বাজেটে কৃষি উৎপাদন ব্যয় হ্রাস ও লাভজনক বিক্রির নিশ্চয়তা দাবি
আগামী বাজেটে কৃষি উপকরণ ও উৎপাদন ব্যয় হ্রাস, কৃষি পণ্যের লাভজনক বিক্রয় মূল্য নিশ্চিত করা এবং কৃষিপণ্যের জন্য একটি বাজার ব্যবস্থা চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন দেশের কৃষকরা।
চ্যানেল আই-এর কৃষি ভিত্তিক কার্যক্রম ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে কৃষি ও কৃষকের জন্য করণীয় ৫৫ দফা সুপারিশমালা সম্বলিত ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’-এর প্রারম্ভিক বক্তব্যে এ কথা বলা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে কৃষকের জন্য এ বাজেট সুপারিশ হস্তান্তর করা হয়। ৫৫ দফা সুপারিশমালার মধ্যে কৃষি খাত সম্পর্কিত ১৮ দফা, পোল্ট্রি খাত সম্পর্কিত ১৪ দফা, মৎস্য খাত সম্পর্কিত ১২ দফা ও দুগ্ধ খাত সম্পর্কিত ১১ দফা সুপারিশ রয়েছে।
প্রারম্ভিক বক্তব্যে বলা হয়, দেশের কুমিল্লা, যশোহর, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার সব মিলিয়ে ৬টি স্থানে প্রায় ২৫ হাজার কৃষকের সঙ্গে মতবিনিময় করে এসব সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
কৃষিখাত সম্পর্কিত ১৮ দফা সুপারিশমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : কৃষি উৎপাদন ব্যয় কমানো ও লাভে কৃষিপণ্য বিক্রির নিশ্চয়তা (প্রয়োজনে ভর্তুকি না দিয়ে ১০ শতাংশ লাভে কৃষিপণ্য বিক্রির অনুকূল বাজার সৃষ্টি করা), কৃষি সম্প্রসারণ ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ ও ঢেলে সাজানো, কৃষি বিষয়ে বিশেষায়িত প্রচার মাধ্যম চালু, কৃষিতে জরুরি ভিত্তিতে বীমা ব্যবস্থার প্রবর্তন, বিএডিসি’র বীজ উৎপাদন ক্ষমতা ও মনিটরিং বাড়ানো, কৃষি গবেষণায় বিশেষ বরাদ্দ প্রদান, জৈব কৃষি বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া, ইউনিয়ন পর্যায়ে মাটি পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন, সবজি-ফসল-ফল সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপন, লবণ চাষকে কৃষির আওতায় আনা ও লবণ বোর্ড গঠন ইত্যাদি।
পোল্ট্রি খাত সম্পর্কিত ১৪ দফা সুপারিশমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : পোল্ট্রি শিল্পকে বাঁচাতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এ খাতে কর অবকাশ সুবিধা অব্যাহত রাখা, কৃষিখাতের মতো উপকরণ সহায়তা (একদিনের বাচ্চা ও ওষুধ ক্রয়ে বিশেষ ভর্তুকি প্রদান) ও কার্ড প্রদান, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, পোল্ট্রি শিল্পের সরাসরি বাজারজাত করার ব্যবস্থা, পোল্ট্রি ও হ্যাচারি নীতিমালার দ্রুত বাস্তবায়ন, ভারত থেকে ডিম ও একদিনের বাচ্চা আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ এবং অভ্যন্তরীণভাবে একদিনের বাচ্চা উৎপাদন বাড়ানো ও এর দাম কমানো ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, আগামী বাজেটে পোল্ট্রি শিল্পকে সহায়তার জন্য একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে বলে অর্থমন্ত্রী এরইমধ্যে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।
মৎস্য খাত সম্পর্কিত ১২ দফা সুপারিশমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : মৎস্য খাতে কৃষি খাতের অনুরূপ সুযোগ-সুবিধা প্রদান (ভূমি উন্নয়ন কর, বিদ্যুৎ বিল, সহজ শর্তে ঋণ, ভর্তুকি ও উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান), মৎস্য চাষ ও পোনা উৎপাদন হ্যাচারির ওপর আরোপিত আয়কর প্রত্যাহার, নদী ও জলাশয় দূষণ রোধ করা, মৎস্য চাষীদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, মাছের স্থানীয় বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন ও রফতানি সুবিধা প্রদান, মৎস্য খাতে জরিপ ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের জরিপ ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে প্রচলিত নীতিমালার পরিবর্তন ও সংস্কার ইত্যাদি।
দুগ্ধ খাত সম্পর্কিত ১১ দফা সুপারিশমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : পশু পালনকারী ও দুগ্ধ খামারিদের কৃষির মতো উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান, বীমা ব্যবস্থা চালু, দেশের দুগ্ধ খামার সমৃদ্ধ এলাকাসমূহে দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র ও চিলিং প্ল্যান্ট স্থাপন, ক্ষুদ্র খামারি পর্যায়ে দুধের যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করা, সকল পশু খাদ্রের দাম কমানো ও বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান, ভারত থেকে অবৈধ পথে দুগ্ধজাত কাঁচা (ছানা ও মাখন) পণ্য আসা বন্ধ করা ইত্যাদি।
২৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে কৃষকের জন্য এ বাজেট সুপারিশ হস্তান্তর করা হয়। ৫৫ দফা সুপারিশমালার মধ্যে কৃষি খাত সম্পর্কিত ১৮ দফা, পোল্ট্রি খাত সম্পর্কিত ১৪ দফা, মৎস্য খাত সম্পর্কিত ১২ দফা ও দুগ্ধ খাত সম্পর্কিত ১১ দফা সুপারিশ রয়েছে।
প্রারম্ভিক বক্তব্যে বলা হয়, দেশের কুমিল্লা, যশোহর, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার সব মিলিয়ে ৬টি স্থানে প্রায় ২৫ হাজার কৃষকের সঙ্গে মতবিনিময় করে এসব সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
কৃষিখাত সম্পর্কিত ১৮ দফা সুপারিশমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : কৃষি উৎপাদন ব্যয় কমানো ও লাভে কৃষিপণ্য বিক্রির নিশ্চয়তা (প্রয়োজনে ভর্তুকি না দিয়ে ১০ শতাংশ লাভে কৃষিপণ্য বিক্রির অনুকূল বাজার সৃষ্টি করা), কৃষি সম্প্রসারণ ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ ও ঢেলে সাজানো, কৃষি বিষয়ে বিশেষায়িত প্রচার মাধ্যম চালু, কৃষিতে জরুরি ভিত্তিতে বীমা ব্যবস্থার প্রবর্তন, বিএডিসি’র বীজ উৎপাদন ক্ষমতা ও মনিটরিং বাড়ানো, কৃষি গবেষণায় বিশেষ বরাদ্দ প্রদান, জৈব কৃষি বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া, ইউনিয়ন পর্যায়ে মাটি পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন, সবজি-ফসল-ফল সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপন, লবণ চাষকে কৃষির আওতায় আনা ও লবণ বোর্ড গঠন ইত্যাদি।
পোল্ট্রি খাত সম্পর্কিত ১৪ দফা সুপারিশমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : পোল্ট্রি শিল্পকে বাঁচাতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এ খাতে কর অবকাশ সুবিধা অব্যাহত রাখা, কৃষিখাতের মতো উপকরণ সহায়তা (একদিনের বাচ্চা ও ওষুধ ক্রয়ে বিশেষ ভর্তুকি প্রদান) ও কার্ড প্রদান, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, পোল্ট্রি শিল্পের সরাসরি বাজারজাত করার ব্যবস্থা, পোল্ট্রি ও হ্যাচারি নীতিমালার দ্রুত বাস্তবায়ন, ভারত থেকে ডিম ও একদিনের বাচ্চা আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ এবং অভ্যন্তরীণভাবে একদিনের বাচ্চা উৎপাদন বাড়ানো ও এর দাম কমানো ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, আগামী বাজেটে পোল্ট্রি শিল্পকে সহায়তার জন্য একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে বলে অর্থমন্ত্রী এরইমধ্যে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।
মৎস্য খাত সম্পর্কিত ১২ দফা সুপারিশমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : মৎস্য খাতে কৃষি খাতের অনুরূপ সুযোগ-সুবিধা প্রদান (ভূমি উন্নয়ন কর, বিদ্যুৎ বিল, সহজ শর্তে ঋণ, ভর্তুকি ও উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান), মৎস্য চাষ ও পোনা উৎপাদন হ্যাচারির ওপর আরোপিত আয়কর প্রত্যাহার, নদী ও জলাশয় দূষণ রোধ করা, মৎস্য চাষীদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, মাছের স্থানীয় বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন ও রফতানি সুবিধা প্রদান, মৎস্য খাতে জরিপ ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের জরিপ ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে প্রচলিত নীতিমালার পরিবর্তন ও সংস্কার ইত্যাদি।
দুগ্ধ খাত সম্পর্কিত ১১ দফা সুপারিশমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : পশু পালনকারী ও দুগ্ধ খামারিদের কৃষির মতো উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান, বীমা ব্যবস্থা চালু, দেশের দুগ্ধ খামার সমৃদ্ধ এলাকাসমূহে দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র ও চিলিং প্ল্যান্ট স্থাপন, ক্ষুদ্র খামারি পর্যায়ে দুধের যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করা, সকল পশু খাদ্রের দাম কমানো ও বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান, ভারত থেকে অবৈধ পথে দুগ্ধজাত কাঁচা (ছানা ও মাখন) পণ্য আসা বন্ধ করা ইত্যাদি।
No comments