বিশ্লেষণ-সরকারি কর্মকর্তাদের বিনিয়োগ থাকা ঠিক না by মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (সামরিক-বেসামরিক) শেয়ার-বাজারে বিনিয়োগ না করার বিষয়টি অনেক পুরোনো। কিন্তু এত দিন এটা কেউ আলোচনায় আনেনি। সরকারের কাছে হয়তো এ বিষয়ে অভিযোগ এসেছে; তাই এখন সরকার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে।
আমি অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, শেয়ারবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগ থাকা ঠিক নয়। এতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) দেখা দিতে পারে। তবে পুরোনো এই আইনের বিষয়টি যে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা ঠিকই আছে।
তবে সোমবার পুঁজিবাজার গতিশীল করার লক্ষ্যে মন্ত্রিসভায় আয়কর আইনের কিছু সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। যেমন—মিউচুয়াল ফান্ড থেকে অর্জিত আয় করমুক্ত করা এবং লেনদেনের ওপর উৎসে কর দশমিক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ করা। এগুলো শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক। এর ইতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়বে। কিন্তু আমাদের দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা অকারণেই আতঙ্কিত হয়ে যায়। এটা হলে বাজারের অস্থিরতা থামবে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বেশ কিছুদিন ধরেই বলছে, শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগ করা হলে এনবিআর সে বিষয়ে প্রশ্ন করবে না। কিন্তু সরকারি অন্য সংস্থাগুলোর আইন অনুযায়ী তারা এ বিষয়ে প্রশ্ন করবে। বিষয়টি স্পষ্ট করতেই হয়তো এনবিআর কয়েক দফা ব্রিফ ও প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তবে ২০১১ সাল থেকেই শেয়ারবাজারে যেভাবে দরপতন হয়েছে, তাতে বোঝা যায় যে শেয়ারবাজারে কালোটাকা খুব একটা আসে না। ভবিষ্যতেও হয়তো তেমন একটা আসবে না। তাই এটা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কালোটাকার কী হলো না হলো, এল কি এল না, সেটার ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগ করব কি না, তা ভাবলে চলবে না।
লেখক: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান।
তবে সোমবার পুঁজিবাজার গতিশীল করার লক্ষ্যে মন্ত্রিসভায় আয়কর আইনের কিছু সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। যেমন—মিউচুয়াল ফান্ড থেকে অর্জিত আয় করমুক্ত করা এবং লেনদেনের ওপর উৎসে কর দশমিক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ করা। এগুলো শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক। এর ইতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়বে। কিন্তু আমাদের দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা অকারণেই আতঙ্কিত হয়ে যায়। এটা হলে বাজারের অস্থিরতা থামবে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বেশ কিছুদিন ধরেই বলছে, শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগ করা হলে এনবিআর সে বিষয়ে প্রশ্ন করবে না। কিন্তু সরকারি অন্য সংস্থাগুলোর আইন অনুযায়ী তারা এ বিষয়ে প্রশ্ন করবে। বিষয়টি স্পষ্ট করতেই হয়তো এনবিআর কয়েক দফা ব্রিফ ও প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তবে ২০১১ সাল থেকেই শেয়ারবাজারে যেভাবে দরপতন হয়েছে, তাতে বোঝা যায় যে শেয়ারবাজারে কালোটাকা খুব একটা আসে না। ভবিষ্যতেও হয়তো তেমন একটা আসবে না। তাই এটা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কালোটাকার কী হলো না হলো, এল কি এল না, সেটার ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগ করব কি না, তা ভাবলে চলবে না।
লেখক: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান।
No comments