লোকালয়ে নয়টি ভাটায় কাঠ পুড়িয়ে ইট
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই রংপুরের পীরগাছায় ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে নয়টি ইটভাটা। এসব ভাটায় জ্বালানি কাঠ দিয়ে দেদার পোড়ানো হচ্ছে ইট।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পীরগাছায় ১৯টি ইটভাটা আছে। এর মধ্যে নয়টির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের নিবন্ধন নেই। ইটভাটাগুলো হলো: পারুল ইউনিয়নের মনুরছড়া গ্রামের এমএইচবি ব্রিকস, ইটাকুমারীর বড় হায়াত খাঁ গ্রামের আরকে ব্রিকস ও কালীগঞ্জ গ্রামের মিজান ব্রিকস, অন্নদানগরের বামন সর্দার গ্রামের শিল্পী এন্টারপ্রাইজ, ছাওলার রতনপুর গ্রামের আরকে ব্রিকস ও পূর্ব ব্রাহ্মণী কুণ্ডা গ্রামের এএমবি ম্যানুফ্যাকচারিং, তাম্বুলপুরের পূর্বদেবু গ্রামের এমএবি ব্রিকস ও তাম্বুলপুর গ্রামের মনি ব্রিকস এবং কৈকুড়ী ইউনিয়নের ওমর খাঁ গ্রামের মাইশা নিটল ব্রিকস। অপর দিকে ১০টি ইটভাটার নিবন্ধন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়া হলেও এগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম সারওয়ার জাহান জানান, জেলা প্রশাসন অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটার তালিকা চাওয়ার পর সরেজমিন পরিদর্শন করে এসব ইটভাটার নাম পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে ফসলি জমি ও লোকালয়ে অবৈধভাবে এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এ সুযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মাইশা নিটল ব্রিকসে শ্রমিকেরা ইট তৈরি এবং পাশেই ইট পোড়ানোর জন্য কাঠ মজুদ করছেন। এর চার পাশে রয়েছে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। এ ছাড়া ভাটার পূর্ব পাশে ২০০ গজের মধ্যে উত্তর রামচন্দ্র পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ছাড়া এমএইচবি ব্রিকস, আরকে ব্রিকস, মিজান ব্রিকস, শিল্পী এন্টারপ্রাইজ, এএমবি ম্যানুফ্যাকচারিং, এমএবি ব্রিকস ও মনি ব্রিকসের চার পাশে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। সব কটি ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইটভাটার মালিক জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের নিবন্ধনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে ছাড়পত্র নেওয়ার আগেই ইট পোড়ানোর ব্যাপারে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসকের অনুমোদন (নিবন্ধন) ছাড়া অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম সারওয়ার জাহান জানান, জেলা প্রশাসন অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটার তালিকা চাওয়ার পর সরেজমিন পরিদর্শন করে এসব ইটভাটার নাম পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে ফসলি জমি ও লোকালয়ে অবৈধভাবে এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এ সুযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মাইশা নিটল ব্রিকসে শ্রমিকেরা ইট তৈরি এবং পাশেই ইট পোড়ানোর জন্য কাঠ মজুদ করছেন। এর চার পাশে রয়েছে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। এ ছাড়া ভাটার পূর্ব পাশে ২০০ গজের মধ্যে উত্তর রামচন্দ্র পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ছাড়া এমএইচবি ব্রিকস, আরকে ব্রিকস, মিজান ব্রিকস, শিল্পী এন্টারপ্রাইজ, এএমবি ম্যানুফ্যাকচারিং, এমএবি ব্রিকস ও মনি ব্রিকসের চার পাশে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। সব কটি ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইটভাটার মালিক জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের নিবন্ধনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে ছাড়পত্র নেওয়ার আগেই ইট পোড়ানোর ব্যাপারে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসকের অনুমোদন (নিবন্ধন) ছাড়া অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments