বেশির ভাগ এলডিসির চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছেঃ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ
স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার, পণ্য রপ্তানি, প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) প্রবাহ এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ আগের চেয়ে নিম্নমুখী হয়েছে। অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ফলে সার্বিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি ভালো নেই। এমনটাই মনে করে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আঙ্কটাড)।
এভাবে চলতে থাকলে চলতি বছরের মধ্যভাগে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে ২০২১ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের সংখ্যা ৪৮ থেকে কমিয়ে ২৪ করার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সেটাও বাস্তবায়িত হবে না। এ অবস্থায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর সার্বভৌম সম্পদ তহবিল থেকে অর্থায়নের প্রস্তাব করেছে আঙ্কটাড। বলা হয়েছে, এসব তহবিলের একটি অংশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংকে বিনিয়োগ করা হলে দেশগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বাড়বে। বর্তমানে এই তহবিলের মোট আকার প্রায় চার লাখ কোটি ডলার। এর মাত্র ১ শতাংশই যদি স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে বিনিয়োগ করা যায়, তাহলে তাদের ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করে আঙ্কটাড।
আঙ্কটাডের এলডিসিবিষয়ক প্রতিবেদন-২০১১-এ এসব কথা বলা হয়েছে। সারা বিশ্বে গতকাল বৃহস্পতিবার একযোগে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। ঢাকায় নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
এবারের এলডিসি প্রতিবেদনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে: ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা’।
প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কম। তবে উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশে এলডিসিভুক্ত বেশির ভাগ দেশের চেয়েই এগিয়ে আছে। প্রবাসী আয়ে এলডিসিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে।
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) বৈদেশিক ঋণের অংশও অন্য এলডিসিগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে অনেক কম। সব এলডিসির জন্য গড়ে যেখানে এই হার ৩১ দশমিক ৩০ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশের জন্য এই হার ২৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।
তবে বিদেশি বিনিয়োগে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। ২০০৭-০৯ সময়কালে চীনের বিদেশি বিনিয়োগের শীর্ষ ১০টি গন্তব্যের মধ্যে বাংলাদেশ নেই। এই তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে জাম্বিয়া ও মিয়ানমার।
ফাহমিদা খাতুন জানান, কম আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনীতির ভঙ্গুরতা—এই তিনটি সূচকের ওপর ভিত্তি করেই কারা স্বল্পোন্নত দেশ, তা নির্ধারণ করা হয়। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে পৌঁছাতে হলে এই দেশগুলোর মাথাপিছু আয় এক হাজার ৮৬ ডলার, মানবসম্পদ সূচক ৬৬ এবং অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচক ৩৮ হতে হবে।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৬৪০ ডলার, মানবসম্পদ সূচক ৫৩ দশমিক ৩ এবং অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচক ২৩ দশমিক ২। অর্থাৎ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার দৌড়ে বাংলাদেশ এখনো বেশ পিছিয়ে আছে।
বাংলাদেশ কবে এলডিসির কাতার থেকে বেরিয়ে আসবে জানতে চাইলে ফাহমিদা খাতুন বলেন, উত্তরণপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছাতেই বাংলাদেশের ২০২৭ সাল লেগে যাবে। এর তিন বছর পর অর্থাৎ ২০৩১ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে পৌঁছা সম্ভব।
অবশ্য উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে ওঠার ক্ষেত্রে সম্পদের ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এবং সুশাসনের অভাবকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন ফাহমিদা খাতুন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এই পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, আয়ের দিক থেকে নয়, মানব উন্নয়ন সূচকে উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করা সম্ভব।
এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এটা শুধুই প্রস্তাব। কীভাবে এটি বাস্তবায়িত হবে, সেটা আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। দ্বিতীয়ত, এটা বৈদেশিক সাহায্যের বিকল্প হবে না; বরং সম্পূরক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির অতিরিক্ত পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফ ও জ্যেষ্ঠ গবেষক গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।
আঙ্কটাডের এলডিসিবিষয়ক প্রতিবেদন-২০১১-এ এসব কথা বলা হয়েছে। সারা বিশ্বে গতকাল বৃহস্পতিবার একযোগে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। ঢাকায় নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
এবারের এলডিসি প্রতিবেদনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে: ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা’।
প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কম। তবে উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশে এলডিসিভুক্ত বেশির ভাগ দেশের চেয়েই এগিয়ে আছে। প্রবাসী আয়ে এলডিসিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে।
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) বৈদেশিক ঋণের অংশও অন্য এলডিসিগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে অনেক কম। সব এলডিসির জন্য গড়ে যেখানে এই হার ৩১ দশমিক ৩০ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশের জন্য এই হার ২৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।
তবে বিদেশি বিনিয়োগে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। ২০০৭-০৯ সময়কালে চীনের বিদেশি বিনিয়োগের শীর্ষ ১০টি গন্তব্যের মধ্যে বাংলাদেশ নেই। এই তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে জাম্বিয়া ও মিয়ানমার।
ফাহমিদা খাতুন জানান, কম আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনীতির ভঙ্গুরতা—এই তিনটি সূচকের ওপর ভিত্তি করেই কারা স্বল্পোন্নত দেশ, তা নির্ধারণ করা হয়। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে পৌঁছাতে হলে এই দেশগুলোর মাথাপিছু আয় এক হাজার ৮৬ ডলার, মানবসম্পদ সূচক ৬৬ এবং অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচক ৩৮ হতে হবে।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৬৪০ ডলার, মানবসম্পদ সূচক ৫৩ দশমিক ৩ এবং অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচক ২৩ দশমিক ২। অর্থাৎ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার দৌড়ে বাংলাদেশ এখনো বেশ পিছিয়ে আছে।
বাংলাদেশ কবে এলডিসির কাতার থেকে বেরিয়ে আসবে জানতে চাইলে ফাহমিদা খাতুন বলেন, উত্তরণপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছাতেই বাংলাদেশের ২০২৭ সাল লেগে যাবে। এর তিন বছর পর অর্থাৎ ২০৩১ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে পৌঁছা সম্ভব।
অবশ্য উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে ওঠার ক্ষেত্রে সম্পদের ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এবং সুশাসনের অভাবকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন ফাহমিদা খাতুন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এই পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, আয়ের দিক থেকে নয়, মানব উন্নয়ন সূচকে উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করা সম্ভব।
এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এটা শুধুই প্রস্তাব। কীভাবে এটি বাস্তবায়িত হবে, সেটা আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। দ্বিতীয়ত, এটা বৈদেশিক সাহায্যের বিকল্প হবে না; বরং সম্পূরক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির অতিরিক্ত পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফ ও জ্যেষ্ঠ গবেষক গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।
No comments