায় শরণার্থী গ্রহণ করলে আমাদের অর্থনীতিতে চাপ বাড়বে, সমাজেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে শরণার্থী প্রবেশ অর্থনীতির মূল স্রোতধারাকে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এসব শরণার্থীর দায় তো একা বাংলাদেশের নয়, গোটা বিশ্বের। তাই বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে। শরণার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ আর যেন শরণার্থীর মিছিল না বাড়ে সে ব্যাপারেও উদ্যোগী হতে হবে।
সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান শরণার্থী সমস্যার কোনো সমাধান নয়। এসব শরণার্থীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত নিতে বাংলাদেশের উচিত হবে আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি করে সেসব দেশে ফেরত নিতে চাপ প্রয়োগ করা। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদি আশ্রয়দানের ফলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সীমাবদ্ধতার কথাগুলো বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে বিশ্ববাসীর সামনে। যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের শরণার্থীদের দুর্দশা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। পাশাপাশি তাদের জন্য যথাসম্ভব আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। তখনকার ভারত আজকের ভারতের মতো ধনী ছিল না। তা সত্ত্বেও ভারত প্রায় এক কোটি অসহায় বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছিল। পরে তারা যথাসময়ে ফিরেও এসেছে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকেই বিহারি ও রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণ করে চলছে। তার অর্থ এই নয় যে, আশ্রয় নেওয়া রাষ্ট্রেই তারা চিরদিন থাকবে। আন্তর্জাতিক আইন করে শরণার্থী ফেরত নেওয়ার বাধ্যবাধকতা করতে হবে। এ জন্য নিজ দেশের মানুষকে নির্যাতন করে অন্য দেশে ঠেলে দেওয়ার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করতে হবে। বিহারিদের গত ৪০ বছরেও ফেরত পাঠানো যায়নি। মিয়ানমারও আগের রোহিঙ্গাদের নেয়নি। জনসংখ্যার চাপে বাংলাদেশ এমনিতেই ন্যুব্জ। এই অতিরিক্ত জনগোষ্ঠীর ভরণপোষণ চালানোর সামর্থ্য বাংলাদেশের নেই_ এটা বিশ্ববাসীকে বোঝাতে হবে। কূটনৈকিতভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এটাও ঠিক যে, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের একটা স্থায়ী সমাধান কাম্য, এভাবে তো আর অত্যাচার চলতে পারে না।
No comments