শুধু আইন নয়, তার প্রয়োগও জরুরি-মানব পাচার প্রতিরোধ
মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন করার লক্ষ্যে গত সোমবার মন্ত্রিসভায় একটি কঠোর আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১১’ নামের আইনটিতে মানব পাচারের সর্বোচ্চ শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। যেকোনো ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনের ক্ষেত্রে কঠোর আইনি হাতিয়ার অবশ্যই কার্যকর হতে পারে, তবে শুধু আইনই যে যথেষ্ট নয় তা বেশ কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ করা গেছে।
যেমন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত কঠোর আইন রয়েছে, মৃত্যুদণ্ডের বিধানও আছে তাতে, কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ হচ্ছে না। এর অন্যতম প্রধান কারণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা যায়নি। মানব পাচারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তা ছাড়া, নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলোতে যেমন দেখা যায়, তেমনি এই ক্ষেত্রেও অপরাধের শিকার নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর-কিশোরীরা দুর্বল পক্ষ, আর যারা তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ করে তারা অর্থে, ক্ষমতায়, প্রভাবে অনেক শক্তিশালী।
আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ মানব পাচারের শিকার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম পরিচিত দেশ, যেখানে এই অপরাধ দমনের জন্য আইন থাকলেও তা যথেষ্ট ছিল না। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের অধীন মানব পাচার পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ দপ্তরের ২০১০ সালের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট’-এ বলা হয়েছে, মানব পাচার নির্মূলের লক্ষ্যে যা করা প্রয়োজন তার ন্যূনতম মানদণ্ডও বাংলাদেশ পূরণ করেনি। ওই প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে, একটি কার্যকর আইন প্রণয়ন করা দরকার। সেই কাজ সম্পন্ন হলো, খসড়াটি শিগগিরই সংসদে পাস হয়ে আইনরূপে বলবৎ হবে। এবং বস্তুত তখনই শুরু হবে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনের প্রকৃত কাজ।
যুগোপযোগী একটি আইনের অভাবে এত দিন যা করা সম্ভব হয়নি, এখন তা করার আইনি ভিত্তি ও সুযোগ তৈরি হলো। এখন আইনটির যথার্থ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, সে লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তৎপর হতে হবে। মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত চক্রগুলোর সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কিছু সদস্যের যেসব অনৈতিক যোগসাজশের অভিযোগ শোনা যায়, সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশে লোক পাঠায়, তাদের জবাবদিহি বাড়ানোও জরুরি।
আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ মানব পাচারের শিকার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম পরিচিত দেশ, যেখানে এই অপরাধ দমনের জন্য আইন থাকলেও তা যথেষ্ট ছিল না। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের অধীন মানব পাচার পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ দপ্তরের ২০১০ সালের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট’-এ বলা হয়েছে, মানব পাচার নির্মূলের লক্ষ্যে যা করা প্রয়োজন তার ন্যূনতম মানদণ্ডও বাংলাদেশ পূরণ করেনি। ওই প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে, একটি কার্যকর আইন প্রণয়ন করা দরকার। সেই কাজ সম্পন্ন হলো, খসড়াটি শিগগিরই সংসদে পাস হয়ে আইনরূপে বলবৎ হবে। এবং বস্তুত তখনই শুরু হবে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনের প্রকৃত কাজ।
যুগোপযোগী একটি আইনের অভাবে এত দিন যা করা সম্ভব হয়নি, এখন তা করার আইনি ভিত্তি ও সুযোগ তৈরি হলো। এখন আইনটির যথার্থ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, সে লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তৎপর হতে হবে। মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত চক্রগুলোর সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কিছু সদস্যের যেসব অনৈতিক যোগসাজশের অভিযোগ শোনা যায়, সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশে লোক পাঠায়, তাদের জবাবদিহি বাড়ানোও জরুরি।
No comments