ফুটবল-উন্মাদ সালমান যেভাবে আত্মঘাতী জঙ্গি

ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার শহরে কনসার্টে বোমা হামলাকারী সালমান আবেদির পরিচয় প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো। সঙ্গে সঙ্গে তার জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠার কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে গণমাধ্যমে। সালমানের সঙ্গে আল-কায়েদার সংযোগ ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা। প্রশিক্ষণ নিতে ব্রিটেনের বাইরেও গিয়েছিল বলে জানিয়েছে গোয়েন্দারা। আইএসের সঙ্গেও সালমানের যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর। হামলার পরপরই দায় স্বীকার করে আইএস। তবে দায় স্বীকার করলেও জঙ্গি সংগঠনটি সালমানের ব্যাপারে কিছু জানায়নি। এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী সালমান লিবিয়া বংশোদ্ভূত। সে ২০১৪ সালে ম্যানচেস্টারের স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করে। কিন্তু দুই বছর পর সে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করে।
গত ১২ মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করে সালমান। এর মধ্যে লিবিয়াও ছিল। বোমা বিস্ফোরণের পর লাশের পকেটে পাওয়া ব্যাংক কার্ড থেকে সালমানের পরিচয় মেলে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিএ। মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএস সদস্য রাফায়েল হোস্তি ওরফে আবু কাকা আল ব্রিটানির বন্ধু ছিল সালমান আবেদি। রাফায়েল ২০১৬ সালে ড্রোন হামলায় নিহতের আগে আইএসের সদস্য সংগ্রহকারী ছিল। হোস্তি সালমানকে জঙ্গিবাদে উৎসাহ দিয়েছে বলে ধারণা করছে সংবাদমাধ্যমটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে, যেখানে সালমানকে বাড়িতে তৈরি বোমা নিয়ে ঢুকতে দেখা যায়। এরপর সাউথ ম্যানচেস্টারে ফ্যালোফিল্ড এলাকায় তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার করা বিস্ফোরক ধ্বংস করে পুলিশ। সোমবার ট্রেনে করে লন্ডন থেকে ম্যানচেস্টারে আসে সালমান। এ সময় সে পরিকল্পনায় অন্য সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, সালমান কৈশোরে ছিল এক ফুটবল উন্মাদ তরুণ। ভিডিও গেমেও আসক্তি ছিল এই তরুণের। সে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বুঁদ হয়ে থাকত কম্পিউটার গেমসে।

No comments

Powered by Blogger.