মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুনর্বিবেচনার আদেশ ১৯ জুন
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য করা আবেদনের বিষয়ে ১৯ জুন আদেশের দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল বৃহস্পতিবার পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে এই দিন ধার্য করেন।
গতকাল কার্যক্রমের শুরুতে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কয়েকটি অভিযোগে একই সঙ্গে অপরাধে নেতৃত্ব দেওয়া ও সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। কয়েকটি অভিযোগে দেখা গেছে, আসামি কেবল অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু সেই সব অভিযোগে হত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধে তাঁর সংশ্লিষ্টতার কোনো উল্লেখ নেই।
পুনর্বিবেচনার আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, অপহরণের উদ্দেশ্যই ছিল হত্যা করা। তদন্ত কর্মকর্তার অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকায় তিনি আলবদরের নেতা ছিলেন। নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তার উল্লেখ অভিযোগে নেই—আসামিপক্ষের এমন যুক্তির জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্যাতন করলে কেউ কি আরাম পায়? আদর করার জন্য তো আর কাউকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়নি!’ পরে ট্রাইব্যুনাল আদেশের দিন ধার্য করেন।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৪ জুন অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। ২ জুলাই থেকে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারিত আছে।
কাদের মোল্লার আবেদনের নিষ্পত্তি: একই ট্রাইব্যুনাল গতকাল জামায়াতের অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদনের নিষ্পত্তি করেন। ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, চূড়ান্ত অভিযোগ গঠনের পর সেখানে গাণিতিক ও তথ্যগত ভুল থাকলে সেটি সংশোধনের সুযোগ থাকে। সে অনুসারে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। অভিযোগের যেসব জায়গায় ‘অ্যান্ড অলসো ফর’ লেখা হয়েছে, সেসব জায়গায় ‘অর ইন দ্য অল্টারনেটিভ’ প্রতিস্থাপিত হবে।
গতকাল কার্যক্রমের শুরুতে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কয়েকটি অভিযোগে একই সঙ্গে অপরাধে নেতৃত্ব দেওয়া ও সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। কয়েকটি অভিযোগে দেখা গেছে, আসামি কেবল অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু সেই সব অভিযোগে হত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধে তাঁর সংশ্লিষ্টতার কোনো উল্লেখ নেই।
পুনর্বিবেচনার আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, অপহরণের উদ্দেশ্যই ছিল হত্যা করা। তদন্ত কর্মকর্তার অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকায় তিনি আলবদরের নেতা ছিলেন। নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তার উল্লেখ অভিযোগে নেই—আসামিপক্ষের এমন যুক্তির জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্যাতন করলে কেউ কি আরাম পায়? আদর করার জন্য তো আর কাউকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়নি!’ পরে ট্রাইব্যুনাল আদেশের দিন ধার্য করেন।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৪ জুন অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। ২ জুলাই থেকে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারিত আছে।
কাদের মোল্লার আবেদনের নিষ্পত্তি: একই ট্রাইব্যুনাল গতকাল জামায়াতের অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদনের নিষ্পত্তি করেন। ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, চূড়ান্ত অভিযোগ গঠনের পর সেখানে গাণিতিক ও তথ্যগত ভুল থাকলে সেটি সংশোধনের সুযোগ থাকে। সে অনুসারে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। অভিযোগের যেসব জায়গায় ‘অ্যান্ড অলসো ফর’ লেখা হয়েছে, সেসব জায়গায় ‘অর ইন দ্য অল্টারনেটিভ’ প্রতিস্থাপিত হবে।
No comments