কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনে জটিলতা
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদনে জটিলতা দেখা দিয়েছে। গত দুইদিনে পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন সর্বনি¤œ ৩৪ মেগাওয়াটে নেমে এসেছে। হ্রদে পানির উচ্চতা না থাকায় ২৪২ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কাপ্তাইয়ের এ পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫টি ইউনিটের ৪টি বন্ধ রেখে সন্ধ্যায় ১টি ইউনিট দিয়ে এখন ৩৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত আগামী কয়েকদিন একটি মাত্র ইউনিটই চালু রাখা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আব্দুর রহমান। শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে উচ্চতা হ্রাস পাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনি¤েœ এসে পৌঁেছছে উল্লেখ করে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মোঃ আবদুর রহমান জানান, হ্রদে বর্তমানে পানির উচ্চতা ৭২দশমিক ২৬ ফুট এম এস এল ( মীন সী লেভেল)। রুল কার্ভ অনুসারে এ সময় হ্রদের পানির উচ্চতা থাকার কথা ৮৩দশমিক২০ ফুট। তিনি জানান বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বর্তমানে হ্রদে আড়াই ফুট পানি আছে। এ কারণে বিদ্যুৎ এর জন্য এখন আর একটির বেশি ইউনিট চালানো যাচ্ছেনা। কারণ পানি শেষ হয়ে যাবে। যতদিন বৃষ্টি না হবে ততদিন একটাই চালান্ োহবে এবং তা দিয়ে আরো বেশ ক দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত একটি ইউনিটই চালু রাখা সম্বব হবে বলে তিনি জানান। বৃষ্টি হলে দুই তিনটা ইউনিট চালানো হবে। যে ক দিন বৃষ্টি না হবে ততদিন একটি ইউনিট চালানো হবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত একটি ইউনিটই চালানো হবে তাও সন্ধ্যার সময় এবং দুই তিন চার ঘন্টা সময় ধরে। তিনি আরো জানান ,একটি ইউনিট চালালে আগামী আট দশ দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন করাা সম্ভব হবে। সারা দিন না চালালে আর শুধু মাত্র সন্ধ্যায় চালালে আরো ১৫দিনের মতো চালু রাখা যাবে। তিনি বলেন আগামী কিছু দিনের মধ্যে কোথাও না কোথাও বৃস্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলেই উৎপাদন আরো বাড়বে।
তিনি জানান, বৃস্টি না হলেও উৎপাদন পুরো বন্ধ হবেনা। তবে উৎপাদনের মাত্রা কমিয়ে দেয়া হবে। পিক আওয়ারে এক ঘন্টা দুই ঘন্টা করে চালানো হবে। তিনি জানান হ্রদে পানি পূর্ণ থাকলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাচঁটি ইউনিটে ২৪২ মেঘাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা। ১ম ও ২য় ইউনিট ৪৬ মেঘাওয়াট এবং ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম ইউনিট ৫০ মেঘ্ওায়াট করে মোট ২৪২ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে লেকের পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় ইউনিট গুলো চালু রাখতে না পারায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথেই উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান। এদিকে পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকার পরও রাঙ্গামাটিতে প্রতিদিন দিনে রাতে লোডসেডিং চলছে। একদিকে তাপদাহ আর বিদ্যুৎ এর লোড সেডিংয়ে জনজীবনে নাবিশ্বাস উঠেছে। রাঙ্গামাটিতে বিদ্যুৎ এর চাহিদা ১৫ মেঘাওয়াট। আর চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে লোড সেডিং করতে হচ্ছে বলে জানান রাঙ্গামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার । খুব সহসা তা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে তিনি জানান। রাঙ্গামাটি সাপছড়িতে নতুন একটি ১৩২ কেভির গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মানাধীন রয়েছে। এর নির্মান কাজ শেষ হলে রাঙ্গামাটির বিদ্যুৎ সংকট দূর হবে বলে আশা করেন পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী। কাপ্তাই হ্রদের পানি অতিমাত্রায় শুকিয়ে যাওয়ায় হ্রদের বুকে চর জেগে উঠেছ্ েএতে বিদ্যুৎ এর পাশাপশি নৌ চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। প্রচন্ড তাপদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় এবং বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সর্বনিম্ন এসে পৌছেছৈ।
No comments