জয়পুরহাট- ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, ধানের দাম কম, কৃষকের ক্ষোভ
চলতি মৌসুমে বোরো চাষের শুরুতেই জ্বালানি তেল ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে এবার জয়পুরহাট জেলার বোরো চাষিদের গত বছরের তুলনায় ডিজেল বাবদ অতিরিক্ত প্রায় সাত কোটি টাকা গুনতে হবে। এ নিয়ে জেলার বোরো চাষিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কারণ পর পর গত দুই বছর ধানের দাম না পেয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে তাঁদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় চলতি মৌসুুমে ৬৯ হাজার ১৯৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজেলচালিত গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দিয়ে বোরো আবাদ করা হবে। বাকি ৪৫ হাজার ১৯৯ হেক্টর জমি বিদ্যুৎচালিত গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে বোরো চাষ করা হবে। জেলায় ডিজেলচালিত গভীর নলকূপ রয়েছে ২২৮টি ও অগভীর নলকূপ রয়েছে নয় হাজার ৪৫৭টি। এসব নলকূপে ডিজেল ব্যবহার হয় ৯৭ লাখ ৮৩ হাজার ৯০০ লিটার। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি সাত টাকা বাড়ানোয় চাষিদের অতিরিক্ত ছয় কোটি ৮৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হবে।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে বোরো চাষ করতে ডিজেল লাগে গড়ে ৩৫ লিটার। লিটারে সাত টাকা দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষককে প্রতি বিঘা জমিতে ডিজেল তেলে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে ২৪৫ টাকা। এ ছাড়া শহরে পাম্প ও এজেন্টরা ৬৮ টাকা দামে তেল বিক্রি করলেও বিভিন্ন গ্রামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এলাকাভেদে ৭০-৭২ টাকায় কিনতে হয়। ডিজেলচালিত অগভীর নলকূপের মালিক ক্ষেতলাল উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম জানান, তাঁদের স্থানীয় বাজার থেকেই ডিজেল কিনতে হয়। এ জন্য সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দু-চার টাকা লিটারপ্রতি বেশি দাম দিতে হয়। গত বছর ডিজেলচালিত অগভীর নলকূপে সেচ বাবদ বিঘাপ্রতি নেওয়া হয়েছিল দুই হাজার ৫০০ টাকা। এবার তিন হাজার টাকা থেকে তিন হাজার ২০০ টাকার কমে সেচ দেওয়া সম্ভব নয় বলে নলকূপের মালিকেরা দাবি করছেন।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার জামালপুর পালপাড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, তাঁর নিজের কোনো জমি নেই। প্রতিবছর অন্যের জমি বর্গা করে বোরোর আবাদ করেন। গত বছর সাড়ে তিন বিঘায় চাষ করে তাঁর লোকসান হয়েছে বিঘাপ্রতি তিন হাজার টাকা। এবার তেলের দাম বেশি হওয়ায় খরচ বেশি হবে। সরকার কৃষকের দিকে তাকালে তেলের দাম বাড়াত না।
কৃষক বেলাল হোসেন জানান, তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নলকূপের মালিকেরা চার-পাঁচ শ টাকা বিঘাপ্রতি সেচের দাম বেশি নেবেন বলে এখন থেকে প্রচার শুরু করেছেন। গত বছরের মতো যদি বোরো ধান ৫০০ টাকা মণ দরে বেচতে হয়, তাহলে এবার আরও বেশি লোকসান গুনতে হবে। তাঁর দাবি, সরকার যেন ধানের দাম প্রতিমণ ৯০০ টাকা নির্ধারণ করে।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. দেলবর হোসেন জানান, তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও কোনো কৃষক জমি অনাবাদী রাখবেন না। তবে গতবারের তুলনায় এবার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় চলতি মৌসুুমে ৬৯ হাজার ১৯৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজেলচালিত গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দিয়ে বোরো আবাদ করা হবে। বাকি ৪৫ হাজার ১৯৯ হেক্টর জমি বিদ্যুৎচালিত গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে বোরো চাষ করা হবে। জেলায় ডিজেলচালিত গভীর নলকূপ রয়েছে ২২৮টি ও অগভীর নলকূপ রয়েছে নয় হাজার ৪৫৭টি। এসব নলকূপে ডিজেল ব্যবহার হয় ৯৭ লাখ ৮৩ হাজার ৯০০ লিটার। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি সাত টাকা বাড়ানোয় চাষিদের অতিরিক্ত ছয় কোটি ৮৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হবে।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে বোরো চাষ করতে ডিজেল লাগে গড়ে ৩৫ লিটার। লিটারে সাত টাকা দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষককে প্রতি বিঘা জমিতে ডিজেল তেলে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে ২৪৫ টাকা। এ ছাড়া শহরে পাম্প ও এজেন্টরা ৬৮ টাকা দামে তেল বিক্রি করলেও বিভিন্ন গ্রামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এলাকাভেদে ৭০-৭২ টাকায় কিনতে হয়। ডিজেলচালিত অগভীর নলকূপের মালিক ক্ষেতলাল উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম জানান, তাঁদের স্থানীয় বাজার থেকেই ডিজেল কিনতে হয়। এ জন্য সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দু-চার টাকা লিটারপ্রতি বেশি দাম দিতে হয়। গত বছর ডিজেলচালিত অগভীর নলকূপে সেচ বাবদ বিঘাপ্রতি নেওয়া হয়েছিল দুই হাজার ৫০০ টাকা। এবার তিন হাজার টাকা থেকে তিন হাজার ২০০ টাকার কমে সেচ দেওয়া সম্ভব নয় বলে নলকূপের মালিকেরা দাবি করছেন।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার জামালপুর পালপাড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, তাঁর নিজের কোনো জমি নেই। প্রতিবছর অন্যের জমি বর্গা করে বোরোর আবাদ করেন। গত বছর সাড়ে তিন বিঘায় চাষ করে তাঁর লোকসান হয়েছে বিঘাপ্রতি তিন হাজার টাকা। এবার তেলের দাম বেশি হওয়ায় খরচ বেশি হবে। সরকার কৃষকের দিকে তাকালে তেলের দাম বাড়াত না।
কৃষক বেলাল হোসেন জানান, তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নলকূপের মালিকেরা চার-পাঁচ শ টাকা বিঘাপ্রতি সেচের দাম বেশি নেবেন বলে এখন থেকে প্রচার শুরু করেছেন। গত বছরের মতো যদি বোরো ধান ৫০০ টাকা মণ দরে বেচতে হয়, তাহলে এবার আরও বেশি লোকসান গুনতে হবে। তাঁর দাবি, সরকার যেন ধানের দাম প্রতিমণ ৯০০ টাকা নির্ধারণ করে।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. দেলবর হোসেন জানান, তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও কোনো কৃষক জমি অনাবাদী রাখবেন না। তবে গতবারের তুলনায় এবার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।
No comments