নির্বাচন হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে by নজরুল ইসলাম খান
আমরা দাবি জানিয়ে আসছি, নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। এ ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। সাংগঠনিকভাবে আমাদের এ দাবি সারা দেশে প্রচারিত হয়েছে। আমরা কোনো অবস্থায়ই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই না। এ দাবি জনসমর্থন পেয়েছে।
আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের সব রাজনৈতিক দলই এ দাবিকে যৌক্তিক বলেছে। প্রায় সব রাজনৈতিক দলই আমাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগের মধ্যেও অনেকে আছেন যাঁরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে যৌক্তিক বলে মনে করেন।
স্পিকার সাহেব যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা শর্তযুক্ত। তিনি বলেছেন বিরোধী দলকে সংসদে যাওয়ার জন্য। খুব ভালো কথা। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল তখন কি বিরোধী দল সংসদে ছিল?
অথচ দেখুন এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আওয়ামী লীগ আন্দোলন করেছিল। কিন্তু সুযোগ বুঝে তারা নিজেদের পথ থেকেই সরে এসেছে। আজকে মত পরিবর্তনের সময় আদালতের দোহাই দিয়ে চলেছে তারা। এটা ঠিক নয়। আদালত তো আরো কিছু কথাও বলেছেন। সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে গেছে তারা। পঞ্চম সংশোধনীসংক্রান্ত রায়ও কি তারা মেনেছে? আদালতের রায় তারা মানেনি। আদালত স্পষ্টভাবে বলেছেন যে আগামী দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তারা কি সেই কথা মেনেছে? আদালতের আরো কথা ছিল। বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতিকে যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান না করা হয়, তাও।
এ কথা থেকে যেন এমন মনে না করা হয়, আমরা আলোচনায় যেতে রাজি নই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি গণতান্ত্রিক দল। গণতান্ত্রিকভাবে এগিয়ে যাওয়াই তার উদ্দেশ্য। কিন্তু শর্ত জুড়ে দিয়ে কি আলোচনায় সফল হওয়া যাবে? তার পরও স্পিকার সরকারি দলের নেতা নন। সরকারি দলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো সাড়া পাওয়া গেছে কি?
স্পিকার সাহেব যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা শর্তযুক্ত। তিনি বলেছেন বিরোধী দলকে সংসদে যাওয়ার জন্য। খুব ভালো কথা। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল তখন কি বিরোধী দল সংসদে ছিল?
অথচ দেখুন এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আওয়ামী লীগ আন্দোলন করেছিল। কিন্তু সুযোগ বুঝে তারা নিজেদের পথ থেকেই সরে এসেছে। আজকে মত পরিবর্তনের সময় আদালতের দোহাই দিয়ে চলেছে তারা। এটা ঠিক নয়। আদালত তো আরো কিছু কথাও বলেছেন। সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে গেছে তারা। পঞ্চম সংশোধনীসংক্রান্ত রায়ও কি তারা মেনেছে? আদালতের রায় তারা মানেনি। আদালত স্পষ্টভাবে বলেছেন যে আগামী দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তারা কি সেই কথা মেনেছে? আদালতের আরো কথা ছিল। বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতিকে যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান না করা হয়, তাও।
এ কথা থেকে যেন এমন মনে না করা হয়, আমরা আলোচনায় যেতে রাজি নই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি গণতান্ত্রিক দল। গণতান্ত্রিকভাবে এগিয়ে যাওয়াই তার উদ্দেশ্য। কিন্তু শর্ত জুড়ে দিয়ে কি আলোচনায় সফল হওয়া যাবে? তার পরও স্পিকার সরকারি দলের নেতা নন। সরকারি দলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো সাড়া পাওয়া গেছে কি?
গ্রন্থনা : মোস্তফা হোসেইন
No comments