জারদারির দুবাই যাওয়া নিয়ে নানা গুঞ্জন
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি গতকাল বৃহস্পতিবার দুবাই যাওয়ার পর নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকা না-থাকা নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। তা জোরালো হয়ে ওঠে একই দিন সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানির সঙ্গে জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের বৈঠকের ঘটনা।
অনেকে দুটি ঘটনাকে একই সূত্রে মিলিয়ে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছেন। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ না-ও করতে পারে। কারণ, অতীতে তারা দেখেছে, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান আসে না।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, জারদারি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এক দিনের সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে তাঁর দেশে ফেরার কথা। সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে প্রেসিডেন্টের দুবাই যাওয়ার যোগসূত্র নেই।
এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জারদারি দুবাই যেতে পারেন। জারদারির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু একই দিনে সেনাপ্রধান কায়ানি শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করায় অনেকে এর সঙ্গে জারদারির দুবাই যাওয়ার ঘটনার যোগসূত্র খুঁজে দেখার চেষ্টা করছেন। তা হচ্ছে পাকিস্তানে আবার অভ্যুত্থান ঘটতে যাচ্ছে।
এই সংশয়ের আগুনে আবার ঘি ঢেলেছে সেনাবাহিনীই। গতকাল সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠক সম্পর্কে কোনো তথ্যই দেওয়া হয়নি। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর মুহাম্মদ আলী দিয়াল বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে সতর্ক করে দিয়ে বিবৃতি দেয় সেনাবাহিনী। বিবৃতিতে ‘গোপন চিঠি’ কেলেঙ্কারি তদন্তে সেনাপ্রধান জেনারেল কায়ানি ও আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুজা পাশার আদালতে আবেদন করা বেআইনি হয়েছে—প্রধানমন্ত্রী গিলানির এ মন্তব্যকে ‘সাংঘাতিক’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। এতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, এ ধরনের মন্তব্য দেশকে কঠিন পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। এর আগে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রতিরক্ষাসচিব সাবেক জেনারেল নাইম খালিদ লোদিকে ‘বড় ধরনের অসদাচরণের’ দায়ে বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী গিলানি। এর পরদিনই জারদারি দুবাই গেলেন এবং জেনারেল কায়ানি বৈঠক করলেন শীর্ষ জেনারেলদের সঙ্গে। এ ঘটনাকে খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশয়বাদীরা। দ্য হিন্দু, ডন ও এএফপি।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, জারদারি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এক দিনের সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে তাঁর দেশে ফেরার কথা। সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে প্রেসিডেন্টের দুবাই যাওয়ার যোগসূত্র নেই।
এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জারদারি দুবাই যেতে পারেন। জারদারির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু একই দিনে সেনাপ্রধান কায়ানি শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করায় অনেকে এর সঙ্গে জারদারির দুবাই যাওয়ার ঘটনার যোগসূত্র খুঁজে দেখার চেষ্টা করছেন। তা হচ্ছে পাকিস্তানে আবার অভ্যুত্থান ঘটতে যাচ্ছে।
এই সংশয়ের আগুনে আবার ঘি ঢেলেছে সেনাবাহিনীই। গতকাল সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠক সম্পর্কে কোনো তথ্যই দেওয়া হয়নি। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর মুহাম্মদ আলী দিয়াল বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে সতর্ক করে দিয়ে বিবৃতি দেয় সেনাবাহিনী। বিবৃতিতে ‘গোপন চিঠি’ কেলেঙ্কারি তদন্তে সেনাপ্রধান জেনারেল কায়ানি ও আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুজা পাশার আদালতে আবেদন করা বেআইনি হয়েছে—প্রধানমন্ত্রী গিলানির এ মন্তব্যকে ‘সাংঘাতিক’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। এতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, এ ধরনের মন্তব্য দেশকে কঠিন পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। এর আগে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রতিরক্ষাসচিব সাবেক জেনারেল নাইম খালিদ লোদিকে ‘বড় ধরনের অসদাচরণের’ দায়ে বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী গিলানি। এর পরদিনই জারদারি দুবাই গেলেন এবং জেনারেল কায়ানি বৈঠক করলেন শীর্ষ জেনারেলদের সঙ্গে। এ ঘটনাকে খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশয়বাদীরা। দ্য হিন্দু, ডন ও এএফপি।
No comments