শুল্কমুক্ত বিপণি স্থাপনে হঠাৎ আগ্রহ বৃদ্ধি by ফখরুল ইসলাম
হঠাৎ করেই দেশে বেসরকারি খাতে শুল্কমুক্ত বিপণি (ডিউটি ফ্রি শপ) স্থাপনের আগ্রহ বেড়ে গেছে। বিপণিগুলোতে লিকার, অ্যালকোহলিক বেভারেজ, পারফিউমারি, সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য ইত্যাদি কেনাবেচা হবে। শুল্কমুক্ত বিপণি স্থাপনে আবেদনগুলো জমা পড়ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর)। আর অনাপত্তিপত্রের জন্য একই আবেদন দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
তিন মাস আগে ২০১১ সালের ১৬ অক্টোবর এনবিআর বেসরকারি খাতে শুল্কমুক্ত বিপণি স্থাপনের জন্য বন্ড লাইসেন্স ইস্যুবিষয়ক একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে। এর পর থেকেই একের পর এক আবেদন পড়ছে বলে জানা গেছে। নীতিমালায় বন্ড লাইসেন্সের জন্য আবেদনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, শুল্কমুক্ত বিপণি স্থাপনের জন্য সম্প্রতি এম্পোরিয়াম ডিউটি ফ্রি শপ, স্কাইলাক্স, বিএইচ ট্রেডিং নামের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ড লাইসেন্সের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ তিনটির উদাহরণ টেনে গত দুই মাসে আবেদন পড়েছে আরও ২৩টি।
যোগাযোগ করলে বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অল্প দিনে অনেকগুলো আবেদন এসেছে। হঠাৎ কেন এ ব্যাপারে আগ্রহ বেড়ে গেল, বুঝতে পারছি না।’ যাচাই-বাছাই ও মানদণ্ড তৈরির জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যসচিব।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অনাপত্তি দেওয়ার পর অনেকগুলো আবেদন পড়ায় সম্প্রতি বেঁকে বসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢালাওভাবে অনাপত্তিপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ব্যাংকেরও একই ধরনের মনোভাব।
আবেদনগুলোতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, ভোমরা, হিলি, আখাউড়াসহ সব স্থলবন্দরে শুল্কমুক্ত বিপণি স্থাপনের আগ্রহের কথা জানানো হয়।
বন্ড লাইসেন্স ইস্যুর জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে র্যাংগস ইলেকট্রনিকসের নামে। র্যাংগস ইলেকট্রনিকসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকতার হোসেন পাঁচটি ভিন্ন স্থানে বিপণি স্থাপনের জন্য এ আবেদন করেন। তিনটি করে আবেদন রয়েছে ফু-ওয়াং বোওলিং অ্যান্ড সার্ভিসেস, বেলাগিও লিমিটেড এবং মেসার্স হক ট্রেডার্সের নামে। দুটি করে আবেদন রয়েছে ন্যাশনাল কমার্শিয়াল করপোরেশন, ক্রস কান্ট্রি ডিউটি ফ্রি শপ এবং আহমেদ গ্রুপ অব কোম্পানিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিবিএসের নামে। এ ছাড়া স্পেকট্রাম এন্টারপ্রাইজ এবং এফএআরএন ট্রেডিংয়ের নামে একটি করে আবেদন রয়েছে।
আবেদনপত্রের কয়েকটিতে কারও মুঠোফোন নম্বর নেই, টিঅ্যান্ডটি ফোন নম্বরও নেই। বেশির ভাগ আবেদনকারীই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা অংশীদার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, এর মাধ্যমে টাকা পাচারের সুযোগ তৈরি হতে পারে। তাই তাঁরা বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকিতে রাখবেন। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ে তদবিরের মাধ্যমে কিছু লাইসেন্স নেবেন তাঁরা। পরে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেবেন।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আবেদনকারী যেসব পণ্যের জন্য বন্ড লাইসেন্সের আবেদন করবেন, সেসব পণ্য কেনাবেচার ওপর বিদেশে পাঁচ বছর বা দেশে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যে বন্দরে শুল্কমুক্ত বিপণি খোলা হবে, স্থান বরাদ্দ নিতে হবে সেখানকার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ থেকে। অনুমোদিত পণ্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্য বন্ডে খালাসযোগ্য হবে না। লাইসেন্সে তাই পণ্যের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। বন্ডেড ওয়্যারহাউস বা বিপণি ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে এসব পণ্য বিক্রিও করা যাবে না।
যোগাযোগ করলে স্কাইলাক্সের স্বত্বাধিকারী নাফিউল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে দেশে আরও শুল্কমুক্ত বিপণি হওয়া দরকার। তবে তিনি আশা করেন, সরকার যেন যাচাই-বাছাই করেই এ ধরনের বিপণি খোলার অনুমতি দেয়।
বেসরকারি খাতে শুল্কমুক্ত বিপণি স্থাপনের লক্ষ্যে বন্ড লাইসেন্স ইস্যুর প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (শুল্ক) মো. শাহ্ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৬৯ সালের কাস্টমস অ্যাক্টের ১৩(২) এবং ২১৯(খ)-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে এনবিআর তা জারি করেছে। এর বাইরে কিছু বলতে রাজি নন তিনি।
সূত্র জানায়, শুল্কমুক্ত বিপণি স্থাপনের জন্য সম্প্রতি এম্পোরিয়াম ডিউটি ফ্রি শপ, স্কাইলাক্স, বিএইচ ট্রেডিং নামের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ড লাইসেন্সের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ তিনটির উদাহরণ টেনে গত দুই মাসে আবেদন পড়েছে আরও ২৩টি।
যোগাযোগ করলে বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অল্প দিনে অনেকগুলো আবেদন এসেছে। হঠাৎ কেন এ ব্যাপারে আগ্রহ বেড়ে গেল, বুঝতে পারছি না।’ যাচাই-বাছাই ও মানদণ্ড তৈরির জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যসচিব।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অনাপত্তি দেওয়ার পর অনেকগুলো আবেদন পড়ায় সম্প্রতি বেঁকে বসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢালাওভাবে অনাপত্তিপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ব্যাংকেরও একই ধরনের মনোভাব।
আবেদনগুলোতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, ভোমরা, হিলি, আখাউড়াসহ সব স্থলবন্দরে শুল্কমুক্ত বিপণি স্থাপনের আগ্রহের কথা জানানো হয়।
বন্ড লাইসেন্স ইস্যুর জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে র্যাংগস ইলেকট্রনিকসের নামে। র্যাংগস ইলেকট্রনিকসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকতার হোসেন পাঁচটি ভিন্ন স্থানে বিপণি স্থাপনের জন্য এ আবেদন করেন। তিনটি করে আবেদন রয়েছে ফু-ওয়াং বোওলিং অ্যান্ড সার্ভিসেস, বেলাগিও লিমিটেড এবং মেসার্স হক ট্রেডার্সের নামে। দুটি করে আবেদন রয়েছে ন্যাশনাল কমার্শিয়াল করপোরেশন, ক্রস কান্ট্রি ডিউটি ফ্রি শপ এবং আহমেদ গ্রুপ অব কোম্পানিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিবিএসের নামে। এ ছাড়া স্পেকট্রাম এন্টারপ্রাইজ এবং এফএআরএন ট্রেডিংয়ের নামে একটি করে আবেদন রয়েছে।
আবেদনপত্রের কয়েকটিতে কারও মুঠোফোন নম্বর নেই, টিঅ্যান্ডটি ফোন নম্বরও নেই। বেশির ভাগ আবেদনকারীই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা অংশীদার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, এর মাধ্যমে টাকা পাচারের সুযোগ তৈরি হতে পারে। তাই তাঁরা বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকিতে রাখবেন। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ে তদবিরের মাধ্যমে কিছু লাইসেন্স নেবেন তাঁরা। পরে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেবেন।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আবেদনকারী যেসব পণ্যের জন্য বন্ড লাইসেন্সের আবেদন করবেন, সেসব পণ্য কেনাবেচার ওপর বিদেশে পাঁচ বছর বা দেশে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যে বন্দরে শুল্কমুক্ত বিপণি খোলা হবে, স্থান বরাদ্দ নিতে হবে সেখানকার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ থেকে। অনুমোদিত পণ্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্য বন্ডে খালাসযোগ্য হবে না। লাইসেন্সে তাই পণ্যের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। বন্ডেড ওয়্যারহাউস বা বিপণি ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে এসব পণ্য বিক্রিও করা যাবে না।
যোগাযোগ করলে স্কাইলাক্সের স্বত্বাধিকারী নাফিউল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে দেশে আরও শুল্কমুক্ত বিপণি হওয়া দরকার। তবে তিনি আশা করেন, সরকার যেন যাচাই-বাছাই করেই এ ধরনের বিপণি খোলার অনুমতি দেয়।
বেসরকারি খাতে শুল্কমুক্ত বিপণি স্থাপনের লক্ষ্যে বন্ড লাইসেন্স ইস্যুর প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (শুল্ক) মো. শাহ্ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৬৯ সালের কাস্টমস অ্যাক্টের ১৩(২) এবং ২১৯(খ)-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে এনবিআর তা জারি করেছে। এর বাইরে কিছু বলতে রাজি নন তিনি।
No comments