ধর্ম-মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
মানুষের জীবনকে যথার্থ সৌন্দর্যময় ও সাফল্যমণ্ডিত করে তার নৈতিক মূল্যবোধ। মানুষের জীবনের সাধনা হচ্ছে মনুষ্যত্ব অর্জনের চেষ্টা। মনুষ্যত্বের সঙ্গে নৈতিকতার সম্পর্ক বিদ্যমান। সততা, ন্যায়পরায়ণতা, আদর্শবাদিতা প্রভৃতি মহৎ গুণের সমাবেশেই নৈতিকতার স্বরূপ উদ্ভাসিত হয়।
মনুষ্যত্বের ঔচিত্য-অনৌচিত্য নির্ধারণের মানদণ্ড কী?—এ প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়, মানুষের যেসব আচার-আচরণকে ভালো বলে বিবেচনা করা হয়, যেসব কাজ করে সুফল পাওয়া যায়, যেগুলো জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে মানবসমাজে প্রচলিত প্রথা ও রীতি, সেগুলোকেই ভালো বলে গ্রহণ করতে হবে। গতানুগতিক গোত্রীয় রীতিনীতির ওপর এসব সামাজিক ব্যবস্থার আওতায় নৈতিক মানদণ্ডসমূহ প্রতিষ্ঠিত। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত গোত্রীয় প্রথার ভিত্তিতেই মানবজীবনের আদর্শ বিবেচিত হয় এবং সেই উত্তম আদর্শ দ্বারাই পরিচালিত হয় সভ্য মানুষের জীবনাচরণ। ধর্মপ্রাণ মানুষ যত দিন বিবেকবান হয়ে এ ধরনের নীতি-আদর্শকে সমুন্নত রাখে, তত দিন মনুষ্যত্বের গৌরব বিকশিত হয় এবং ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষের পরিচয় সমুজ্জ্বল হয়ে থাকে। সার্থক মানুষ ও সুন্দর সমাজ গঠনে ইসলামে নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
ধর্মীয় নীতি-আদর্শ দ্বারা পরিচালিত জীবনব্যবস্থা নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড। এই মানদণ্ডে সমাজে মানুষের মৌলিক মানবীয় কর্মকাণ্ডের ভালোমন্দ বিচার করা হয়। তাই সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সততা, বিশ্বস্ততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়নীতি, শিষ্টাচার, ধৈর্য-সহিষ্ণুতা, মায়া-মমতা, ক্ষমা, উদারতা, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাবোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, সদাচরণ প্রভৃতি সুকুমার বৃত্তি বা মানবীয় গুণাবলির সমষ্টি। ইসলাম মানবজাতিকে এসব মহৎ গুণ অর্জনের জন্য আজীবন প্রয়াস চালাতে বিশেষভাবে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুলের জীবনে তোমাদের জন্য রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।’ (সূরা আল-আহযাব, আয়াত-২১)
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজের ভিত্তি। সমাজজীবনে মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচরণ এবং কর্মকাণ্ড যেসব ইসলামি নীতিমালার আলোকে প্রতিষ্ঠিত হয়, তাদের সমষ্টিই সামাজিক মূল্যবোধ। জীবনে কোনো প্রকার অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন থাকবে না, মানুষ স্বার্থপরতা-সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত থাকবে—এটি ইসলামের শিক্ষা। কিন্তু মানব প্রকৃতির স্বাভাবিক ধর্মটাই এমন যে এখানে আত্মস্বার্থ ও পরার্থ—এ দুটি পরস্পরবিরোধী প্রবৃত্তি পাশাপাশি বিদ্যমান। একদিকে দৈহিক জৈবিক প্রবৃত্তি যেমন মানুষকে আত্মস্বার্থ হাসিল করতে প্ররোচিত করে, অন্যদিকে মানুষের বিবেক তাকে একই সঙ্গে নিজের ও অপরের সুখ-সুবিধার ব্যাপারে উদ্যোগী ও সহমর্মী হতে শেখায়। তাই অন্ধ প্রবৃত্তির চাপের মুখেও মহৎপ্রাণ মানুষ সমাজকল্যাণে ব্রতী হন, আর্তমানবতার দুঃখ-দুর্দশা ও দারিদ্র্য বিমোচনে এগিয়ে যান। যুক্তিহীন প্রবৃত্তিসৃষ্ট প্রবল প্রতিকূলতার মুখেও মানুষের এই যে পরার্থপর ও কল্যাণমুখী প্রেরণা, এর মূলে তার একটা গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি কার্যকর। আর সেটি হচ্ছে অন্যের দুঃখে সহমর্মী না হলে তার নিজের দুঃখেও কেউ সহমর্মী হবে না। সে অন্যের ভালো না চাইলে অন্য কেউও তার ভালো চাইবে না।
যেকোনো সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব এবং সমাজের অন্যান্য অনুমোদিত ব্যবহারের সমন্বয়ে মানুষের মধ্যে স্নেহ, মায়া-মমতা, সততা, সম্প্রীতি প্রভৃতি সৃষ্টি হয়। এমন হলে সেখানে নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ বিদ্যমান আছে বলে মনে হয়। নৈতিক আদর্শসংবলিত সমাজে কোনো অনাচার থাকবে না। ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, প্রবঞ্চনা, শোষণ, স্বার্থপরতা—এসব কুপ্রবৃত্তি থেকে সমাজ মুক্ত থাকলেই তখন নৈতিকতার আদর্শ প্রতিফলিত হয়। সব ধরনের দুর্নীতি থেকে মুক্ত জীবনই আদর্শ জীবন। ন্যায়নীতি থেকে বিচ্যুত জীবন কখনোই আদর্শরূপে গণ্য হতে পারে না। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানবজাতিকে অন্যায় প্রতিরোধের শিক্ষা দিয়ে বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি কাউকে অন্যায় কাজ করতে দেখে তাহলে সে যেন তার শক্তি দ্বারা তা প্রতিহত করে। যদি সে এতে অক্ষম হয়, তবে মুখ দ্বারা নিষেধ করবে। যদি সে এতেও অপারগ হয় তবে সে অন্তর দ্বারা ঘৃণা পোষণ করবে।’ (মুসলিম)
ইসলামের বিধিবিধান ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, সত্যপথের অনুসারী হওয়া, অন্যের কোনো ক্ষতি না করা, পরোপকারের মহান ব্রতে উদ্দীপ্ত হওয়া—এসবের চর্চা দ্বারাই মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের প্রকাশ ঘটে। মানুষ যথার্থ সাফল্য অর্জন করে তখনই যখন সে নিজের কল্যাণ-অকল্যাণকে অপরের কল্যাণ-অকল্যাণের সঙ্গে সমন্বিত করে নিজের কল্যাণের মাধ্যমে অপরের কল্যাণের পথ সুগম করে। মানবিক গুণাবলিসমৃদ্ধ চরিত্রই নৈতিক মূল্যবোধে বিকশিত হয়। নৈতিক মূল্যবোধ ব্যক্তিজীবনকে উচ্চমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে। তার আদর্শ সবার জন্য অনুসরণীয় হয়।
বর্তমান সমাজে নানা রকম দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটায় নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটছে। জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে দুর্নীতির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। কোনো প্রকার অন্যায়ই যেন আজ অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না। নীতিভ্রষ্ট মানুষ নিজেকে অপরাধী বা হীন বলে গণ্য করে না। দুর্নীতির মাধ্যমে বিত্তশালী হয়েও সংকোচবোধ করে না, বরং অর্থের অহংবোধে গৌরবান্বিত হয়।
দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে জাতীয় জীবন থেকে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। সমাজের সর্বস্তরে দুর্নীতির অবসান ঘটাতে নৈতিকতার চর্চা প্রয়োজন। এ জন্য প্রচলিত আইনে অপরাধীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে মানুষের জানমাল ও জীবিকার পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে। নীতিবোধসম্পন্ন ও সুদক্ষ প্রশাসন গড়ে তুলতে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং জনগণের মধ্যে মূল্যবোধ ও নৈতিকতা জাগ্রত করতে হবে।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
ধর্মীয় নীতি-আদর্শ দ্বারা পরিচালিত জীবনব্যবস্থা নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড। এই মানদণ্ডে সমাজে মানুষের মৌলিক মানবীয় কর্মকাণ্ডের ভালোমন্দ বিচার করা হয়। তাই সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সততা, বিশ্বস্ততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়নীতি, শিষ্টাচার, ধৈর্য-সহিষ্ণুতা, মায়া-মমতা, ক্ষমা, উদারতা, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাবোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, সদাচরণ প্রভৃতি সুকুমার বৃত্তি বা মানবীয় গুণাবলির সমষ্টি। ইসলাম মানবজাতিকে এসব মহৎ গুণ অর্জনের জন্য আজীবন প্রয়াস চালাতে বিশেষভাবে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুলের জীবনে তোমাদের জন্য রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।’ (সূরা আল-আহযাব, আয়াত-২১)
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজের ভিত্তি। সমাজজীবনে মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচরণ এবং কর্মকাণ্ড যেসব ইসলামি নীতিমালার আলোকে প্রতিষ্ঠিত হয়, তাদের সমষ্টিই সামাজিক মূল্যবোধ। জীবনে কোনো প্রকার অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন থাকবে না, মানুষ স্বার্থপরতা-সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত থাকবে—এটি ইসলামের শিক্ষা। কিন্তু মানব প্রকৃতির স্বাভাবিক ধর্মটাই এমন যে এখানে আত্মস্বার্থ ও পরার্থ—এ দুটি পরস্পরবিরোধী প্রবৃত্তি পাশাপাশি বিদ্যমান। একদিকে দৈহিক জৈবিক প্রবৃত্তি যেমন মানুষকে আত্মস্বার্থ হাসিল করতে প্ররোচিত করে, অন্যদিকে মানুষের বিবেক তাকে একই সঙ্গে নিজের ও অপরের সুখ-সুবিধার ব্যাপারে উদ্যোগী ও সহমর্মী হতে শেখায়। তাই অন্ধ প্রবৃত্তির চাপের মুখেও মহৎপ্রাণ মানুষ সমাজকল্যাণে ব্রতী হন, আর্তমানবতার দুঃখ-দুর্দশা ও দারিদ্র্য বিমোচনে এগিয়ে যান। যুক্তিহীন প্রবৃত্তিসৃষ্ট প্রবল প্রতিকূলতার মুখেও মানুষের এই যে পরার্থপর ও কল্যাণমুখী প্রেরণা, এর মূলে তার একটা গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি কার্যকর। আর সেটি হচ্ছে অন্যের দুঃখে সহমর্মী না হলে তার নিজের দুঃখেও কেউ সহমর্মী হবে না। সে অন্যের ভালো না চাইলে অন্য কেউও তার ভালো চাইবে না।
যেকোনো সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব এবং সমাজের অন্যান্য অনুমোদিত ব্যবহারের সমন্বয়ে মানুষের মধ্যে স্নেহ, মায়া-মমতা, সততা, সম্প্রীতি প্রভৃতি সৃষ্টি হয়। এমন হলে সেখানে নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ বিদ্যমান আছে বলে মনে হয়। নৈতিক আদর্শসংবলিত সমাজে কোনো অনাচার থাকবে না। ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, প্রবঞ্চনা, শোষণ, স্বার্থপরতা—এসব কুপ্রবৃত্তি থেকে সমাজ মুক্ত থাকলেই তখন নৈতিকতার আদর্শ প্রতিফলিত হয়। সব ধরনের দুর্নীতি থেকে মুক্ত জীবনই আদর্শ জীবন। ন্যায়নীতি থেকে বিচ্যুত জীবন কখনোই আদর্শরূপে গণ্য হতে পারে না। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানবজাতিকে অন্যায় প্রতিরোধের শিক্ষা দিয়ে বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি কাউকে অন্যায় কাজ করতে দেখে তাহলে সে যেন তার শক্তি দ্বারা তা প্রতিহত করে। যদি সে এতে অক্ষম হয়, তবে মুখ দ্বারা নিষেধ করবে। যদি সে এতেও অপারগ হয় তবে সে অন্তর দ্বারা ঘৃণা পোষণ করবে।’ (মুসলিম)
ইসলামের বিধিবিধান ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, সত্যপথের অনুসারী হওয়া, অন্যের কোনো ক্ষতি না করা, পরোপকারের মহান ব্রতে উদ্দীপ্ত হওয়া—এসবের চর্চা দ্বারাই মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের প্রকাশ ঘটে। মানুষ যথার্থ সাফল্য অর্জন করে তখনই যখন সে নিজের কল্যাণ-অকল্যাণকে অপরের কল্যাণ-অকল্যাণের সঙ্গে সমন্বিত করে নিজের কল্যাণের মাধ্যমে অপরের কল্যাণের পথ সুগম করে। মানবিক গুণাবলিসমৃদ্ধ চরিত্রই নৈতিক মূল্যবোধে বিকশিত হয়। নৈতিক মূল্যবোধ ব্যক্তিজীবনকে উচ্চমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে। তার আদর্শ সবার জন্য অনুসরণীয় হয়।
বর্তমান সমাজে নানা রকম দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটায় নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটছে। জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে দুর্নীতির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। কোনো প্রকার অন্যায়ই যেন আজ অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না। নীতিভ্রষ্ট মানুষ নিজেকে অপরাধী বা হীন বলে গণ্য করে না। দুর্নীতির মাধ্যমে বিত্তশালী হয়েও সংকোচবোধ করে না, বরং অর্থের অহংবোধে গৌরবান্বিত হয়।
দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে জাতীয় জীবন থেকে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। সমাজের সর্বস্তরে দুর্নীতির অবসান ঘটাতে নৈতিকতার চর্চা প্রয়োজন। এ জন্য প্রচলিত আইনে অপরাধীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে মানুষের জানমাল ও জীবিকার পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে। নীতিবোধসম্পন্ন ও সুদক্ষ প্রশাসন গড়ে তুলতে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং জনগণের মধ্যে মূল্যবোধ ও নৈতিকতা জাগ্রত করতে হবে।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
No comments