রিকশা উচ্ছেদ ও নাগরিক ভোগান্তি by আমানুল্লাহ নোমান
রিকশা ঐতিহাসিক পরিবহন। ঢাকার ঐতিহ্যের সঙ্গে রিকশার সম্পর্ক অনেক গভীর। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পরিবহন রিকশাকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সব দেশের অধিনায়কদের মাঠে প্রবেশ করানো হয়েছে রিকশাযোগে।
রিকশাকে ঘিরে একদিকে নানা আয়োজন, অপরদিকে ঢাকা শহর থেকে রিকশা উচ্ছেদে ব্যস্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। যানজটের দোহাই দিয়ে একের পর এক বিভিন্ন রোডে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ধীরে ধীরে রাজধানীতে রিকশার চলাচল পথ সংকীর্ণ হয়ে আসছে। ২০০২ সালে গাবতলী থেকে রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত অর্থাৎ মিরপুর রোডে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে এলিফ্যান্ট রোড-শাহবাগ মৎস্য ভবন পর্যন্ত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা পরে স্থায়ী রূপ পায় । সল্ফপ্রতি নতুন করে আরও আটটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ডিএমপি। সড়কগুলো হলো মালিবাগ থেকে মৌচাক, মগবাজার থেকে থেকে বাংলামটর, নীলক্ষেত থেকে নিউমার্কেট, শান্তিনগর থেকে রাজস্ব ভবন, মগবাজার থেকে কমলাপুর, নটর ডেম কলেজ থেকে শাপলা চত্বর, দোয়েল চত্বর থেকে হাইকোর্ট পর্যন্ত।
যানজট নিরসনের কথা বলে দিন দিন বিভিন্ন সড়কে রিকশা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে বিপাকে পড়ছে ঢাকার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। যাদের নিজস্ব কোনো প্রাইভেটকার নেই তাদের স্বল্প দূরত্বের পথ যাতায়াতের একমাত্র ব্যবস্থা ছিল রিকশা। বিশেষ করে ছেলেমেয়েদের নিয়ে স্কুলের যাতায়াতের অন্যতম পরিবহন ছিল রিকশা। কিন্তু নগরীর এই সড়কগুলোতে রিকশা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এসব এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ পড়েছে মহাদুর্ভোগে। মোটরযানের গতি বৃদ্ধি এবং যাটজট নিরসনে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলা হলেও বাস্তব অবস্থা ও গবেষণায় দেখা গেছে উল্টোচিত্র। মিরপুর রোডে রিকশা বন্ধের আগে বাসের গতি ছিল ১৭.৪ কিলোমিটার । রিকশা বন্ধের পর বর্তমানে মিরপুর সড়কে মোটরযানের গতি ঘণ্টায় গতি ৭/৮ কিলোমিটার। এসব দিক বিবেচনা করলে খুব সহজেই অনুমান করা যায়, রিকশা রোষানলের শিকার। নগরের যানজট নিরসনে রিকশা উচ্ছেদের কথা বলা হয় অথচ রিকশা উচ্ছেদ করে যানজট নিরসন করা সম্ভব হয়নি। যেসব সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে, সেসব সড়কে যানজট তো কমেইনি, উল্টো আরও বেড়েছে। স্পষ্টতই বলা যায়, রাজধানীতে যানজটের জন্য রিকশা দায়ী নয়। যানজট নিরসনে দায়ী যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং। কর্তৃপক্ষ সেদিকে খেয়াল না করে দিন দিন ঢাকার সড়কগুলোতে রিকশা চলাচল বন্ধ করে নাগরিক ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে।
রিকশা নিষিদ্ধ এমন রোডে বসবাসকারী নাগরিকরা ভোগান্তির শিকার সবচেয়ে বেশি । স্বল্প দূরত্বের পথটুকু তারা রিকশায় যাতায়াত করত কিন্তু এখন তা আর পারছে না। বাধ্য হয়ে লোকাল বাসে চড়ে পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে মহিলাদের কষ্টের সীমা নেই। তাই ঢালাওভাবে রিকশা বন্ধ না করে রিকশা নিয়ে সুচিন্তা করতে হবে। কেননা রিকশার সঙ্গে আমাদের দেশের একটা ঐতিহ্য জড়িত। রিকশার ব্যাপারে চিন্তভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য রিকশা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অনেক আন্তরিক হবে_ এই প্রত্যাশা রইল।
amanullahnoman@gmail.comযানজট নিরসনের কথা বলে দিন দিন বিভিন্ন সড়কে রিকশা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে বিপাকে পড়ছে ঢাকার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। যাদের নিজস্ব কোনো প্রাইভেটকার নেই তাদের স্বল্প দূরত্বের পথ যাতায়াতের একমাত্র ব্যবস্থা ছিল রিকশা। বিশেষ করে ছেলেমেয়েদের নিয়ে স্কুলের যাতায়াতের অন্যতম পরিবহন ছিল রিকশা। কিন্তু নগরীর এই সড়কগুলোতে রিকশা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এসব এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ পড়েছে মহাদুর্ভোগে। মোটরযানের গতি বৃদ্ধি এবং যাটজট নিরসনে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলা হলেও বাস্তব অবস্থা ও গবেষণায় দেখা গেছে উল্টোচিত্র। মিরপুর রোডে রিকশা বন্ধের আগে বাসের গতি ছিল ১৭.৪ কিলোমিটার । রিকশা বন্ধের পর বর্তমানে মিরপুর সড়কে মোটরযানের গতি ঘণ্টায় গতি ৭/৮ কিলোমিটার। এসব দিক বিবেচনা করলে খুব সহজেই অনুমান করা যায়, রিকশা রোষানলের শিকার। নগরের যানজট নিরসনে রিকশা উচ্ছেদের কথা বলা হয় অথচ রিকশা উচ্ছেদ করে যানজট নিরসন করা সম্ভব হয়নি। যেসব সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে, সেসব সড়কে যানজট তো কমেইনি, উল্টো আরও বেড়েছে। স্পষ্টতই বলা যায়, রাজধানীতে যানজটের জন্য রিকশা দায়ী নয়। যানজট নিরসনে দায়ী যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং। কর্তৃপক্ষ সেদিকে খেয়াল না করে দিন দিন ঢাকার সড়কগুলোতে রিকশা চলাচল বন্ধ করে নাগরিক ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে।
রিকশা নিষিদ্ধ এমন রোডে বসবাসকারী নাগরিকরা ভোগান্তির শিকার সবচেয়ে বেশি । স্বল্প দূরত্বের পথটুকু তারা রিকশায় যাতায়াত করত কিন্তু এখন তা আর পারছে না। বাধ্য হয়ে লোকাল বাসে চড়ে পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে মহিলাদের কষ্টের সীমা নেই। তাই ঢালাওভাবে রিকশা বন্ধ না করে রিকশা নিয়ে সুচিন্তা করতে হবে। কেননা রিকশার সঙ্গে আমাদের দেশের একটা ঐতিহ্য জড়িত। রিকশার ব্যাপারে চিন্তভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য রিকশা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অনেক আন্তরিক হবে_ এই প্রত্যাশা রইল।
No comments