যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন সংস্কার আইন-দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারে 'ই-ভেরিফাই'
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অভিবাসন সংস্কার আইন
পাস হলে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ ইলেকট্রনিক যাচাই-বাছাই পদ্ধতি চালু হবে।
অভিবাসীকর্মীরা আসলেই যুক্তরাষ্ট্রে কাজের অনুমতিপ্রাপ্ত কি না, এ পদ্ধতির
মাধ্যমে তা যাচাই করে দেখা হবে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, জটিল এই আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি অভিবাসীদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্যও দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে।
গত ২৭ জুন মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বহুল আলোচিত অভিবাসন সংস্কার বিল পাস হয়। বিলে কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রায় এক কোটি ১১ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া সম্প্রসারণ, অভিবাসীদের অতীত ইতিহাস যাচাই, তাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের ফি, জরিমানা ও কর আরোপ, ইংরেজি শিক্ষার বাধ্যবাধকতা আরোপের মতো কয়েকটি নীতিমালা চালুরও প্রস্তাব রয়েছে। অভিবাসীদের কাজের অনুমোদন রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে সব অফিসে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি (ই-ভেরিফাই) চালুর বাধ্যবাধকতা আরোপেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর অভিবাসন আইন সংস্কারকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার আগে প্রতিনিধি পরিষদ ও ওবামার স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। তবে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান সদস্যরা বিল আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২০টি অঙ্গরাজ্যে ই-ভেরিফাই পদ্ধতি চালু আছে। তবে এর জন্য নিয়োগকারীদের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের চার লাখ ১১ হাজার নিয়োগকারীর সাত শতাংশ বর্তমানে এ পদ্ধতি ব্যবহার করছে। ই-ভেরিফাই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য নিয়োগকারীদের তাঁদের কর্মীর বিস্তারিত তথ্যসহ একটি আবেদন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগে পাঠাতে হয়। এ বিভাগ থেকেই তথ্যগুলো যাচাই করা হয়। গত বছর দুই কোটি দুই লাখ কর্মীর ক্ষেত্রে ই-ভেরিফাই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১.৯ শতাংশের কাজের অনুমতি বাতিল হয়। আর আপিল আবেদন করার পর দশমিক ২৬ শতাংশ কর্মী কাজের অনুমতি ফেরত পায়।
অভিবাসনপন্থী গোষ্ঠীগুলো বাধ্যতামূলকভাবে চালুর আগে ই-ভেরিফাই পদ্ধতি আরো উন্নত করার দাবি তুলেছে। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক সংস্থা ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ল সেন্টারের শ্রম অধিকারবিষয়ক আইনজীবী জসুয়া স্টেলিক জানান, 'ই-ভেরিফাই পদ্ধতির জন্য সরকারের তথ্যভাণ্ডারেই সমস্যা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন- এমন শ্রমিক বা কর্মচারী, নারী কর্মী, অপ্রচলিত নামের ব্যক্তিদের নিয়ে সরকারের কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে জটিলতা রয়েছে।' মার্কিন নাগরিকরাও অনেক সময় এর জন্য ভোগান্তির শিকার হয়। ২০১২ সালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় পাঁচ কোটি ২০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। নতুন পদ্ধতি চালু হলে এর মধ্যে অন্তত এক লাখ ৩৫ হাজার ২০০ জনকে জটিল আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্য দিয়ে নিজেদের কাজের যোগ্য বলে প্রমাণ করতে হবে। অভিবাসন সংস্কার আইন পাস হলে এর অপব্যবহারেরও আশঙ্কা রয়েছে। কর্মীদের হয়রানির মুখে ফেলতে ও বৈষম্যের উদ্দেশ্যে এ পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : এএফপি।
গত ২৭ জুন মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বহুল আলোচিত অভিবাসন সংস্কার বিল পাস হয়। বিলে কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রায় এক কোটি ১১ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া সম্প্রসারণ, অভিবাসীদের অতীত ইতিহাস যাচাই, তাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের ফি, জরিমানা ও কর আরোপ, ইংরেজি শিক্ষার বাধ্যবাধকতা আরোপের মতো কয়েকটি নীতিমালা চালুরও প্রস্তাব রয়েছে। অভিবাসীদের কাজের অনুমোদন রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে সব অফিসে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি (ই-ভেরিফাই) চালুর বাধ্যবাধকতা আরোপেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর অভিবাসন আইন সংস্কারকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার আগে প্রতিনিধি পরিষদ ও ওবামার স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। তবে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান সদস্যরা বিল আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২০টি অঙ্গরাজ্যে ই-ভেরিফাই পদ্ধতি চালু আছে। তবে এর জন্য নিয়োগকারীদের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের চার লাখ ১১ হাজার নিয়োগকারীর সাত শতাংশ বর্তমানে এ পদ্ধতি ব্যবহার করছে। ই-ভেরিফাই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য নিয়োগকারীদের তাঁদের কর্মীর বিস্তারিত তথ্যসহ একটি আবেদন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগে পাঠাতে হয়। এ বিভাগ থেকেই তথ্যগুলো যাচাই করা হয়। গত বছর দুই কোটি দুই লাখ কর্মীর ক্ষেত্রে ই-ভেরিফাই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১.৯ শতাংশের কাজের অনুমতি বাতিল হয়। আর আপিল আবেদন করার পর দশমিক ২৬ শতাংশ কর্মী কাজের অনুমতি ফেরত পায়।
অভিবাসনপন্থী গোষ্ঠীগুলো বাধ্যতামূলকভাবে চালুর আগে ই-ভেরিফাই পদ্ধতি আরো উন্নত করার দাবি তুলেছে। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক সংস্থা ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ল সেন্টারের শ্রম অধিকারবিষয়ক আইনজীবী জসুয়া স্টেলিক জানান, 'ই-ভেরিফাই পদ্ধতির জন্য সরকারের তথ্যভাণ্ডারেই সমস্যা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন- এমন শ্রমিক বা কর্মচারী, নারী কর্মী, অপ্রচলিত নামের ব্যক্তিদের নিয়ে সরকারের কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে জটিলতা রয়েছে।' মার্কিন নাগরিকরাও অনেক সময় এর জন্য ভোগান্তির শিকার হয়। ২০১২ সালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় পাঁচ কোটি ২০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। নতুন পদ্ধতি চালু হলে এর মধ্যে অন্তত এক লাখ ৩৫ হাজার ২০০ জনকে জটিল আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্য দিয়ে নিজেদের কাজের যোগ্য বলে প্রমাণ করতে হবে। অভিবাসন সংস্কার আইন পাস হলে এর অপব্যবহারেরও আশঙ্কা রয়েছে। কর্মীদের হয়রানির মুখে ফেলতে ও বৈষম্যের উদ্দেশ্যে এ পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : এএফপি।
No comments