মোবারক-পরবর্তী মিসরে কাল নির্বাচন শুরু
আগামীকাল সোমবার থেকে মিসরে নির্বাচন শুরু হচ্ছে। এটি হবে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক পতনের পর প্রথম নির্বাচন। এদিকে সেনা শাসন অবসানের দাবিতে চলমান সহিংসতায় গতকাল শনিবার দেশটিতে নিহত হয়েছে একজন। দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সামরিক কাউন্সিলের প্রধান জেনারেল তানতাওলি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মিসরের প্রভাবশালী রাজনৈকি ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আল বারাদি ও আরব লীগের সাবেক প্রধান অমর মুসার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। খবর এএফপি, আলজাজিরা অনলাইনের।
সোমবার শুরু হওয়া নির্বাচন চলবে মার্চ পর্যন্ত। ২৭টি প্রদেশে তিন দফায় এ নির্বাচন হবে। এক সপ্তাহ ধরে মিসরে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে জনতা। নির্বাচনের আগেই সেনা শাসনের অবসান চায় তারা। সামরিক কর্তৃপক্ষের অধীন নির্বাচন চায় না তারা। তাদের অনেকেই নির্বাচন স্থগিতেরও পক্ষে। তবে সামরিক পরিষদ বলছে, সহিংসতা সত্ত্বেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের নিয়োগ দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করে বের হওয়া একটি বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ হামলা চালালে এক তরুণ নিহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, পুলিশের একটি গাড়ি বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করলে ওই তরুণ মারাত্মক আহত হয়। পরে হাসপাতালে সে মারা যায়। গতকালও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ঐতিহাসিক তাহরির স্কোয়ারে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি, বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করবে।
বান কি মুনের আহ্বান : মিসরে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের প্রধান ফিল্ড মার্শাল হোসেইন তানতাবির সঙ্গে শুক্রবার টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান। মহাসচিবের মুখপাত্র মার্টিন নেসিরকি জানান, একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে মিসরের জনগণের ন্যায়সঙ্গত প্রত্যাশা পূরণের জন্য সামরিক পরিষদের প্রধানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বান কি মুন।
ভোট দিল প্রবাসী মিসরীয়রা : এই প্রথমবারের মতো বিদেশে বসবাসকারী মিসরীয়রা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত শাসক হোসনি মোবারকের শাসন আমলে বারবার আবেদন করলেও প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়নি। মিসর সরকারের ফেসবুক পাতায় বলা হয়, আজ (শুক্রবার) অন্তত এক লাখ প্রবাসী মিসরীয় দূতাবাস ও কনস্যুলেটে শান্তিপূর্ণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
গত অক্টোবরে একটি প্রশাসনিক আদালত প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়ার পক্ষে রায় দেন। চলতি মাসে বিচার মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে সংবিধান সংশোধনে সম্মত হয়। অন্তত ৮০ লাখ মিসরীয় বিভিন্ন দেশে বসবাস করে। তাদের মাত্র ৩ লাখ ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়।
No comments