অতঃপর বিদ্যুৎ সংযোগ
এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম সমস্যা বিদ্যুৎ। সারা দেশে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। নিয়মিত লোডশেডিং করেও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। সমস্যা অনেক দিনের। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যই বন্ধ রাখা হয়েছিল নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ।
বিদ্যুতের নতুন সংযোগ আবার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫ মে থেকে শুরু হবে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ। ৩১ মার্চ পর্যন্ত যাদের নামে ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হয়েছে, তারাই পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন। তবে যারা ৫০০ কিলোওয়াটের বেশি লোডের জন্য আবেদন করেছেন, তারা এ পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন না। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলে অতিরিক্ত ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে।
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখলেও চাহিদা থেমে থাকেনি। বিদ্যুতের চাহিদা দিনের পর দিন বেড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান বন্ধ রাখায় দেখা দেয় নতুন সমস্যা। অন্যান্য ব্যবসায় এর বিরূপ প্রভাবও পড়তে শুরু করে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। একদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় অনেক বহুতল ভবন বিক্রি করা সম্ভব হয়নি, অন্যদিকে যেসব বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট বিক্রি করা হয়েছে, সেগুলোতে বসবাসের জন্য ওঠা সম্ভব হয়নি। কারণ, বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। শুধু আবাসন শিল্প নয়, অন্যান্য শিল্পেও এর প্রভাব পড়ে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকার কারণে ব্যক্তি পর্যায়েও অনেকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনেকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন বা বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় সেই ফ্ল্যাট বা বাড়িতে ওঠা সম্ভব হয়নি তাঁদের। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় সংযোগ চেয়ে এ পর্যন্ত তিন লাখ ৮৮ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক লাখ আবেদনকারীর ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হয়েছে। বাকিদের ডিমান্ড নোটের শতকরা ৩০ ভাগ ইস্যু করা হয়েছে গত মার্চ মাসে। এপ্রিলে দেওয়া হয়েছে আরো শতকরা ৩০ ভাগ ডিমান্ড নোট।
এর আগে সাত মাস বন্ধ থাকার পর গত বছর নভেম্বর মাসে শর্তসাপেক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ঘোষণা এসেছিল। সেবারে বলা হয়েছিল সোলার প্যানেল বসানোর শর্তসাপেক্ষে নির্দিষ্ট লোডের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া শুরু হলেই যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তা নয়। নতুন সংযোগ চালুর পর বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে। বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা।
বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পর এক হাজার ৪০৩ মেগাওয়াট উৎপাদন বেড়েছে। আগামী জুনের মধ্যে আরো এক হাজার এবং ডিসেম্বরে আরো এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লে নতুন সংযোগ দেওয়া যেমন সহজ হয়ে যাবে, তেমনি লোডশেডিংয়ের সমস্যাও অনেকাংশে কেটে যাবে। আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে অনেকের দুশ্চিন্তার অবসান হবে।
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখলেও চাহিদা থেমে থাকেনি। বিদ্যুতের চাহিদা দিনের পর দিন বেড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান বন্ধ রাখায় দেখা দেয় নতুন সমস্যা। অন্যান্য ব্যবসায় এর বিরূপ প্রভাবও পড়তে শুরু করে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। একদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় অনেক বহুতল ভবন বিক্রি করা সম্ভব হয়নি, অন্যদিকে যেসব বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট বিক্রি করা হয়েছে, সেগুলোতে বসবাসের জন্য ওঠা সম্ভব হয়নি। কারণ, বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। শুধু আবাসন শিল্প নয়, অন্যান্য শিল্পেও এর প্রভাব পড়ে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকার কারণে ব্যক্তি পর্যায়েও অনেকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনেকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন বা বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় সেই ফ্ল্যাট বা বাড়িতে ওঠা সম্ভব হয়নি তাঁদের। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় সংযোগ চেয়ে এ পর্যন্ত তিন লাখ ৮৮ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক লাখ আবেদনকারীর ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হয়েছে। বাকিদের ডিমান্ড নোটের শতকরা ৩০ ভাগ ইস্যু করা হয়েছে গত মার্চ মাসে। এপ্রিলে দেওয়া হয়েছে আরো শতকরা ৩০ ভাগ ডিমান্ড নোট।
এর আগে সাত মাস বন্ধ থাকার পর গত বছর নভেম্বর মাসে শর্তসাপেক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ঘোষণা এসেছিল। সেবারে বলা হয়েছিল সোলার প্যানেল বসানোর শর্তসাপেক্ষে নির্দিষ্ট লোডের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া শুরু হলেই যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তা নয়। নতুন সংযোগ চালুর পর বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে। বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা।
বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পর এক হাজার ৪০৩ মেগাওয়াট উৎপাদন বেড়েছে। আগামী জুনের মধ্যে আরো এক হাজার এবং ডিসেম্বরে আরো এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লে নতুন সংযোগ দেওয়া যেমন সহজ হয়ে যাবে, তেমনি লোডশেডিংয়ের সমস্যাও অনেকাংশে কেটে যাবে। আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে অনেকের দুশ্চিন্তার অবসান হবে।
No comments