ইসলাম ও সমাজ-নামাজ পাপ থেকে রক্ষা করে by মাহমুদ আহমদ সুমন
এই যে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবল আকারে হানা দিচ্ছে, এর পেছনে অবশ্যই কোনো না কোনো কারণ আছে। আসলে মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে কল্পিত খোদার ইবাদত করছে বলেই এমন বিপদ-আপদ আমাদের গ্রাস করছে। অধিকাংশ মানুষ যেন আজ ইসলামী আদর্শ ভুলে বসেছে।
জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কেউ যেন ইসলামী রীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত নেই। সবাই যেন মহান খোদাকে ভুলে গিয়ে শুধু অর্থের পেছনে ছুটে চলেছে। যে যার মতো বৈধ-অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে দিগ্গি্বদিক দিশেহারা।
পৃথিবীর মানুষ যদি আজ অপরাধ ও কুকর্ম ত্যাগ করে আল্লাহতায়ালার দিকে ঝুঁকে তাঁর নির্দেশমতো জীবন পরিচালনা করে, তাহলে হয়তো আমরা এসব আজাব থেকে রক্ষা পাব। আমরা জানি, এর আগে যত জাতি ধ্বংস হয়েছে তাদের মূল কারণ ছিল খোদার নির্দেশ অমান্য করা। আল্লাহতায়ালা আমাদের যেহেতু শ্রেষ্ঠ উম্মত হওয়ার সৌভাগ্য দান করেছেন, তাই এ শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আল্লাহর নির্দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নির্দেশ হলো 'সালাত বা নামাজ'। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ৮২ বার মানুষকে নামাজ কায়েম করতে বলেছেন। আল্লাহতায়ালা নামাজের প্রতি এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, যা অন্য কোনো বিষয়ের প্রতি দেননি। আমরা যদি নিষ্ঠার সঙ্গে দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি, তাহলে আমাদের জীবনযাপনের মান সম্পূর্ণ ইসলামী রীতি অনুযায়ী হবে।
ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ অন্যতম। নামাজ কায়েম করা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধিমান মুসলমানের জন্য ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য। এই নামাজ আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটি নেয়ামতস্বরূপ। নামাজ সর্বাপেক্ষা উত্তম দোয়া বা প্রার্থনা। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সবধরনের অপরাধ, অন্যায় ও পাপ থেকে বাঁচতে পারি আর নামাজই আমাদের সব ধরনের মন্দ কাজ থেকে রক্ষা করতে পারে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, নিশ্চয় নামাজ (নামাজিকে) অশ্লীলতা এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। (সূরা আনকাবুত)।
এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কেবল নামাজই মানুষকে সব ধরনের মন্দ কাজ থেকে মুক্ত রাখে। যদি আমরা আমাদের জীবনকে ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী সুন্দরভাবে পরিচালিত করতে চাই, তাহলে নামাজ কায়েম করার কোনো বিকল্প নেই।
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সাহাবিদের উদ্দেশ করে বলেছেন, 'বল তো আমাদের মধ্যে কারও দরজার সামনে যদি একটি নদী থাকে এবং সে যদি তাতে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে, তবে তার (শরীরে) কি কোনো প্রকার ময়লা থাকতে পারে?' তারা বললেন, 'কোনো ময়লা থাকতে পারে না।' রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, 'দিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্ত এরূপ। আল্লাহতায়ালা সালাত দ্বারা পাপ মোচন করেন (মুসলিম)। এ হাদিস থেকে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় যে, সব ধরনের পাপ থেকে বাঁচার সর্বোত্তম মাধ্যম হলো নামাজ।
নামাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের আত্মা সবল ও সুস্থ রাখতে পারি, অন্যায়, অশ্লীলতা এবং মন্দ কাজ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি। যেসব কুঅভ্যাস কিছুতেই দূর হয় না, তা কেবল নামাজের মাধ্যমেই দূর করা সম্ভব।
masumon83@yahoo.com
পৃথিবীর মানুষ যদি আজ অপরাধ ও কুকর্ম ত্যাগ করে আল্লাহতায়ালার দিকে ঝুঁকে তাঁর নির্দেশমতো জীবন পরিচালনা করে, তাহলে হয়তো আমরা এসব আজাব থেকে রক্ষা পাব। আমরা জানি, এর আগে যত জাতি ধ্বংস হয়েছে তাদের মূল কারণ ছিল খোদার নির্দেশ অমান্য করা। আল্লাহতায়ালা আমাদের যেহেতু শ্রেষ্ঠ উম্মত হওয়ার সৌভাগ্য দান করেছেন, তাই এ শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আল্লাহর নির্দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নির্দেশ হলো 'সালাত বা নামাজ'। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ৮২ বার মানুষকে নামাজ কায়েম করতে বলেছেন। আল্লাহতায়ালা নামাজের প্রতি এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, যা অন্য কোনো বিষয়ের প্রতি দেননি। আমরা যদি নিষ্ঠার সঙ্গে দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি, তাহলে আমাদের জীবনযাপনের মান সম্পূর্ণ ইসলামী রীতি অনুযায়ী হবে।
ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ অন্যতম। নামাজ কায়েম করা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধিমান মুসলমানের জন্য ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য। এই নামাজ আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটি নেয়ামতস্বরূপ। নামাজ সর্বাপেক্ষা উত্তম দোয়া বা প্রার্থনা। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সবধরনের অপরাধ, অন্যায় ও পাপ থেকে বাঁচতে পারি আর নামাজই আমাদের সব ধরনের মন্দ কাজ থেকে রক্ষা করতে পারে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, নিশ্চয় নামাজ (নামাজিকে) অশ্লীলতা এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। (সূরা আনকাবুত)।
এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কেবল নামাজই মানুষকে সব ধরনের মন্দ কাজ থেকে মুক্ত রাখে। যদি আমরা আমাদের জীবনকে ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী সুন্দরভাবে পরিচালিত করতে চাই, তাহলে নামাজ কায়েম করার কোনো বিকল্প নেই।
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সাহাবিদের উদ্দেশ করে বলেছেন, 'বল তো আমাদের মধ্যে কারও দরজার সামনে যদি একটি নদী থাকে এবং সে যদি তাতে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে, তবে তার (শরীরে) কি কোনো প্রকার ময়লা থাকতে পারে?' তারা বললেন, 'কোনো ময়লা থাকতে পারে না।' রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, 'দিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্ত এরূপ। আল্লাহতায়ালা সালাত দ্বারা পাপ মোচন করেন (মুসলিম)। এ হাদিস থেকে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় যে, সব ধরনের পাপ থেকে বাঁচার সর্বোত্তম মাধ্যম হলো নামাজ।
নামাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের আত্মা সবল ও সুস্থ রাখতে পারি, অন্যায়, অশ্লীলতা এবং মন্দ কাজ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি। যেসব কুঅভ্যাস কিছুতেই দূর হয় না, তা কেবল নামাজের মাধ্যমেই দূর করা সম্ভব।
masumon83@yahoo.com
No comments