বাণিজ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
বণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) ফারম্নক খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছে। পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পৰে তিন আইনজীবী হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের করেছেন।
আদালত মামলা গ্রহণ করে আগামী মঙ্গলবার শুনানি ও পরবর্তী আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছে। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির-এর দ্বৈত বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দিয়েছে।বাদীপৰের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ আদালতে বলেন, হাইকোর্ট ২৪ জানুয়ারি সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল ৩০ দিনের মধ্যে চারটি নদীর ভেতরে স্থাপনা সমূহ অপসারণের কাজ শুরম্ন করার। সেই পরিপ্রেৰিতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ৯ ফেব্রম্নয়ারি সিটি গ্রম্নপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজকে নোটিস দেয় শীতলৰ্যা নদীতে স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য। কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) ফারম্নক খান ২২ ফেব্রম্নয়ারি একটি চিঠিতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন যাতে সিটি গ্রম্নপের জেটিগুলো অপসারণ না করা হয়।
মনজিল মোরশেদ বলেন, পিটিশনে উলেস্নখ করা হয়েছে যে, মন্ত্রীর এই লেখার মাধ্যমে তিনি আদালতের রায় বাসত্মবায়নের হসত্মৰেপ করেছেন। যা আদালত অবমাননার শামিল। পরে মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায় বাসত্মবায়নের জন্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। যেখানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর লিখিত প্রতিবন্ধকতা আদালত অবমাননার পর্যায়ে পড়ে। কারণ দেশের সকল নাগরিকই সংবিধান অনুযায়ী আদালতের নির্দেশ প্রতিপালনে বাধ্য। অপরদিকে যখন প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে এরূপ কোন নির্দেশ বা অনুরোধ জেলা প্রশাসকের কাছে যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই তার পৰে আর কোন পদৰেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। এই ভাবেই আদালতের নির্দেশ বাসত্মবায়নে প্রতিবন্ধকতাঁর সৃষ্টি হলে নদীর অবৈধ স্থাপনাকারীদের উচ্ছেদ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। আদালত অবমাননার মামলাটি করেছেন, এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী, এ্যাডভোকেট সারোয়ার আজাদ চৌধুরী এবং এ্যাডভোকেট তপন কানত্মি দাস।
No comments