মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ১৩ ফেব্রুয়ারি
বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, সে বিষয়ে আদেশের জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষে গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগেই সাকা চৌধুরীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
শুনানিতে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী আহসানুল হক বলেন, সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে একতরফা ও ঢালাওভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি শান্তি কমিটি, রাজাকার বা পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী কোনো বাহিনীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বা আঞ্চলিকভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন না। শুধু ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আহসানুল হক বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগে রহমতগঞ্জের ‘গুডস হিল’ বাড়িটিকে নির্যাতন কেন্দ্র উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গুডস হিল ছিল আশ্রয়কেন্দ্র। আওয়ামী লীগের নেতা আতাউর রহমান খান, যোগেশ চন্দ্র সিনহা প্রমুখ সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দালাল আইন, ১৯৭২ পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। ওই আইনের অধীনে নূতনচন্দ্র সিংহ হত্যা মামলা করা হয়েছিল, সেটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন আছে। এক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে দুবার অভিযুক্ত করা যায় না। আইনজীবী আরও বলেন, ৪০ বছর পর সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন আছে।
আসামিপক্ষের বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল মালুম বলেন, একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ৪০ বছর পর করতে কোনো বাধা নেই। দালাল আইনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যার মতো অপরাধের বিচার করা সম্ভব নয়। দালাল আইনে যে বিচার হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এ সেই বিচার করতে বাধা নেই।
শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আদেশের দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনাল সাকা চৌধুরীর পক্ষে করা দুটি আবেদন মঞ্জুর করেন। এর একটির আদেশে ২৮ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত দুজন আইনজীবীকে সাকা চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। অপর আদেশে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ঘটনাস্থল রাউজান, বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়ায় তাঁর আইনজীবীদের পরিদর্শনে সহযোগিতা করতে ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশ দেন।
১৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৫টি ঘটনায় নয় ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ৭৭টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে।
গতকাল শুনানির একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগের এক নম্বর ঘটনায় উল্লিখিত সাকা চৌধুরীর অনুসারী আবদুস সোবহান জীবিত না মৃত তা জানতে চান। জবাবে জেয়াদ-আল মালুম বলেন, এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্তে ৩২টি অভিযোগ পাওয়া গেলেও শতভাগ নিশ্চিত হয়ে ২৫টি ঘটনা রাখা হয়েছে।
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, কিন্তু প্রথম ঘটনার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবই তো দিতে পারছেন না। তখন জেয়াদ-আল মালুম বলেন, এ কথা বললে সাংবাদিকদের কাছে ‘ব্যাড মেসেজ’ চলে যাবে, তাঁরা বলবেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা অযোগ্য। ট্রাইব্যুনাল তখন বলেন, এ নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই। ট্রাইব্যুনাল প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন।
প্রসঙ্গ নাম: জেয়াদ-আল মালুম একপর্যায়ে ‘সাকা চৌধুরী’ উল্লেখ করলে ট্রাইবু্যুনাল তাঁর পুরো নাম বলার অনুরোধ করেন। সে অনুযায়ী নাম উচ্চারণ করে তিনি বলেন, কিন্তু তিনিও (সাকা চৌধুরী) মাঝেমধ্যে আমাকে ‘হালুম’ নামে ডাকেন। তখন কাঠগড়ায় বসা সাকা চৌধুরী বলেন, তিনি কখনো কৌঁসুলিকে ওই নামে ডাকেননি।
শুনানিতে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী আহসানুল হক বলেন, সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে একতরফা ও ঢালাওভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি শান্তি কমিটি, রাজাকার বা পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী কোনো বাহিনীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বা আঞ্চলিকভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন না। শুধু ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আহসানুল হক বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগে রহমতগঞ্জের ‘গুডস হিল’ বাড়িটিকে নির্যাতন কেন্দ্র উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গুডস হিল ছিল আশ্রয়কেন্দ্র। আওয়ামী লীগের নেতা আতাউর রহমান খান, যোগেশ চন্দ্র সিনহা প্রমুখ সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দালাল আইন, ১৯৭২ পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। ওই আইনের অধীনে নূতনচন্দ্র সিংহ হত্যা মামলা করা হয়েছিল, সেটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন আছে। এক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে দুবার অভিযুক্ত করা যায় না। আইনজীবী আরও বলেন, ৪০ বছর পর সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন আছে।
আসামিপক্ষের বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল মালুম বলেন, একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ৪০ বছর পর করতে কোনো বাধা নেই। দালাল আইনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যার মতো অপরাধের বিচার করা সম্ভব নয়। দালাল আইনে যে বিচার হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এ সেই বিচার করতে বাধা নেই।
শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আদেশের দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনাল সাকা চৌধুরীর পক্ষে করা দুটি আবেদন মঞ্জুর করেন। এর একটির আদেশে ২৮ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত দুজন আইনজীবীকে সাকা চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। অপর আদেশে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ঘটনাস্থল রাউজান, বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়ায় তাঁর আইনজীবীদের পরিদর্শনে সহযোগিতা করতে ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশ দেন।
১৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৫টি ঘটনায় নয় ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ৭৭টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে।
গতকাল শুনানির একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগের এক নম্বর ঘটনায় উল্লিখিত সাকা চৌধুরীর অনুসারী আবদুস সোবহান জীবিত না মৃত তা জানতে চান। জবাবে জেয়াদ-আল মালুম বলেন, এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্তে ৩২টি অভিযোগ পাওয়া গেলেও শতভাগ নিশ্চিত হয়ে ২৫টি ঘটনা রাখা হয়েছে।
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, কিন্তু প্রথম ঘটনার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবই তো দিতে পারছেন না। তখন জেয়াদ-আল মালুম বলেন, এ কথা বললে সাংবাদিকদের কাছে ‘ব্যাড মেসেজ’ চলে যাবে, তাঁরা বলবেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা অযোগ্য। ট্রাইব্যুনাল তখন বলেন, এ নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই। ট্রাইব্যুনাল প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন।
প্রসঙ্গ নাম: জেয়াদ-আল মালুম একপর্যায়ে ‘সাকা চৌধুরী’ উল্লেখ করলে ট্রাইবু্যুনাল তাঁর পুরো নাম বলার অনুরোধ করেন। সে অনুযায়ী নাম উচ্চারণ করে তিনি বলেন, কিন্তু তিনিও (সাকা চৌধুরী) মাঝেমধ্যে আমাকে ‘হালুম’ নামে ডাকেন। তখন কাঠগড়ায় বসা সাকা চৌধুরী বলেন, তিনি কখনো কৌঁসুলিকে ওই নামে ডাকেননি।
No comments