অক্টোবরে মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমেছে
মাসওয়ারি মূল্যস্ফীতির হার গত অক্টোবর মাসে কিছুটা কমেছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাবমতে, অক্টোবর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪২ শতাংশে। সেপ্টেম্বর মাসে এই হার ছিল ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যা অন্তত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। চলতি অর্থবছরের জুলাই মাস থেকেই মূল্যস্ফীতির হার মূলত দুই অঙ্কের ঘরে রয়েছে। আশঙ্কার বিষয় হলো, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, গত অক্টোবর মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে এই হার ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। আবার অক্টোবর মাসে গ্রামের চেয়ে শহর এলাকার মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি পড়েছে। শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যেখানে গ্রামে এই হার হয়েছে ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
গত সেপ্টেম্বরে শহরে মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ, আর গ্রামে এই হার ছিল ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
অক্টোবর মাসের মূল্যস্ফীতির উপখাত দুটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, গ্রামের মানুষের চেয়ে শহরের মানুষকে অপেক্ষাকৃত বেশি দামে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। শহরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর গ্রামে এই উপখাতে মূল্যস্ফীতির হার ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিও একই রকম। অক্টোবর মাসে শহরে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ আর গ্রামে ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ।
খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্য কিনতে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। দেশে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দর একদফা বাড়ানো হয়। ফলে পরিবহনব্যয় বেড়ে যায়। এই বাড়তি পরিবহনব্যয়ের বিষয়টি খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিতে প্রতিফলিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত জুলাই মাসে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। পরের তিন মাসে এই উপখাতে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত অক্টোবর মাসে এই হার পৌঁছেছে ৯ দশমিক ০৫ শতাংশে। আর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে এই হার ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, ২০০৪-৫ অর্থবছর থেকে মাসওয়ারি হিসাবে গত সেপ্টেম্বর মাসে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এর আগে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। আর ২০০০-১ থেকে ২০০৩-৪ অর্থবছর পর্যন্ত বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল যথাক্রমে এক দশমিক ৬৬ শতাংশ, তিন দশমিক ৫৮ শতাংশ, পাঁচ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং পাঁচ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
যোগাযোগ করা হলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, আমনের ভালো ফলনের কারণে চালের দাম কিছুটা কমেছে, তাই অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমেছে। কিন্তু শঙ্কার বিষয় হলো, এখনো মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে রয়েছে।
আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষের। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়ার বিষয়টিতে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আহসান মনসুরের আশঙ্কা, মূল্যস্ফীতির উচ্চহার আরও কিছুদিন থাকবে। এর যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এক দিনে হয়নি, ধীরে ধীরে বেড়েছে। আবার কমাতেও সময় লাগবে। তাঁর মতে, দীর্ঘদিন ধরেই সম্পদের যথাযথ বরাদ্দ না হওয়ায় বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। সামর্থ্যের বেশি ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না সরকার। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নিলে মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে তিনি মত দেন।
গত সেপ্টেম্বরে শহরে মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ, আর গ্রামে এই হার ছিল ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
অক্টোবর মাসের মূল্যস্ফীতির উপখাত দুটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, গ্রামের মানুষের চেয়ে শহরের মানুষকে অপেক্ষাকৃত বেশি দামে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। শহরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর গ্রামে এই উপখাতে মূল্যস্ফীতির হার ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিও একই রকম। অক্টোবর মাসে শহরে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ আর গ্রামে ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ।
খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্য কিনতে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। দেশে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দর একদফা বাড়ানো হয়। ফলে পরিবহনব্যয় বেড়ে যায়। এই বাড়তি পরিবহনব্যয়ের বিষয়টি খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিতে প্রতিফলিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত জুলাই মাসে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। পরের তিন মাসে এই উপখাতে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত অক্টোবর মাসে এই হার পৌঁছেছে ৯ দশমিক ০৫ শতাংশে। আর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে এই হার ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, ২০০৪-৫ অর্থবছর থেকে মাসওয়ারি হিসাবে গত সেপ্টেম্বর মাসে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এর আগে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। আর ২০০০-১ থেকে ২০০৩-৪ অর্থবছর পর্যন্ত বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল যথাক্রমে এক দশমিক ৬৬ শতাংশ, তিন দশমিক ৫৮ শতাংশ, পাঁচ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং পাঁচ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
যোগাযোগ করা হলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, আমনের ভালো ফলনের কারণে চালের দাম কিছুটা কমেছে, তাই অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমেছে। কিন্তু শঙ্কার বিষয় হলো, এখনো মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে রয়েছে।
আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষের। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়ার বিষয়টিতে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আহসান মনসুরের আশঙ্কা, মূল্যস্ফীতির উচ্চহার আরও কিছুদিন থাকবে। এর যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এক দিনে হয়নি, ধীরে ধীরে বেড়েছে। আবার কমাতেও সময় লাগবে। তাঁর মতে, দীর্ঘদিন ধরেই সম্পদের যথাযথ বরাদ্দ না হওয়ায় বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। সামর্থ্যের বেশি ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না সরকার। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নিলে মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে তিনি মত দেন।
No comments