১০ জুলাই জেলা প্রশাসক সম্মেলন শুরু-আরও ক্ষমতা চান জেলা প্রশাসকেরা by মোশতাক আহমেদ
ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতা বৃদ্ধি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনীত করা, কক্সবাজারে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অনুপ্রবেশ রোধ করাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব করেছেন জেলা প্রশাসকেরা। একই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আরও ক্ষমতা চেয়েছেন তাঁরা।
১০ জুলাই শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনে উত্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসকেরা এসব প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন, যা সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলনকে কেন্দ্র থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও মাঠ প্রশাসনে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রথম আলোকে বলেন, সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। রোববার (আজ) সংবাদ সম্মেলন করে সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয় জানানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হবে। এবারের সম্মেলনের জন্য জেলা প্রশাসকেরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ভিত্তিক প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। বিভাগীয় কমিশনাররাও কিছু প্রস্তাব করেছেন।
সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে: ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনার জন্য এনজিওগুলোকে সনদ দেওয়ার আগে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যয়ন গ্রহণের ব্যবস্থা এবং সব উপজেলায় তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত ১৬টি প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুই প্রস্তাব হচ্ছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনীত করা ও সভাপতির নিম্নতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ। এর কারণ হিসেবে প্রস্তাবে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তিদের মনোনীত করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসম্মত শিক্ষা বিঘ্নিত এবং দুর্নীতি বাড়ছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেকোনো অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার চেয়েছেন জেলা প্রশাসকেরা। জেলা প্রশাসকেরা পঞ্চম শ্রেণী ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্যান্য শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা তাঁদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি করে তা সমগ্র জেলায় একই তারিখে গ্রহণ করারও প্রস্তাব দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে: নাফ নদীর জলসীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের আধিপত্য বাড়াতে টেকনাফ থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত জলসীমা রক্ষার দায়িত্ব কোস্টগার্ডকে দেওয়া, সীমান্তে অনতিবিলম্বে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে অনুপ্রবেশ রোধ, বিওপি থেকে বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে পোস্ট/ক্যাম্প ও নতুন বিওপি স্থাপন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতা বৃদ্ধি করা।
সবচেয়ে বেশি প্রস্তাব করা হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়ে। এর মধ্যে রয়েছে, অ-কৃষি খাসজমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত নবায়নের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের কাছে অর্পণ, পার্বত্য তিন জেলায় হেডম্যান কারবারিদের সম্মানীভাতা বাড়ানো, ভূমিসংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা, ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ করে হোল্ডিংয়ের ফি বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা, নামজারি জমার ফি বাড়ানো, পরিবারপ্রতি কৃষি জমি অর্জনের সর্বোচ্চ সীমা বর্তমানের ৬০ বিঘার পরিবর্তে ৪০ বিঘা করা ইত্যাদি।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কে বিভিন্ন প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে: উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুকূলে থোক বরাদ্দ দেওয়া, প্রতিটি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে একটি করে বহুতল ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করা, উপজেলা পরিষদের কাছে কেবল হস্তান্তরিত বিষয়গুলোর জন্য স্থায়ী কমিটির ব্যবস্থা রেখে অন্যান্য বিষয়ের জন্য গঠিত স্থায়ী কমিটির ব্যবস্থা বাদ দেওয়া ইত্যাদি।
গতবারের পরিস্থিতি: গতবার এই সম্মেলন হয়েছিল ২৬ থেকে ২৮ জুলাই। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, গতবারের সম্মেলনে নেওয়া মধ্যমেয়াদি ২০৫টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ১৫৮টি বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে স্বল্পমেয়াদি ১৫১টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ১৪৯টিই বাস্তবায়িত হয়েছে।
গতবারের সম্মেলনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রথম আলোকে বলেন, গতবারের সম্মেলনে যেসব প্রস্তাব করা হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন অবস্থা সন্তোষজনক। বেশির ভাগ সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। আর জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রস্তাবগুলো খুবই বাস্তবসম্মত এবং বাস্তবায়নযোগ্য। কারণ, জেলা প্রশাসকেরা মাঠপর্যায়ের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে প্রস্তাব করেন, যেটা মন্ত্রণালয়ে বসে বোঝা যায় না। এ জন্য এই সম্মেলনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন শেষ হবে ১২ জুলাই।
গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলনকে কেন্দ্র থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও মাঠ প্রশাসনে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রথম আলোকে বলেন, সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। রোববার (আজ) সংবাদ সম্মেলন করে সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয় জানানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হবে। এবারের সম্মেলনের জন্য জেলা প্রশাসকেরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ভিত্তিক প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। বিভাগীয় কমিশনাররাও কিছু প্রস্তাব করেছেন।
সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে: ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনার জন্য এনজিওগুলোকে সনদ দেওয়ার আগে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যয়ন গ্রহণের ব্যবস্থা এবং সব উপজেলায় তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত ১৬টি প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুই প্রস্তাব হচ্ছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনীত করা ও সভাপতির নিম্নতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ। এর কারণ হিসেবে প্রস্তাবে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তিদের মনোনীত করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসম্মত শিক্ষা বিঘ্নিত এবং দুর্নীতি বাড়ছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেকোনো অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার চেয়েছেন জেলা প্রশাসকেরা। জেলা প্রশাসকেরা পঞ্চম শ্রেণী ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্যান্য শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা তাঁদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি করে তা সমগ্র জেলায় একই তারিখে গ্রহণ করারও প্রস্তাব দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে: নাফ নদীর জলসীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের আধিপত্য বাড়াতে টেকনাফ থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত জলসীমা রক্ষার দায়িত্ব কোস্টগার্ডকে দেওয়া, সীমান্তে অনতিবিলম্বে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে অনুপ্রবেশ রোধ, বিওপি থেকে বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে পোস্ট/ক্যাম্প ও নতুন বিওপি স্থাপন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতা বৃদ্ধি করা।
সবচেয়ে বেশি প্রস্তাব করা হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়ে। এর মধ্যে রয়েছে, অ-কৃষি খাসজমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত নবায়নের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের কাছে অর্পণ, পার্বত্য তিন জেলায় হেডম্যান কারবারিদের সম্মানীভাতা বাড়ানো, ভূমিসংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা, ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ করে হোল্ডিংয়ের ফি বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা, নামজারি জমার ফি বাড়ানো, পরিবারপ্রতি কৃষি জমি অর্জনের সর্বোচ্চ সীমা বর্তমানের ৬০ বিঘার পরিবর্তে ৪০ বিঘা করা ইত্যাদি।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কে বিভিন্ন প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে: উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুকূলে থোক বরাদ্দ দেওয়া, প্রতিটি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে একটি করে বহুতল ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করা, উপজেলা পরিষদের কাছে কেবল হস্তান্তরিত বিষয়গুলোর জন্য স্থায়ী কমিটির ব্যবস্থা রেখে অন্যান্য বিষয়ের জন্য গঠিত স্থায়ী কমিটির ব্যবস্থা বাদ দেওয়া ইত্যাদি।
গতবারের পরিস্থিতি: গতবার এই সম্মেলন হয়েছিল ২৬ থেকে ২৮ জুলাই। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, গতবারের সম্মেলনে নেওয়া মধ্যমেয়াদি ২০৫টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ১৫৮টি বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে স্বল্পমেয়াদি ১৫১টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ১৪৯টিই বাস্তবায়িত হয়েছে।
গতবারের সম্মেলনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রথম আলোকে বলেন, গতবারের সম্মেলনে যেসব প্রস্তাব করা হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন অবস্থা সন্তোষজনক। বেশির ভাগ সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। আর জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রস্তাবগুলো খুবই বাস্তবসম্মত এবং বাস্তবায়নযোগ্য। কারণ, জেলা প্রশাসকেরা মাঠপর্যায়ের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে প্রস্তাব করেন, যেটা মন্ত্রণালয়ে বসে বোঝা যায় না। এ জন্য এই সম্মেলনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন শেষ হবে ১২ জুলাই।
No comments