নতুন সার কারখানা
বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলা করতে হলে উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। সীমিত জমিতে উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনে সার ব্যবহার হচ্ছে বহু আগে থেকে। এর মধ্যে ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না বাংলাদেশে উৎপাদনশীল সার কারখানাগুলো।
বর্তমানে যেসব কারখানায় সার উৎপাদন হয়, সেগুলো যদি তাদের উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী সার উৎপাদন করত, তার পরও চাহিদা শতভাগ পূরণ হতো না। সে হিসেবে নতুন কারখানা প্রতিষ্ঠা আমাদের কৃষকদের জন্য অবশ্যই আশাব্যঞ্জক।
সরকার সারের দাম কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে এর আগে। উদ্দেশ্য কৃষি উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে আনা। এতে সুফলও পাওয়া গেছে। অন্তত বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর জনস্বার্থে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, সারের ওপর ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত সেগুলোর অন্যতম। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ২০ লাখ টন সার আমদানি করতে হয়। বেশি মূল্যে সার কিনে প্রচুর ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের সরবরাহ করা হয়। এ পরিস্থিতিতে যদি দেশেই সারের উৎপাদন বাড়ানো না যায়, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে সারের ভর্তুকি অব্যাহত রাখা সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে এ-ও মনে রাখা প্রয়োজন, সার উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি সারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। সে দিক থেকে এবারের সার ব্যবস্থাপনা ছিল অনেক ভালো। বোরো মৌসুমের আগেই প্রয়োজনীয় মজুদ গড়ে তোলা হয়েছিল। কৃষকদের কাছে সময়মতো সার পেঁৗছানোর ব্যাপারেও সরকারের উদ্যোগ উল্লেখ করার মতো। এর মধ্যে দেশে সার উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে আরো তিনটি সার কারখানা প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারা যায় না। এ তিনটি সার কারখানার মধ্যে দুটি বিসিআইসির নিজস্ব অর্থায়নে করার পরিকল্পনা রয়েছে। এটিও আরেকটি ইতিবাচক দিক।
তবে বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলার জন্য বোরো মৌসুমে সার কারখানাগুলো বন্ধ রাখার যে ব্যবস্থা করা হয়, তাকে কোনো মতেই রেওয়াজে পরিণত করা যাবে না। তাই নতুন সার কারখানা তৈরির পাশাপাশি বিদ্যমান সার কারখানাগুলো যাতে শতভাগ উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে। উত্তরবঙ্গ থেকে মঙ্গার বিদায় নেওয়াটাও সরকারের সার ব্যবস্থাপনা ও কৃষি বিভাগের আন্তরিকতার ফসল বলে মনে করা যায়। সার ব্যবস্থাপনাকে আরো কিছুদিন সুনিয়ন্ত্রিত রাখার প্রয়োজন আছে, অন্তত প্রস্তাবিত সার কারখানাগুলো উৎপাদনে না আসা পর্যন্ত। সঠিক পথে এগোতে পারলে, আগে হোক আর পরে হোক, সব সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব।
সরকার সারের দাম কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে এর আগে। উদ্দেশ্য কৃষি উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে আনা। এতে সুফলও পাওয়া গেছে। অন্তত বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর জনস্বার্থে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, সারের ওপর ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত সেগুলোর অন্যতম। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ২০ লাখ টন সার আমদানি করতে হয়। বেশি মূল্যে সার কিনে প্রচুর ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের সরবরাহ করা হয়। এ পরিস্থিতিতে যদি দেশেই সারের উৎপাদন বাড়ানো না যায়, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে সারের ভর্তুকি অব্যাহত রাখা সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে এ-ও মনে রাখা প্রয়োজন, সার উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি সারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। সে দিক থেকে এবারের সার ব্যবস্থাপনা ছিল অনেক ভালো। বোরো মৌসুমের আগেই প্রয়োজনীয় মজুদ গড়ে তোলা হয়েছিল। কৃষকদের কাছে সময়মতো সার পেঁৗছানোর ব্যাপারেও সরকারের উদ্যোগ উল্লেখ করার মতো। এর মধ্যে দেশে সার উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে আরো তিনটি সার কারখানা প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারা যায় না। এ তিনটি সার কারখানার মধ্যে দুটি বিসিআইসির নিজস্ব অর্থায়নে করার পরিকল্পনা রয়েছে। এটিও আরেকটি ইতিবাচক দিক।
তবে বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলার জন্য বোরো মৌসুমে সার কারখানাগুলো বন্ধ রাখার যে ব্যবস্থা করা হয়, তাকে কোনো মতেই রেওয়াজে পরিণত করা যাবে না। তাই নতুন সার কারখানা তৈরির পাশাপাশি বিদ্যমান সার কারখানাগুলো যাতে শতভাগ উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে। উত্তরবঙ্গ থেকে মঙ্গার বিদায় নেওয়াটাও সরকারের সার ব্যবস্থাপনা ও কৃষি বিভাগের আন্তরিকতার ফসল বলে মনে করা যায়। সার ব্যবস্থাপনাকে আরো কিছুদিন সুনিয়ন্ত্রিত রাখার প্রয়োজন আছে, অন্তত প্রস্তাবিত সার কারখানাগুলো উৎপাদনে না আসা পর্যন্ত। সঠিক পথে এগোতে পারলে, আগে হোক আর পরে হোক, সব সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব।
No comments