যশোরে পল্লী বিদ্যুতের লাইন স্থাপনে চাঁদা দাবির অভিযোগ
‘খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের লাইন স্থাপনে চাঁদাবাজীর শিকার হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা। সন্ত্রাসীদের চাহিদা মতো উপঢৌকন না দিলে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মারপিটের শিকার হচ্ছেন। এ কারণে বর্তমানে এই অঞ্চলে বিদ্যুতের লাইন স্থাপনের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।’ আজ বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি যশোরের নেতৃবৃন্দ। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহবায়ক এম এ ওয়াদুদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘গত ২২ মে মণিরামপুর উপজেলার খানপুর গ্রামে মেসার্স নিলয় ট্রেডিংয়ের কর্মীরা বিদ্যুৎ লাইলের সম্প্রসারণ করছিল। এসময় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা নকশা অনুযায়ী কাজে বাধা দেয়। তারা এক কর্মীর হাত ভেঙে দেয়।
পারপিটের শিকার হয় প্রতিষ্ঠানের বিশেষ প্রতিনিধি তুহিন বিশ্বাস। এর আগে ১০ মে মাগুরা জেলার পারপলিতা গ্রামে লাইনের কাজ করতে গিয়ে মারপিটের শিকার হন মেসার্স মির্জা আবু বকরের কর্মীরা। তাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করা হয়। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় কর্মীদের উপর দা, চাপাতি, রড নিয়ে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা করা হয়। কিন্তু পুলিশ আসামীদের বিরুদ্ধে কোন অভিযান চালায়নি। এজন্য এসব স্থানে তাদের কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা খুলনা বিভাগের সব ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম-আহবায়ক গোলাম মোস্তফা, রুহুল কুদ্দুস মুকুল, সদস্য সচিব এম এ সিদ্দিক, আবুল বাসার, মোবাশের হোসেন, রেজাউল করিম প্রমুখ।
No comments