পানির জন্য হাহাকার-প্রয়োজন স্থায়ী সমাধান
দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে ঢাকা মহানগরীর লাখ লাখ মানুষ। অস্বাভাবিক গরমে একদিকে দিনে কয়েক দফা ঘণ্টাব্যাপী লোডশেডিং, অন্যদিকে পানি সরবরাহে ভয়াবহ রকমের ঘাটতি মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। কখনো বা সরবরাহ করা পানি পাওয়া গেলেও তা দুর্গন্ধযুক্ত;
পান অনুপযোগী তো বটেই, এমনকি গৃহস্থালিকাজে ব্যবহার করাও সম্ভব নয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশ হচ্ছে, নগরবাসী পানির দাবিতে হাহাকার করছে, কখনো বা মিছিল বা বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে; কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাউকে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে উদগ্রীব হতে দেখা যাচ্ছে না। বুধবার রাজধানীর বাড্ডা, জোয়ারসাহারা, অলিপাড়া, বাসাবো, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন মহল্লার কয়েক হাজার বাসিন্দা অসহ্য হয়ে বিক্ষোভ, মানববন্ধন এবং সড়ক অবরোধ করেছে। তারা বাড্ডা, জোয়ারসাহারা, নদ্দা, বসুন্ধরা ও বারিধারার ব্যস্ত রাস্তাগুলো অবরোধ করার ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। একই দিন পুরান ঢাকার শ্যামপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। উল্লেখ্য, পানির এ সমস্যা যেমন আকস্মিক নয়, তেমনি বিচ্ছিন্নও নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিদ্যুতের ঘাটতি, পানির পাম্পে সঠিকভাবে কাজ না করা, দায়িত্ব পালনে গাফিলতি, অনিয়ম-দুর্নীতি এবং প্রশাসনিক জটিলতা।
দায়িত্বশীলদের মনে রাখা দরকার, এভাবে চলতে পারে না। এ ধরনের সমস্যা দিনের পর দিন বহাল থাকলে তা যে শুধু সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে থাকে তা নয়, এতে নাগরিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় এবং জীবনযাত্রা চরমভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ে। নগরবাসীকে অপরিহার্য পানি সরবরাহ না করা বা করতে না পারা মানবাধিকার লঙ্ঘনেরই শামিল। এ অব্যবস্থার দায় কাউকে না কাউকে নিতে হবে। সরকারের উচ্চ মহল থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যা কী, কেন তারা নাগরিকদের এত প্রয়োজনীয় একটি অধিকার থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত করছে, তার ব্যাখ্যা চাইতে হবে। রাজধানীতে রয়েছে ছয় শতাধিক গভীর নলকূপ এবং চারটি পানি শোধনাগার। ওয়াসা কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে, বর্তমানে ২২৫ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ২১০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে পারছে। এ হিসাব নিয়েও সংশয় রয়েছে। নগর বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরবরাহের এ হিসাবেও গরমিল রয়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সময় এসব পাম্প জেনারেটর দিয়ে চলার কথা; কিন্তু বেশ কিছু জেনারেটর অকেজো থাকার কারণে সঠিকভাবে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলেও ওয়াসার ভাষ্য রয়েছে; কিন্তু অকেজো জেনারেটর কেন সারানো হচ্ছে না এর জবাব দেবে কে?
অন্য সমস্যাও রয়েছে। ঢাকার পানির ৯০ শতাংশ উৎস ভূগর্ভস্থ পানি। এই পানি উত্তোলনের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনকভাবে নেমে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের ভয়ানক পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। সুতরাং রাজধানীর পানি সরবরাহের জন্য এখন ভূউপরিস্থ পানির উৎসের ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর নেই। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া গেলে প্রকৃতি বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে এবং সর্বোপরি সরকারের পানির উৎস ব্যয় লাঘব হবে। তাই সাময়িকভাবে নগরবাসীর চাহিদা মেটানোর জন্য নষ্ট জেনারেটর চালুর ব্যবস্থা করে সরবরাহ নিশ্চিত করা হোক, পাশাপাশি ভূউপরিতলের (সারফেস ওয়াটার) পানি ব্যবহারের পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এখন অন্যতম কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দায়িত্বশীলদের মনে রাখা দরকার, এভাবে চলতে পারে না। এ ধরনের সমস্যা দিনের পর দিন বহাল থাকলে তা যে শুধু সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে থাকে তা নয়, এতে নাগরিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় এবং জীবনযাত্রা চরমভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ে। নগরবাসীকে অপরিহার্য পানি সরবরাহ না করা বা করতে না পারা মানবাধিকার লঙ্ঘনেরই শামিল। এ অব্যবস্থার দায় কাউকে না কাউকে নিতে হবে। সরকারের উচ্চ মহল থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যা কী, কেন তারা নাগরিকদের এত প্রয়োজনীয় একটি অধিকার থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত করছে, তার ব্যাখ্যা চাইতে হবে। রাজধানীতে রয়েছে ছয় শতাধিক গভীর নলকূপ এবং চারটি পানি শোধনাগার। ওয়াসা কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে, বর্তমানে ২২৫ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ২১০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে পারছে। এ হিসাব নিয়েও সংশয় রয়েছে। নগর বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরবরাহের এ হিসাবেও গরমিল রয়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সময় এসব পাম্প জেনারেটর দিয়ে চলার কথা; কিন্তু বেশ কিছু জেনারেটর অকেজো থাকার কারণে সঠিকভাবে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলেও ওয়াসার ভাষ্য রয়েছে; কিন্তু অকেজো জেনারেটর কেন সারানো হচ্ছে না এর জবাব দেবে কে?
অন্য সমস্যাও রয়েছে। ঢাকার পানির ৯০ শতাংশ উৎস ভূগর্ভস্থ পানি। এই পানি উত্তোলনের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনকভাবে নেমে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের ভয়ানক পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। সুতরাং রাজধানীর পানি সরবরাহের জন্য এখন ভূউপরিস্থ পানির উৎসের ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর নেই। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া গেলে প্রকৃতি বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে এবং সর্বোপরি সরকারের পানির উৎস ব্যয় লাঘব হবে। তাই সাময়িকভাবে নগরবাসীর চাহিদা মেটানোর জন্য নষ্ট জেনারেটর চালুর ব্যবস্থা করে সরবরাহ নিশ্চিত করা হোক, পাশাপাশি ভূউপরিতলের (সারফেস ওয়াটার) পানি ব্যবহারের পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এখন অন্যতম কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
No comments