বেসরকারি শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী- বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আন্দোলন হচ্ছে
এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষকদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আন্দোলনের নামে বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন, তা হবে না।’
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের আন্দোলনের দরকার নেই। আমরা জানি শিক্ষকদের কী প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকার সজাগ রয়েছে।’
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কখন, কোথায়, কতটুকু করতে হবে, সরকার সে বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন।’
দেশের সব বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘শুধু বেতন-ভাতা দিলে তো হবে না, রাস্তাঘাট, পুল- কালভার্ট বানানো লাগবে না? আয় বাড়ুক, ভবিষ্যতে দেখা যাবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমপিওভুক্ত হতে হলে নিয়মনীতি মানতে হবে। কেউ ইচ্ছামতো স্কুল তৈরি করে এমপিওভুক্ত করার কথা বললে তা কি সম্ভব? আমরা শিক্ষকদের সম্মান করি, সুযোগ-সুবিধা দিই। ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।’
গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ বর্তমান সরকারের মেয়াদকালেই শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১২ মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে। আর্থিক সংস্থান নিশ্চিত হলেই এর নির্মাণকাজ শুরু হবে। এ ছাড়া পটুয়াখালীর রামনাবাদে তৃতীয় সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে। এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলমান আছে।
নুর আফরোজ আলীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে ১৪ লাখ ৩৫ হাজার লোক অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ১০ লাখ বাগানকর্মীর চাহিদা জানানো হয়েছে। শিগগির আরও ২০ হাজার কর্মীর চাহিদা পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। চলতি বছর এক লাখ কর্মীর মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আছে। আগামী পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ কর্মীর মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা যায়।
প্রশ্নোত্তরের আগে বিকেল সাড়ে চারটায় স্পিকার আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
No comments