জনগণ চাইলে নেপালে রাজতন্ত্র ফিরবে : জ্ঞানেন্দ্র
নেপালের ক্ষমতাচ্যুত রাজা জ্ঞানেন্দ্র বীরবিক্রম শাহ দেব বলেছেন, জনগণ চাইলে নেপালে রাজতন্ত্র পুনর্বহাল হতে পারে। সংবিধান প্রণয়নে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করেছেন। গতকাল শনিবার সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
আগের দিন শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি আবার সিংহাসনে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার তাঁর কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন। বরং সাংবিধানিক রাজা হিসেবে থাকতে পারলেই তিনি খুশি।
গতকাল জ্ঞানেন্দ্রর ৬৬তম জন্মদিন ছিল। এ উপলক্ষে তাঁর সমর্থক ও স্বজনরা এসেছিল জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। তাদের উদ্দেশে জ্ঞানেন্দ্র বলেন, 'নেপালিরা চাইলে দেশে রাজতন্ত্র পুনর্বহাল হবে।' তিনি আরো বলেন, সাংবিধানিক পরিষদের সংবিধান প্রণয়নের ব্যর্থতার ফল ভোগ করছে দেশ।
জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানী কাঠমান্ডুর শহরতলি মহারাজগঞ্জ এলাকায় নিজের বাসভবন নির্মল নিবাসের বাইরে গতকাল প্রায় আড়াই হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। এ সময় তারা রাজতন্ত্রপন্থী স্লোগানও দেয়। তারা সাবেক রাজার জন্য ফুল, কার্ড ও নানা উপহার এনেছিল।
ভারতের নিউজ২৪ নামে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে জ্ঞানেন্দ্র বলেন, নেপালের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ছয় বছর আগে তাঁর একটি সমঝোতা হয়। সে অনুযায়ী তাঁর সাংবিধানিক রাজা থাকার কথা। তাঁর দাবি অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলো তাঁকে এ সমঝোতা চুক্তি করতে বাধ্য করেছে। 'চুক্তির মধ্যে ছিল ভেঙে দেওয়া পার্লামেন্ট পুনর্বহাল, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য থেকে একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সাংবিধানিক রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা।' নেপালে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে ঠিক তখন তিনি এমন কথা বললেন।
সাক্ষাৎকারে সাবেক রাজা বলেন, নেপালের রাজনীতিতে সক্রিয়া হওয়ার কোনো আগ্রহ তাঁর নেই। তবে তিনি আনুষ্ঠানিক পদে থাকতে চান।
নেপালে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐক্যের সরকার খসড়া সংবিধান প্রণয়নে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই গত মে মাসের শেষের দিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। একই সঙ্গে নতুন সাংবিধানিক পরিষদ গঠনের জন্য আগামী নভেম্বরে নির্বাচনের কথাও ঘোষণা করেন তিনি। এর পর থেকে সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, নেপালের অন্যতম প্রধান সমস্যা বেকারত্ব। এ সমস্যা সমাধান করতে রাজনৈতিক দলগুলো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় দেশটির জনমনে হতাশার জন্ম হয়েছে। আর আবার রাজার সিংহাসনে আরোহণকে কতজন স্বাগত জানাবে এ ব্যাপারটি স্পষ্ট নয়। সূত্র : বিবিসি, টেলিগ্রাফ।
গতকাল জ্ঞানেন্দ্রর ৬৬তম জন্মদিন ছিল। এ উপলক্ষে তাঁর সমর্থক ও স্বজনরা এসেছিল জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। তাদের উদ্দেশে জ্ঞানেন্দ্র বলেন, 'নেপালিরা চাইলে দেশে রাজতন্ত্র পুনর্বহাল হবে।' তিনি আরো বলেন, সাংবিধানিক পরিষদের সংবিধান প্রণয়নের ব্যর্থতার ফল ভোগ করছে দেশ।
জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানী কাঠমান্ডুর শহরতলি মহারাজগঞ্জ এলাকায় নিজের বাসভবন নির্মল নিবাসের বাইরে গতকাল প্রায় আড়াই হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। এ সময় তারা রাজতন্ত্রপন্থী স্লোগানও দেয়। তারা সাবেক রাজার জন্য ফুল, কার্ড ও নানা উপহার এনেছিল।
ভারতের নিউজ২৪ নামে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে জ্ঞানেন্দ্র বলেন, নেপালের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ছয় বছর আগে তাঁর একটি সমঝোতা হয়। সে অনুযায়ী তাঁর সাংবিধানিক রাজা থাকার কথা। তাঁর দাবি অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলো তাঁকে এ সমঝোতা চুক্তি করতে বাধ্য করেছে। 'চুক্তির মধ্যে ছিল ভেঙে দেওয়া পার্লামেন্ট পুনর্বহাল, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য থেকে একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সাংবিধানিক রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা।' নেপালে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে ঠিক তখন তিনি এমন কথা বললেন।
সাক্ষাৎকারে সাবেক রাজা বলেন, নেপালের রাজনীতিতে সক্রিয়া হওয়ার কোনো আগ্রহ তাঁর নেই। তবে তিনি আনুষ্ঠানিক পদে থাকতে চান।
নেপালে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐক্যের সরকার খসড়া সংবিধান প্রণয়নে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই গত মে মাসের শেষের দিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। একই সঙ্গে নতুন সাংবিধানিক পরিষদ গঠনের জন্য আগামী নভেম্বরে নির্বাচনের কথাও ঘোষণা করেন তিনি। এর পর থেকে সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, নেপালের অন্যতম প্রধান সমস্যা বেকারত্ব। এ সমস্যা সমাধান করতে রাজনৈতিক দলগুলো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় দেশটির জনমনে হতাশার জন্ম হয়েছে। আর আবার রাজার সিংহাসনে আরোহণকে কতজন স্বাগত জানাবে এ ব্যাপারটি স্পষ্ট নয়। সূত্র : বিবিসি, টেলিগ্রাফ।
No comments